যবদ্বীপ [ ৬১৭ ] 够 যবদ্বীপ ৰৰদ্বীপের সিংহাসনে বসিবেন। মধ্য বদ্বীপে দীপনাগরের নামে জনৈকবার বিদ্রোহ উথাপিত হইয়াছে। ১৮৬৫, ১৮৭৪ ও ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে পুনঃ পুনঃ দীপনাগরের নামে বিদ্রোহ হইয়াছিল । এখন ওলন্দাজ শাসনকৰ্ত্তাগণ পাশ্চাত্য শিক্ষাসভ্যতার আমদানী করিয়া যববালিগণের জাতীয়তা হরণ করিবার চেষ্টায় আছেন, কিন্তু যবদ্বীপবাসিগণ সভ্য হিন্দুর দ্যায় দেশীয় ভাব পরিত্যাগ করিতেছে না। ১৮৬৬ খৃঃ ওলন্দাজ 543CeCaso Dr Sloct van de Beele otor oriaসংস্কার প্রবর্তিত করিয়াছেন । প্রাথমিক শিক্ষার পাঠশালা সৰ্ব্বত্র স্থাপিত হইয়াছে ; রেলওয়ে, টেলিগ্রাফ, ট্রামগাড়ী, ষ্টীমার প্রভৃতি সৰ্ব্ববিধ সভ্যতার যন্ত্রাবলীও যবদ্বীপে প্রবর্তিত হইতেছে। কিন্তু যবদ্বীপবাসিগণ পাশ্চাত্যভাবে ময় হইতেছে না, এখনও দীপনাগর কবে আসিয়া কন্ধি অবতারের স্থায় শ্বেত কায় মঠুষ্যগণকে খণ্ড খণ্ড করিবেন, সকলে কেবল তাছাই ভাবিতেছে । এদিকে ওলন্দাজগণ শস্তস্যামল স্বর্ণ প্রস্ব যবদ্বীপে লক্ষ্মীর অনন্তভাণ্ডার হইতে ধনরত্ন আহরণ করিয়া হল গুকে বাণিজ্যগৌরবে ভূষিত করিতেছেন। খনিজ পদাথের জন্য ভূগর্ভ খনিত হইতেছে । তাহার বসুন্ধরার বক্ষঃ বিদারিত করিয়া কুক্ষিগত ধনরত্ন বাহির করিতেছেন, বনভূমি হইতে লক্ষ লক্ষ মুদ্রার কাষ্ঠ দেশে লহয়। যাইতেছেন,—বিবিধ পণ্যপরিপূর্ণ বাণিজ্য-তরী-সকল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লুণ্ঠন করিয়া সহস্ৰ সহস্ৰ সংখ্যায় যুরোপে ধাবিত হইতেছে, ওলন্দাজ ধনী বণিকগণ এলালতালিঙ্গিতচন্দনকুঞ্জে দ্বীপান্তরালিত লবঙ্গপুষ্পে চিত্তবিনোদ করিতেছেন । পূৰ্ব্বে ওলন্দাজগণ এখানে বন্দর নিম্মাণ করিতে পারেন নাই ; কিন্তু ১৮৮৫ খৃঃ হঞ্জিনিয়ারগণ ৮ বৎসর অক্লাস্ত পরিশ্রম করিয়৷ ৰাভাবিয়ার সান্নিধ্যে এক প্রকাও বন্দর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। কেরোসিন-তৈলের প্রকাও খনি আবিষ্কৃত হইয়াছে এবং ১৯৯০ খৃঃ পৰ্য্যস্ত ১১৯৬ মাইল রেলওয়ে এবং ৪১৪ মাইল ট্রাম লাইন বিস্তৃত হইয়াছে। ষ্টেট রেলওয়ে ভিন্ন অম্লান্ত কোম্পানীগণও রেল নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন, সৰ্ব্বত্রই ধাতায়াত সুগম হইয়াছে এবং ওলন্দাজ ষ্টীমার কোম্পানীর ৩১ খানি ষ্টীমার প্রত্যহ সাগরদ্বীপ-সমূহের চতুৰ্দ্ধিকে চলাচল করিতেছে । রাজ্যশাসনের জন্ত এখানে একজন ওলন্দাজ গবর্ণর জেনেরল আছেন—ইলি হলওরাজ কর্তৃক নিযুক্ত । এতদূব্যতীত সমস্ত ঘবদ্বীপ ও মছর ২২ট বিভাগে বিভক্ত, যথা— XV 为●● বাণ্টাম, বাতাবিয়া, ক্রবঙ্গ, প্রেঙ্গার, চেfরবন, টেগল, পে কালঙ্গান, বাস্থ্য মাস, বজেলেন, যজ্ঞকৰ্ত্ত, স্বল্পকর্ত, কেচু, সমরঙ্গ, জাপরা, রম্বঙ্গ, মদিবান, কেদিরি, স্বরাভয়, পশুরুরী, প্রভৃলিঙ্গ, মক্কুর ও বাম কী। প্রত্যেক বিভাগে একজন রেসিডেণ্ট নিযুক্ত আছেন। আবার উপরোক্ত প্রত্যেক বিভাগ ৬৭ট জেলায় বিভক্ত । রেসিডেণ্ট স্থানীয় শাসনকৰ্ত্তা, তিনি রাজস্বসংগ্রহ এবং শাসন ৰ্যবস্থা করেন । অর্থাৎ বিচার ও শাসন উভয়বিভাগেই তিলি সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব । প্রত্যেক জেলায় এক একজন সহকারী রেসিডেণ্ট আছেন। স্বদেশিগণ সুশিক্ষিত হইলে সহকারী রেসিডেন্টের নিম্নতম রিজেণ্টের’ বা অধ্যগের পদ পাইতে পারেন । কিন্তু যাহারা প্রাচীন রাজবংশে জাত, তাহার। ভিক্স সাধারণে উক্ত পদ পান না । এতদ্ব্যতীত ২১ট করদরাজ্য আছে, ইহারাও ওলন্দাজ গবর্ণরের হস্তে ক্রীড়াপুত্তলিকামাত্র । কিন্তু তাহার। আপনাদিগের অধিকারে রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাছ করেন এবং অত্যাচার করিলে পদচু্যত হন । বাতাবিয়া নগরে একটা সুপ্রিমকোট ( বড় আদালত ) আছে । ওলন্দাজ উপনিবেশস্থ সমস্ত দ্বীপের মোকদ্দমার আপীল এইখানে বিচারিত হয় । এতদ্ব্যতীত শাসনাদি কার্যের জন্য অনেক কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত আছেন । অধিবাসীদিগের স্বাধীনতার প্রসার ক্রমেষ্ট কমিয়া যাইতেছে। ওলন্দাজগণ শাসনপূজ্বল ক্রমেই দৃঢ়তর করিতেছেন । প্রকৃতি ও ধৰ্ম্ম । জাতিতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ স্থির করিয়াছেন যে, যুব বাসিগণ তাতারবংশ-সভূত অর্থাৎ মানবজাতির যে শাখা চীন, জাপান, স্যাম ও ব্রহ্মদেশে বাস করিয়াছে, বর্তমান যববাসিগণ সেই শাখারই অবাস্তর বিভাগ মাত্র । এতদ্ভিন্ন কৃষ্ণবর্ণ নিগ্রে জাতিই এখানকার আদিম অধিবাসী । যবদ্বীপবালিগণে ভারতীয় রক্ত এবং আরবীয় রক্ত মিশ্রিত হইয়া এক বিভিন্ন জাতি উৎপন্ন হুইয়াছে । শ্রাম এবং রঙ্গদেশের অধিবাসিগণের আকার প্রকার অবিকল যব বাসিগশের দ্যায় । স্থূলতঃ চানবাসিগণের সহিত ইহাদের বাহ আকৃতির বিশেষ গোঁসাদৃশু লক্ষিত হয়। ইতিহাস-পাঠে জানা যায় যে, ব্রাহ্মণ অভু্যদয়ে যবে হিন্দুভাব প্রবেশ করে। তৎপরে চীন, কাম্বোজ, ব্রহ্মদেশ ও আরবাদি দেশের অনেক ভাব ঘবৰালিগণের শরীরে সংক্রাস্ত হইয়াছে । চানবাসিগণের বর্ণ অপেক্ষ। যববালিগণের বর্ণ তাম্রাভ মিশ্রিত অধিকতর পীতাভ। জার সমস্ত ঘবদ্বীপবাসীর ; এক সপ্তমাংশ মলয়শাখার অন্তভূক্ত। বগুবালিগণের আচার ব্যবহার ও আকার প্রকারে
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৬১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।