গতায়ুস হইয়াছে। যাহার দন্ত ঈষৎ রক্তবর্ণ, ভাববর্ণ বা পতিত হয়, অথবা অতিশয় কৃষ্ণবর্ণ হয়, তাহার আয়ু: শেষ হইয়াছে জানিবে। যাহার জিহব। কৃষ্ণবর্ণ, স্তন্ধ" অবলিপ্ত, ককশ বা স্ফীত, যাহার নাসিক বক্র, স্ফটিত, শুষ্ক, অবনত বা উন্নত, চক্ষু দুইটার একটা ছোট ও একটা বড়, অথবা চক্ষু দুইট ক্ষুদ্র, নিশ্চল, রক্তবর্ণ ও অধোদৃষ্টিবিশিষ্ট, এবং যাহার চক্ষু হইতে অনবরত জল পড়ে, সে রোগীর নিশ্চয়ই মৃত্যু হয়। যাহার কেশ দাঁতে কাটার ন্যায় দুই পাশে বিক্ষিপ্ত, ক্রুইট ক্ষুদ্র বা বিস্তৃত এবং চক্ষুর পক্ষ ছিন্ন, সে রোগী শীঘ্র প্রাণ ত্যাগ করে। যে ব্যক্তি মুখস্থিত অল্প গ্রাস করিতে পারে না, মস্তক সরলভাবে ধারণ করিতে পারে না, একাগ্র দৃষ্টি এবং অচেতন, সে রোগীর শীঘ্ৰ মৃত্যু হয়। রোগী সবলই চউক বা দুৰ্ব্বলই হউক, যত্নপূর্বক তুলিলা বসাইলে যে মূৰ্ছিত হয়, তাহার আর বাচিবার আশা নাই। যে রোগী চিৎ হইয় গুইয়। পাদুখানি কুঞ্চিত করে, অথবা সৰ্ব্বদাই প্রসারণ করিতে অভিল্লাষ করে, शैशद्भ રૂ છુ, બા অতিশয় শীতল এবং উৰ্দ্ধশ্বাস, ছিন্ন শ্বাস বা কাকের ন্যায় शूथ दिङ्गठ ३ईझ श्वाग दाश्द्रि श्, ङीशङ्गे আয়ু শেষ হই য়াছে জানিবে, তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হয় না ; অথবা যে সৰ্ব্বদাই জাগরিত থাকে ও কোন কথা বলিতে উদ্যত হইলে মোহ প্রাপ্ত হয়, যে রোগী নীচের ওষ্ঠ লেহন করে, ঘন ঘন উদগীর তোলে ও প্রেতের সহিত কথা বলে, সে রোগীর মৃত্যু হয়। শরীর কোন রূপে বিযদূষিত না হইলেও যাহার রোমকৃপ হইতে রক্ত নির্গত হয়, যে রোগী তৎক্ষণাৎ প্রাণত্যাগ করে । বাতাষ্ঠীলা রোগে যাহার তাষ্ঠীল। উদ্ধগামিনী হইয়৷ হৃদয়ে উঠে, এবং সেই কারণে ঘোর যন্ত্রণ। ও অন্নে অরুচি জন্মে, তাহুর মৃত্যু নিশ্চিত । অন্ত কোম উপদ্রব ব্যতাত পুরুষের পাদ স্ফীত বা নারীর গুহাদেশ অথবা মুখ স্ফীত হইলে মৃত্যু হয়। অতীসার, জর, হিক। বৰ্মা এবং অণ্ড ও মেঢ়দেশ স্ফীত, শ্বাসরোগী বা কাশরোগীর এই সকল উপদ্রব ঘটিলে তাহার আশা পরিত্যাগ করিবে । অতিশয় ঘৰ্ম্ম, দাহ, হিকা ও শ্বাস এই কয়ট উপদ্রব জন্মিলে বলবান রোগীরও প্রাণ বিয়োগ হয়। যে রোগীর চক্ষুজলে মুখ পরিপূর্ণ হয়, পা দুখানিতে অবিরতই ঘৰ্ম্ম হইতে থাকে, চক্ষু আকুলিত হুয়, যাহার শরীর হঠাৎ অতিশয় লঘু বা অতিশয় ভারযুক্ত বলিয়া বোধ হর অথবা যাহার বমনে পঙ্ক, মৎস্ত, বসা, তৈল বা স্কৃতের স্থায় গন্ধ হয়, তাহার মৃত্যু উপস্থিত । যাহার মাথার উকুনে কপাল পৰ্য্যস্ত ব্যাপ্ত হয়, যাহার