মীজৰ্ণপুর তৎপরে পৃথ্বীরাজ জাহ্নবী সলিল-প্রক্ষালিত বিন্ধ্যাচলের রমণীয় ও প্রশান্ত ভাবসোন্দর্য্যে মুগ্ধ হইয়া ঐ প্রদেশে বাস করিয়াছিলেন। ইহার অচিরকাল পরে খৈরউদ্দীন সবক্তগীন মীর্জাপুর অধিকার করিয়া মুসলমান শাসন প্ৰবৰ্ত্তন করেন। কিছুকাল পরে মীর্জাপুর পুনৰ্ব্বার স্বামিরাজ নামক জনৈক হিন্দু নরপতি কর্তৃক বিজিত হইয়াছিল । চরণাদ্রিগড়ের তোরণদ্বারে এক স্থানে ১৩৩• সংবৎ বা ১২৭৩ খৃঃ অঃ উৎকীর্ণ একখানি শিলালিপি ঐ ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । তৎপরে মহম্মদ শাহের মালিক সাহাব উদ্দীন নামক এক জন রোহিল।-সেনাপতি এখানে সম্পূর্ণরূপে মুসলমানশাসন স্থাপন করেন । এই বংশের এক শাসনকৰ্ত্তার বিধবাপত্নীকে * বিবাহ করিয়া শের খ বা শের শাহ ১৫৩৯ খৃষ্টাব্দে এই স্থান অধিকার করিয়া লন । ১৫১৬ খৃঃ হুমায়ুন রুমীখ"rর সাহাধ্যে এই স্থান ৬ মাস অৰরোধ করিয়৷ পরে অধিকার করেন । শের শাহ চনারগড়ে আশ্রয় লইমা পরে উক্ত স্থান পুনৰ্ব্বার অধিকার করিয়াছিলেন । ১৫৭৫ খৃঃ অঃ মোগলের পুনৰ্ব্বার চনারগড় অধিকার করিয়া মার্জাপুরে মোগলশাসন বন্ধমুল করে । ১৭৫০ খৃঃ অব্দে কাশীরাজ বলরাম মার্জাপুর অধিকার করেন । ইংরাজ-সেনাপতি মেজর মনূরে বক্সর-যুদ্ধর অব্যবহিত পরেঙ্গ চনা রহ্লগ অবরোধ করেন । খৃঃ অঃ চনার গ ইংরাজ-শাসনভুক্ত হয় । 2》 之 ১৭৮১ খৃঃ অঃ ও:ারেণ হেষ্টিংস কাশীরাজ চেভসিংহকে রাজ্যচু্যত করিবার চেষ্টা করায় তিনি লতিফপুরে মেজর পপহামের সৈন্সের নিকট পরাজিত হইয়। গোয়ালিয়ের পলায়ন করেন । তৎপরে ইংরেজদিগের অঙ্গু গ্রহে মহাপনারায়ণসিংহ কাশ্ম ও মীর্জাপুর প্রদেশের রাজ। হন । ১৮৫৭ খৃঃ অঃ মীর্জাপুরে সিপাহী বিদ্রোহ হয় । মার্জাপুরের এক কোষাধ্যক্ষ সিপাহী বিদ্রোহের স্বচন। প্রদর্শন করে । পরে ১লা জুন বারাণসীতে ও ৫ই জুন জোনপুরে সিপাহীগণ, বিদ্রোহা হইয়া উঠে । ংথ্যক পদাতিক সৈদ্যদল লইয়া বিদ্রোহ দমনে গমন করেন । ৮ই জুন শিখগণ আলোহাবাদে সমবেত হইল। পর দিন বিদ্রোহী সিপাহীগণের আক্রমণ-আশঙ্কায় মিঃ টুকার ব্যতীত সমস্ত ইংরাজ-সৈন্য চনারদুগে আশ্রয় লহল । ১ •হ জুন সেনাপতি মিঃ চুকার বিদ্রোহিগণকে আক্রমণ করিয়া পরাজয় করিলেন। ১১ই জুন তারিখে একদল মাত্রাঙ্গী ইংরাজসৈন্য ৮ মার্জাপুরে উপস্থিত হয় এবং জলদস্থ্যগণের গেীর নামক XᎳ 21劉びエ কলেজ পট ৪৭শ [ ११ ] মীজাপুর একটা প্রধান আণ্ডডা ধ্বংস করে। ভদোছি পরগণায় ঠাকুর गर्भाग्न मfलथस णि१श् वि८जारौ ह्म । शृट्रब्र भूङ झ्झेब्रा इं१ब्रांसবিচারে ফাসী কাঠে প্রাণ হারান । r ঠাকুরগণ প্রতিশোধ লইবার প্রদালে তথাকার জয়েণ্ট মজিষ্ট্রেটকে আক্রমণ করেন এবং তাছাকে ও অন্য ছুই জন নীলকরকে পালিগ্রামের কুঠতে নিহত করেম। ২৬শে জুন বান্দা ও ফতেপুরের সিপাহীগণ এবং ১১ই . আগষ্ট তারিখে দানাপুরের বিদ্রোহী সিপাহীগণ মীর্জাপুরে আলিয়া উপস্থিত ছয় । ইংরাজসৈন্যের নিকট পরাভূত হইয়। তাছরা মীর্জাপুর झाक्लिग्न। °णाब्रन कcग्न । विष्झाइँौं अधिज्ञाख्न सूभाग्न मि९ङ् ४हे তারিখে মীর্জাপুয়ে উপস্থিত হন এবং ১৬ই তারিখে নাগয় নামক স্থানেe eশ সংখ্যক দেশীয় পদাত্তিক সৈন্য বিদ্রোহী হইয়। মীর্জাপুরে উপস্থিত হয় । ১৮৫৮ খৃঃ অঃ জানুয়ারী মাসে সেনাপতি টুকার বিজয়গড় নামক স্থানে বিদ্রোহিগণকে আক্রমণ করিয়া পরাজিত করেন । বিদ্রোহিগণ শোণ নদীর অপর পারে পলায়ন করে । তদবধি মীর্জাপুরে শাস্তি স্থাপিত হুইয়াছে । মাজাপুরে সর্বত্রই নানা প্রাচীন কীর্তির ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয় । মীজাপুরের অনতিদূরে দুর্গাকুও নামক একট প্রশ্রবণ আছে। ইহার উত্তরাংশে কামাক্ষা দেবার মন্দির অবস্তিত্ত। পৰ্ব্বতগাত্রে নানাপ্রকার খোদিত মুৰ্ত্তি অস্থাপি বিদ্যমান থাকিয়। স্থানের প্রাচীনত জ্ঞাপন করিতেছে। এখানকার সিংহ, অশ্ব ও হস্তীর প্রতিমূৰ্ত্তি গুলি অতীব মনোরম ৷ মন্দিরগুলির অক্স পাশ্বে গুপ্ত-নরপতিগণের সময়ে উৎকীর্ণ লিপিতে পূর্ণ। লিপিরাজির অনেকাংশে চন্দ্র ও সমুদ্র নাম অঙ্কিত আছে। তদৃষ্ঠে প্রত্নতত্ববিদগণ অনুমান করেন যে, উচ্ছ। চন্দ্রগুপ্ত ও সমুদ্রগুপ্তের লিপি। প্রতি বৎসর দুর্গপুজার পরে এখানে একটা মেলা হইয়া থাকে। প্রাচীন কালে যে সকল পৰ্য্যটক এই দুর্গামন্দির দর্শনে আগমন করিয়া ছিলেন, তাহাঙ্গের নামমালা এখনও পৰ্ব্বতগাত্রে উৎকীর্ণ রহিয়াছে। এই সমস্ত লিপির অধিকাংশই গুগুবংশের পুববর্তী প্রাচ'ল কালে লিখিত । মীর্জাপুর-তহসালের মধ্যে বরিয়াঘাট নামক স্থানে হিন্দুর প্রসিদ্ধ বন্ধ্যাচল তৗথ অবস্থিত । এই স্থান বিন্ধেশ্বরী বা ৰিন্ধ্যবাসিনীর প্রাচীন মন্দির। প্রাচীন ৰিবরণামুসারে জান। যায় যে, বিন্ধ্যাচল বিলুপ্ত পম্পাপুরের রাজধানী ছিল । প্রবাদ আছে যে, এই স্থামে ১৪•টা দুর্গামন্দিয় ছিল। অঙ্গজেবের সময় তৎসমস্ত বিধস্ত হইয়াছে। প্রত্নত্তৰৰিদ কানিংহাম, ফাগু - সন ও ফুরার প্রভৃতি পণ্ডিতগণ বলেন যে, এখানে প্রাচীন কালে ৰিস্তীর্ণ রাজধানী ছিল । কিন্তু সেই পষ্পাপুর রাজ্যের
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।