• গড়বাল • গড়কাল, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ছোটলাটের অধীন একটা জেলা। অক্ষা ২৯° ২৬ হইতে ৩১° ৫ উঃ ও দ্রাঘি• ৭৮° ১৭১৫% হইতে ৮৯৮ পূঃ মধ্যে অবস্থিত। ইহার উত্তরে তিব্বত (চীনের অধিকার ), পূৰ্ব্বে কুমাওন জেলা, দক্ষিণে ৰিজনেীর ও পশ্চিমে তেহরী ওদেরান জেলা । ইহায় ভূপরিমাণ ৫৫•• বর্গমাইল । লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে-fতন লক্ষ। পৌরিনগর ইহার সদর। প্রধান নগর শ্ৰীনগর। গড়বাল জেলা পৰ্ব্বতে পরিপূর্ণ। এই সকল পৰ্ব্বতাদি হিমালয়পৰ্ব্বতের অংশমাত্র। ইহার মধ্যে মধ্যে সঙ্গীর্ণ উপত্যকা ও গভীর খাত আছে। উপত্যকাদির মধ্যে শ্রীনগর উপত্যকাই সমধিক প্রশস্ত । রোহিলথগুৈর দিকে ইহার ভূমি অনেকট সমতল। উত্তর ভাগে হিমালয়ের কোলে ক একট চুড়া আছে। তন্মধ্যে ত্রিশূল নামক শৃঙ্গ ১৫৫৫৮ হাত উচ্চ, ননীদেবী ১৭১০৬ হাত, ফুনাগিরি ১৫৪৫৪ হাত, কমেত ১৬৯৪২ হাত, বদরীনাথ ১৫২৬৬ হাত ও কেদারনাথ ১৫২৩৪ হাত উচ্চ । হিমালয়ের দক্ষিণে কতক গুলি পৰ্ব্বতশ্রেণী গড়বীলের উত্তরপূৰ্ব্বে ও উত্তরপশ্চিমে সমান্তরালভাবে গিয়াছে। নায়ার নামক নদীর দক্ষিণে পাহাড়গুলি অধিক উচ্চ নহে, উই হইতে ভূমি ক্রমশ: সমতল হইয়া মাসিয়াছে। এই প্রদেশে অলকানন্দ নদীর উৎপত্ত্বি । অলকানন্দীতে যেখানে অপর নদী আসিয়া পড়িয়ছে, সেই স্থান এখানকার এক একটী তীর্থ বলিয়। গণ্য । দেবপ্রয়াগে অলকানন্দ৷ ভাগীরথীর সহিত মিলিত হইয় গঙ্গা নাম ধারণ করিয়াছে । এইজষ্ঠ দেবপ্রয়াগ একটী মহা তীর্থ। রামগঙ্গা নামক নদী লো ভ নামক স্থান হইতে বাহির হইয়া কুমাওল ও রেছিলখণ্ড দিয়া ফরস্কা বাদ জেলায় গিয়াছে । অতিরিক্ত স্রোতেম জষ্ঠ এখানকার কোন নদীতে নৌকাদি চলে না । তবে কাষ্ঠ ভাসাইয়া লইয়া যাইবার বেশ সুবিধা আছে। দেশের অধিকাংশই বন ; তাছাতে হিংস্র জন্তু পরিপূর্ণ। তবে শস্তক্ষেত্র বিস্তার হওয়াতে যষ্ঠভূমি ক্রমশঃ হ্রাস হইতেছে। গড়বালে হিন্দু অধিবাসীই অধিক। হিন্দুর সংখ্যা ৩৪৩১৮৬ জন। মুসলমান অধিক নাই। এতদ্ব্যতীত জৈন, বৌদ্ধ প্রভৃতি জাতির বাস। পৌরীনামক স্থানের নিকট চাপরায় একটা খৃষ্টানদিগের আড্ডা আছে। হিন্দুদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ, রাজপুত, বেণিমা, গোসাই ও ডোম অধিক । অষ্টান্যজাতির মধ্যে গড়বালের দক্ষিণভাগে ধূমনামক জাতির বাস। ইহার লোকের ধাড়ী চাকর থাকে। উত্তর ও মধ্যভাগে থশ নামক জাতির বাস। ইহাদের মধ্যে ব্রাহ্মণ ও রাজপুত ।. প্রভৃতি শ্রেণী আছে। কিন্তু এই সকল ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় শূত্র V & 總 8Ե [ a tున j গড়াল বলিয়া পরিগণিত। দেশের প্রকৃত ব্ৰাহ্মণ ও রাজপুত্ৰগণ স্থানান্তর হইতে এখtনে আসিয়া বাস করিয়াছে । কনকপাল নামক এক রাজা বহুকাল পুৰ্ব্বে চাদপুরে আসিয়া বাস করেন। সেই সময় ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণ নাকি “ আসিয়াছিলেন। চাদপুরের দুর্গের ভগ্নাংশ এখনও দেখা গিয়া থাকে । তুষারাবৃত হিমালয় প্রদেশে ভুটিয়াদিগের বাস । ভুটিয়ার হিন্দু ও চীনের মিশ্রণে উৎপন্ন বলিয়া বোধ হয়। ইহাঙ্গের সংখ্যা অল্প । তিব্বতের বাণিজ্য ইহাদেরই হস্তে । ইহার নিয়া নামক তিব্বতীয় ভাষা ও হিন্দি কথা ব্যবহার করিয়া থাকে। উহাদের উচ্চারণ কিছু স্বতন্ত্র। ইহার দৃঢ়কায়, অপরিস্কার ও-ক্রীপুরুষ উভয়েই মদ্যপায়ী । গড়বাকো সাধারণতঃ বহুবিবাহ প্রচলিত "। লোকেরা স্ত্রীলোককে দিয়া চাকরের কৰ্ম্ম করাইয়। লর এবং যে যত স্ত্রীলোককে আহার দিতে পারে, তত স্ত্রীলোককে পত্নীরূপে গ্ৰহণ করে । লিবাহ হইতেও যেমন, বিবাহবিচ্ছেদও তেমনি । স্ত্রীলোকের তা হত্যা ও অনেক শুনিতে পাওয়া যায় । গড়বালে কুষিকাৰ্য্য অতি অল্প ভূমিতেই হয়। তবে পুৰ্ব্বাপেক্ষ এখন অধিক ভূমি কৃষিযোগ্য হইয়াছে। অনেক বত্বে এখানে ফসল উৎপাদন করিতে হয়। পৰ্ব্বতের মধ্যে যেখানে এক বা দেড়হাত ভূমি পায়, সেখানেও শস্ত উৎপাদন করিয়া থাকে। গম, চাউল ও মড় স্থা নামক একপ্রকার শস্ত উৎপন্ন হয়, ইহাতেই অধিবাসীদিগের অভাব পূরণ করে এবং রপ্তানির জন্য কিছু উদ্বর্ড হইয়। তিব্বত ও বিজনেরে প্রেরিত হয়। মড়, কিছু অধিক জন্মিয় থাকে। তুলার চাধ অল্প । এখানে তুলা প্রস্তুত করিতে অনেক ব্যয় পড়ে । এজন্য অধিবাসীগণ शृॉनjर्छद्ग হইতে তুল.ক্রয় করিয়া থাকে । ইদানীং কৃষককুলেয় অবস্থা পূৰ্ব্বাপেক্ষা উন্নত হইয়াছে। তাহারা এখন পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক পরিমাণে গোরু রাখিতে পারে। তাহার জন্ত সারও অধিক পায় । পাহাড়ের ধারে ষথেষ্ট চায়ণ ভূমি আছে। উপত্যক। ও পাহাড়ের নিম্নস্থ ভবির জমিতে পশ্বাদি চরিধার বেশ জায়গা আছে। কিন্তু গবর্মেণ্টেয় বন্ত বিভাগের কৰ্ম্মচারী পশু প্রতি কর আদায় করিয়া থাকেন। কুমাগুন প্রদেশে ভাল চারণভূমি নাই বলিয়া সেখানকার পণ্ডগুলিকে এখানে চরাইতে জানা হয় । কৃষকেরা নিজেই জমির অধিকারী । অন্তান্ত স্থানের কৃষকের মত তাহারা ঋণগ্রন্ত নহে। খাজনা প্রায়ই টাকায় দেওয়া হয়। তবে কেহ কেহ শস্তের সিকি বা चांद्र थांछनt cभीt५ कब्रिघ्न थtट्रक । यथम १iछ, *टङ्ग शम ७
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।