, গন্ধ ভাষায় বিনাশ হইবে না। ইং ব্যতীত দ্বাণুক প্রভৃত্তি-জন্ত পৃথিবীর গন্ধ অনিত্য, পাক প্রভৃতি কারণে বিনষ্ট হইয়া থাকে। ( ১ ) মুক্তাবলীকায় বিশ্বনাথের মতে সকল গন্ধই অনিত্য। তিনি নিত্য গন্ধ স্বীকার কয়েন না । দার্শনিকের মতে এই গন্ধ আবার দুই প্রকার সুরভি ও অসুরভি। মহাভারতের মতে গন্ধ দশভাগে বিভক্ত । (২) ১ ইষ্ট, ২ অনিষ্ট, ৩ মধুর, ৪ অম্ল, ৫ কটু, ৬ নিহারী, ৭ সংহত, ৮ স্নিগ্ধ, ৯ রূক্ষ ও ১• বিশদ । ইহাদের মধ্যে কুন্তী প্রভৃতির গন্ধ ইষ্ট, বিষ্ঠাদির গন্ধ অনিষ্ট, মধুযুক্ত পুষ্পাদির গন্ধ মধুর, মরিচ প্রভৃতির গন্ধ কটু, হিঙ্গুর গন্ধ নিহারী, মিশ্রিত গন্ধ চিত্র, সদ্য তপ্ত ঘৃতের গন্ধ স্নিগ্ধ, সার্যপ তৈলের গন্ধ রূক্ষ, শালীতণ্ডুলের গন্ধ বিশদ ও তিন্তিড়ী প্রভৃতির গন্ধ অর্ম নামে বিখ্যাত । কালিকাপুরাণের মতে মুরভি গন্ধ পাচভাগে বিভক্ত— চূর্ণীকৃত, ঘৃষ্ট, দাহাকৰ্ষিত, সম্মজি রস ও প্রাণীর অঙ্গসমুদ্ভব রস। গন্ধদ্রব্যের চুর্ণ, গন্ধপত্র বা পুষ্পের চূর্ণ এই সকল প্রকার গন্ধকে চূর্ণীকৃত গন্ধ ঘলে। চন্দন, সরল ও নমেরুর ঘর্ষণ জন্ত গন্ধ এবং অগুরু প্রভৃতি ঘর্ষণ দ্বারা যাহার পঙ্ক নির্গত করিয়া দেবতাকে অর্পণ করা যায়, ইহাদিগকে য়ষ্ট গন্ধ বলে । দেবদার, অগুরু, পদ্ম, গন্ধসার ও চন্দন প্রিয়া চোয়াইয়া যে সুগন্ধি রস নির্গত হয়, তাহার নাম দাহকর্মিত গন্ধ । সুগন্ধ করবার, বিহু, গন্ধিনী এবং তিলক প্রভৃতি নিপীড়ন করিয়া যে রস গৃহীত হয়, তাহার নাম সম্মদজগন্ধ । মৃগণাভি বা তাহার । কোষ হইতে যে গন্ধ উৎপন্ন হয়, তাহার নাম প্রাণ্যঙ্গজগন্ধ । ইহা স্বৰ্গবাসীদের অত্যন্ত আমোদপ্রদ। কপূর ও গন্ধসারাদি চূর্ণ এবং দৃষ্ট এই উভয়ের অন্তর্গত। ( কালিকাপুরাণ ৬৯ অধ্যায়। ) তন্ত্রসারের মতে মধ্যম, অনামিকা ও অঙ্গুষ্ঠের অগ্রভাগ দ্বারা দেবতাদিগকে গন্ধ দিতে হয় । { গন্ধযুক্তি দেখ। ] ২ লেশ। ৩ সম্বন্ধ । ৪ গন্ধক। ৫ গৰ্ব্ব । ৬ শোভাঞ্জন । ( শব্দরত্নাবলী ) ( ०) "atठन निप्लाबू मिठाश्मूखा: " (ऐईशश्कि १ ) 'