शदईौश्रृं 1 و هوان ] যবদ্বীপ ওদিকে জাৰ্য্যবিভঙ্গ স্বাধীন রাজ্য স্থাপনের সঙ্কল্প করিতে ছিলেন, কিন্তু তন্দুরণের সহিত যুদ্ধে তিনি নিহত হন, র্তাহার বিধবা পত্নী অনেক দিন যুদ্ধ চালাইয়াছিলেন। অবশেষে পরাজিত হইয়া মঙ্গপহিতরাজের শরণ লইলেন। বালিদ্বীপে প্রাপ্ত ১৪৬৫ শকে পঞ্চম ঋতুর দশম দিবসে বৃহস্পতিবারে লিখিত একখানি পুথিতে তুমাপেল এবং মজপহিত রাজ্যের ১২শ শতাব্দীর ইতিহাস এইরূপ লিখিত আছে,—তুমাপেল রাজ্যে ঋতুত্র জয়পুরুষ নামে রাজ ছিলেন, তাহার মৃত্যুর পরে তৎপুত্র শ্ৰীলক্ষ্মীকিরণ রাজা হন । র্তাহার দুই পুত্র ১ম সজাই শিববুদ্ধ, २छ विजम्र, ইনি সৌন্দয্যের জন্ত বিখ্যাত ছিলেন । জ্যেষ্ঠ পুত্রের শাসনে রাজ্যের বড়ই অরাজকত উপস্থিত হয়, তাহাতে মন্ত্রী র্তাহাকে সন্ধুপদেশ দিলে তিনি মন্ত্রীকে নিৰ্ব্বাসিত করেন। সঙ্ঘ শ্রীর বীররাজ নামে এক বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী ছিলেন, তাহাকে তিনি মদুরার পুৰ্ব্বাংশে সুমেনাপে শাসন ভার প্রদান করেন। পরে বীররাজকে বিনাদোষে অপরাধী সাব্যস্ত করায় তিনি কেদিরিরাজ শ্ৰীজয়কেটিংকে তুমাপেলরাজ্য আক্রমণ করিতে মাহবান করেন । জয়কোটং আননের সহিত উক্ত প্রস্তাবে সন্মত হইলেন । শিববুদ্ধও যুদ্ধের জন্ত কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিজয়কে প্রস্তুত হইতে বলিলেন এবং নিজে বিলাসপত্নীগণে পরিবৃত হইয়৷ ‘কোদাতলে’ ( প্রমোদপ্রকোষ্ঠে ) অবস্থান করিতে লাগিলেন। কিন্তু জয়কোটংএর মন্ত্রী মানারঙ্গ অবিলম্বে তাছাকে ধৃত করিয়। রাজধানীর সন্মুখে নিহত করিলেন । কিন্তু বিজয় ভাষণ যুদ্ধে জয়কেটিংকে ব্যাতব্যস্ত করিয়াছিলেন। অবশেষে বিজয় রাজ্য ছাড়িয়। স্কমেনাপে বীররাজের নিকট পলায়ন করিলেন । তাহার অলৌকিক রূপবতী মহিষী শক্রহস্তে পতিত হইল। কেদিরিরাজ তাহার সৌন্দয্যে মুগ্ধ হইয়। পাণিগ্রহণ প্রার্থন জানাইলেন, কিন্তু তিনি ঘৃণার সহিত সে প্রস্তাব উপেক্ষা করিলেন । তখন কোদরিরাজ তাহাকে জননী সম্বোধনে কন্যার ন্যায় স্বীয় অন্তঃপুরে রক্ষা করিতে লাগিলেন। অবশেষে বিজয় বীররাজের পরামশে কেদিরিরাজের নিকট স্বীয় রাজ্য প্রার্থনা করিলেন। জয়কোটং তাছাকে সমাদরে গ্রহণ করিয়া একটা বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড এবং একট অরণ্য প্রদান করিলেন । কেহ বলেন যে, এই স্থানেই মজপস্থিত রাজ্যের স্বত্রপাত হয়। বিজয়ের সময়ে মজপহিত পরাক্রান্ত রাজ্য বলিয়া খ্যাত হয়। তিনি ভূপতিসঙ্গ বরবিজয় নামে সেই স্থানে রাজা হইলেন এবং বীররাজের এক পুত্র তাহার মন্ত্রী হইল। অবশেষে বিজয় কেদিরি আক্রমণের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। জয়কোটং তাহ অবগত হইয়া সৈন্য সজ্জা করিয়া অগ্রসর হইলেন । অনেকৰার যুদ্ধ হইল, কিন্তু কোন পক্ষই জয়লাভ করিতে পারিল না । এমন সময় জয়কোটং পালিতকন্যারত্ব ( বিজয়ের স্ত্রী ) তাতাররাজ লক্ষ্মীমণকে প্রদান করিতে চাহিলেন। এই স্বযোগে লক্ষ্মীমণ জয়কেটিংকে পত্র লিখিলেন যে, যদি, তিনি সেই কন্যা শাস্ত্র তাহাকে প্রদান না করেন, তবে তিনি বিজয়ের পক্ষ অবলম্বন করিবেন । কিন্তু জয়কোটং সেই কন্যাকে হস্তাত্মরিত করিতে সমর্থ হইলেন না, সুতরাং জয়কোটং নিরুত্তর হইলেন। তখন লক্ষ্মীমণ বিজয়ের পক্ষ অবলম্বন করিলেন। লক্ষ্মীমণের বর্ষাঘাতে জয়কোটংএর মৃত্যু হইল। মন্ত্রী মানারঙ্গ অকারণ নরহত্যা অনর্থক মনে কঞ্জিয় বশ্যতাস্বীকার করিলেন । বিজয়বার বিজয়ী হহয়। কোদাতলে যাইয়৷ সাধবী সহধৰ্ম্মিণীকে প্রাপ্ত হইলেন । বিজয় পত্নীসহ স্বীয় রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিলেন এবং লক্ষ্মীমণকে এক পরম মুন্দরী কুমারী দান করিলেন । কিছুদিন আমোদ প্রমোদ ভোগ করিয়া লক্ষ্মীমণ স্বীয় রাজ্যে গমন করেন। বিজয়ের পরে দ্বিতীয় বিজয় বহুকাল রাজত্ব করেন। তাহার সময়ে যবদ্বীপে শিল্পের অত্যন্ত উন্নতি হয় । তাছার রাজত্বকালে যে সমস্ত কিরিম (তরবারি ) প্রস্তুত হইয়াছিল, তাহার স্কায় উৎকৃষ্ট কিরিচ পৃথিবীর কোনদেশে নিৰ্ম্মিত হয় নাহ । মঙ্গপাহত রাজ্যের তৃতীয় রাজা বেশী দিন রাজত্ব করেন নাই । তৎপরে অদ্রিবিজয় সিংহাসনে আরোহণ করেন । তিনি স্বীয় মন্ত্রীকে নিহত করিয়া মস্ত্রিপুঞ্জ কর্তৃক নিহত হন । কিন্তু অন্দ্রিবিজয় অনেক রাজ্য বিজয় করিয়াছিলেন । তিনি সমস্ত মলয়দ্বীপ ও সিংহপুর (সিঙ্গাপুর) রাজ্য অধিকার করেন । সকলেহ মজপiহতের অধীনতা স্বীকার করিতে বাধ্য হয় । তৎপরে মর্ত্যবিজয় সিংহাসনে আরোহণ করিলেন । গজমদ তাহার মন্ত্রী ছিলেন, ৬াছার স্থায় সুদক্ষ এবং সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন মন্ত্রী যবের ইতিহাসে আর নাই । তিনি রাজ্যসংক্রাস্ত এবং বিচারবিভাগের জুস্থ যে আইন বিধিবদ্ধ করেন, তাহ। অস্থাপিও বিদ্যমান থাকিয় তাহার ধাশক্তির পরিচয় প্রদান করিতেছে । তাহার সময়ে ইন্দ্ৰগিরি বা সুমাত্র সম্পূর্ণরূপে র্তাহার করায়ত্ত হয় । তৎপরে রাজন আলীতবিজয় মজপহিতের সিংহাসনে আরোহণ করেন । গজমদের মন্ত্রণকৌশলে মজপহিত সাম্রাজ্য উন্নতির উচ্চসীমায় উপনীত হইয়াছিয়া এবং ভারতসাগরীয় অস্তুরদ্বীপসমূহ মজপহিতের অধীনতা স্বীকার এবং কর প্রদান করিয়াছিল। আলীতবিজয়ের রাজত্বকালে ‘পুষাক কিরিস বা স্বগীয়, অস্ত্র বলম্বঙ্গণের রাজা
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৬০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।