মঙ্গল কামনায় প্রদত্ত বলি বাক [ ২১৬ ) - গতায়ুস্ * প্রভৃতিতে গ্রহণ করে না এবং যাহার রতিশক্তি একেবারেই বিনষ্ট হয়, তাহার মৃত্যু উপস্থিত। যে রোগীর জর, অতীসার ও ফুলা এই তিনটাই প্রবল হইয়া উঠে এবং মাংসে ও বলে ক্ষীণত জন্মে, তাহাকে কেহই চিকিৎসা করিতে পারেনা'। শরীর অতিশয় ক্ষীণ হইলে রুচিকর, মিষ্ট ও হিতকর অন্ন পান দ্বারা যাহার ক্ষুধা বা তৃষ্ণার শান্তি হয় না, তাহার মৃত্যু আসন্ন জানিবে। গ্ৰহণী, শিরঃশূল, কোষ্ঠশুল, অতিশয় পিপাসা ও বলহানি এক কালে যাহার এই কয়ট উপদ্রব ঘটে, তাহার নিশ্চয়ই মৃত্যু হয়। ( মুশত স্বত্র ৩১ অ: ) শরীরের যে অঙ্গ স্বভাবতঃ যে প্রকার হইয়া থাকে, তাহার অন্যথা হইলে মৃত্যুর লক্ষণ বলা যায় । শরীরের শুরুধর্ণের কৃষ্ণতা, কৃষ্ণবর্ণের শুক্লতা, রক্ত প্রভূতি বর্ণের অঙ্গ প্রকার বর্ণ হওয়া, স্থিরের অস্তিরত, স্থলের কৃশতা, কৃশের স্থূলতা, দার্থের থৰ্ব্বত, খৰ্ব্বের দীর্ঘতা ; অথবা কোন অঙ্গ হঠাৎ শীতল, উষ্ণ, স্নিগ্ধ, রূক্ষ্ম, বিবর্ণ বা অবসন্স হওয়া যাহার শরীরে এই সকল লক্ষণু প্রকাশিত হয়, অল্পদিন মধ্যেই তাহার মৃত্যু ঘটিয়া থাকে। শরীরের উৎক্ষিপ্ত, অবক্ষিপ্ত, পতি ত, নির্গত, অন্তর্গত, গুরু বা লঘু হওয়াও স্বভাবের BBBBS KBB BBBB BBBBB BD CBBS BBS দাগ জন্মাণ, ললাটের শিরা সকল দৃষ্ট হওয়া, নাকের ডাটাতে পিড়ক উৎপত্তি, প্রভাতকালে ললাট হইতে ঘৰ্ম্ম বাহির হওয়া, নেত্ররোগ না থাকিলেও অশ্রদ্ধার পতন, মস্তকে গোময়চুর্ণের স্থায় ধূলিদশন অথবা মস্তকে কপো ও কঙ্ক প্রভৃতি পক্ষীর পতন, ভোজন না করিলেও মলমূত্রের বৃদ্ধি অথবা ভোজন করিলেও মলমূত্রের অভাব, স্তনমূল, বক্ষঃস্থল বা হৃদয়ে অতিশয় বেদনা, কোন অঙ্গের মধ্যস্থল স্ফীত ও উভয়পাশ্ব কৃশ অথবা মধ্যস্থল কুশ ও উভয়পাশ্ব স্ফীত, অৰ্দ্ধাঙ্গে শোথ, সমস্ত অঙ্গ শুষ্ক এবং স্বর নষ্ট, হীন, বিকৃত, বিকল অথবা দস্ত, মুখ বা নখ প্রভৃতি স্থানে বিবর্ণ পুষ্পের দ্যায় চিহ্ন, কফ পুরীয বা রেত জল দিলে মগ্ন হওয়া, দৃষ্টিমগুলে ভিন্নপ্রকার বিকৃতরূপ দর্শন, কেশ বা অঙ্গ তৈল মাথার স্তায় দেখান, অতীসার রোগে অরুচি ও দুৰ্ব্বলতা, কাশরোগে তৃষ্ণায় অভিভূত হওয়া, ক্ষীণতা, বমন, অরুচি, ফেণার সহিত পু্য রক্ত বমন, ভগ্নশ্বর ও বেদনায় অভিভূত হওয়া, ছন্ত, পদ ও মুখ ফীত, ক্ষীণ, রুচিহীন, নাভি, স্বন্ধে ও হস্ত পদের মাংসের শিথিলত, জর ও কাশে অভিভূত হওয়া ; কোন স্থান স্বস্থান হইতে স্থলিত,
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।