গঙ্গাপত্রী ৩ হালরচিত সপ্তশতীর সপ্তশতকভাবলেশপ্রকাশিক নামে টীকাকাবু। গঙ্গাধর যতি, একজন বিখ্যাত বৈদান্তিক। রামচন্দ্র সরস্বতীর শিষ্য, সৰ্ব্বজ্ঞ সরস্বতীর প্রশিষ্য এবং যোগবাশিষ্ঠতাৎপর্যপ্রকাশরচয়িত আনন্দবোধেন্দ্র সরস্বতীর গুরু। ইন্সি গঙ্গাধর ভিক্ষু, গঙ্গাধর সরস্বতী অথবা গঙ্গাধরেঞ্জাতি নামেও আপনার পরিচয় দিয়াছেন। ইনি অনেক সংস্কৃত গ্রন্থ রচনা করেন, তন্মধ্যে এই কয়খানি পাওয়া যায়— চন্ত্রিকোদ্ধার নামে বেদান্তসিদ্ধান্তচন্দ্রিকার টীকা, প্রণবকল্পপ্রকাশ, বেদান্তসিদ্ধাস্তমঞ্জরী ও প্রকাশ নামে তাহার টীকা, সাম্রাজ্যসিদ্ধি ও মোক্ষ নামে তাছার টীক, সিদ্ধান্তংগ্রহ ও তাছার টীকা, স্বারাজ্যসিদ্ধি ও কৈবল্যকল্পদ্রুম নামে তাহার টীকা। শেষোক্ত গ্ৰন্থখানি ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে রচিত হয় । গঙ্গাধর বাজপেয়িন, অবৈদিকদৰ্শনসংগ্রহ ও রসিকরঞ্জিনী নামে অলঙ্কারশাস্ত্ররচয়িত । গঙ্গাধর শৰ্ম্ম, মুগ্ধবোধের একজন প্রসিদ্ধ টীকাকার। গঙ্গাধরশাস্ত্রী, কৃষ্ণরাজচম্পূগ্রণেতা। ইহার কার্য্যদক্ষতা দেখিয়া বরদার রাজ্যপরিচালক (Regent) ও গাইকোবাড়ের ভ্রাতা ফতেসিং ইহাকে নিজের প্রধান কৰ্ম্মচারীরূপে নিযুক্ত করেন। চতুরবুদ্ধি ও দক্ষতায় সস্তুষ্ট হইয়া রেসিডেন্ট লেফটেনাণ্ট কর্ণেল ওয়াকার ইহাকে বরদার প্রধানমন্ত্রী পদ প্রদান করেন । ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে পেশব বাজারাও পুণার গাইকোবাড়ের এজেণ্টে গোলযোগ হওয়ায় ইনি স্থিত হিসাব নিকাশ দিবার জষ্ঠ পুণ যাত্রা করিলেন । গাইকোবাড় পেশবার চরিত্র ও বিশ্বাসঘাতকতায় সন্দিগ্ধ হইয়া বৃটশ গবর্ণমেণ্টকে মধ্যস্থ করেন। গঙ্গাধর পুণায় পৌঁছিলে পেশব তাহাকে সমাদরে আহ্বান করিলেন ও কিছুদিন র্তাহাকে পুণায় থাকিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। পরে ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে জুলাই মাসে পেশব পুরন্ধরপুরে তীর্থযাত্রা কারলে গঙ্গাধরকেও সঙ্গে লইয়া যান। তথায় ১৪ই জুলাই সায়ংকালে ত্রিম্বকজী পেশবার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য তাহাকে বিথোবার মন্দিরে লইয়া গেলেন। আরাধনান্তে গঙ্গাধর পেশবার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । অনন্তর যখন তিনি বাসায় প্রত্যাগত হইতেছেন, এমন সময়ে পথে ত্রিম্বকী কর্তৃক রক্ষিত গুপ্তহত্যাকারীর হস্তে নিহত হন। গঙ্গাধরসরস্বতী ! গঙ্গাধর যতি দেশ ] গঙ্গাধরসূলু, রাঘবাস্থায় নামক সংস্কৃত কাব্যগ্রণেতা। গঙ্গাধরেন্দ্র [ গঙ্গাধর যতি দেখ ] , গঙ্গাপত্রী (স্ত্রী ) গঙ্গাবৎ পবিত্রং পত্নমস্তাঃ বহুত্রী। ততঃ [ Ꮌ☾Ꭸ ] গঙ্গাপুর উীপ্ত। বৃক্ষবিশেষ, ইহার পত্র অতিশয় সুগন্ধি। চলিত কথায় গন্ধপুত্রা বা পচাপাত বলে। ইহার পর্য্যায়-পত্ৰী, সুগন্ধ, গন্ধপত্রিক । ইহার গুণ কটু, উষ্ণ, বাতনাশক ও ত্রণের ক্ষতশোধনকারী । ( রাজনি• ) - গঙ্গাপালঙ্গ (পুং ) বনপালঙ্গশাক, বনপালঙ। (বৈদ্যক ) গঙ্গাপুত্র (পুং) গঙ্গায়াঃ পুত্রঃ ৬তৎ । ১ ভীষ্ম । ২ কাৰ্ত্তিক । ৩ বর্ণসঙ্কর জাতিবিশেষ । চলিত কথায় মুরদাফরাস বলে । ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণের মতে লেট জাতীয় পুরুষের ঔরসে ও তীবর জাতীয় কন্যার গর্ভে এই জাতির প্রথমে উৎপত্তি হয় । “লেটাৎ তীবরকন্যায়াং গঙ্গাপুত্র ইতি স্মৃত: ” (ব্রহ্মখণ্ড) ইহারা সৰ্ব্বদ গঙ্গাতীরে থাকিয়া মৃতের সৎকারে সাহায্য করে বলিয়া উহাদের নাম গঙ্গাপুত্র হইয়াছে । ৪ কাশী প্রভৃতি স্থানে গঙ্গাতীরে কোন ক্রিয়া করিতে হইলে যে ব্রাহ্মণ তাহ সম্পন্ন করায় তাহাকেও গঙ্গাপু ত্র কহে । ইহারা তীর্থযাত্ৰাদিগকে দেখাইয়া দেয় যে তীর্থাদির কোন স্থানে কি কি ক্রিয় করিতে হয় । সেখানে তীর্থযাত্রিগণ গঙ্গাপুত্রকে জিজ্ঞাসা না করিয়া কোন ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করেন না । গঙ্গাস্নানের সময় গঙ্গাপুল্ল অগ্রে যাত্রীদিগেয় হস্তে কুশ ও গঙ্গাজল দিয়া মন্ত্র বলিতে থাকেন । তাহার পর সকলে গঙ্গাস্নান করেন । স্নানের পর সকল যাত্রীর কপালে চন্দনের ফোটা দেন । যাত্রীরা তখন তাহাকে অর্থাদি দিয়া বিদায় করেন। কাশীতে গঙ্গার ঘাটে গঙ্গাপুত্ৰগণের স্ব স্ব স্থান নির্দিষ্ট অাছে। সেই স্থানে বে যাত্ৰী আসিবে তাহাকে সেই গঙ্গাপুত্র অধিকার করিবে । অনেক ব্রাহ্মণও গঙ্গাপুল্লদের কাজ করিয়া থাকেন। গঙ্গাপুত্ৰগণ অন্ত অঙ্গ ব্রাহ্মণ অপেক্ষ নিম্নশ্রেণীর । ধৰ্ম্মকাৰ্য্য উদ্দেশে ইহারা যাত্রীদিগের অনেক অর্থ শোষণ করিয়া লয়। পাণ্ডাদিগের সহিত ইহাদের আদান প্রদান চলে । ৩ পাটনীদিগের উপাধি । গঙ্গাপুর, ১ রাজপুতানার অন্তর্গত জয়পুররাজ্যের একটা নগর । ইহার জনসংখ্যা ৫৮৮০ । ২ সারণ জেলার অন্তর্গত একটী নগর । ইহার জনসংখ্যা ২৬৬৬। (গাঙ্গপুর) ৩ ছোটনাগপুর বিভাগের অন্তর্গত একট করদরাজ্য । অক্ষা ২১° ৪৭৫ ও ২২• ৩২/২০% উঃ, দ্রাঘি• ৮e• ১•১৫" ও ৮৫° ৩৪'৩৫′ পূঃ মধ্যে অবস্থিত। ইহার উত্তরে লোহারডাঙ্গ ও বশপুর করদরাজ্য, দক্ষিণে বোনাই, সম্বলপুর ও বামড়া, পূৰ্ব্বে সিংহভূম ও পশ্চিমে মধ্যভারতের অন্তর্গত রায়গড় প্রদেশ । ইহার ক্ষেত্রফল ২৪৮৫ বর্গমাইল । ইহাতে ২১টা গ্রাম আছে। লোকসংখ্যা লক্ষাধিক হইবে। গাপুর
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।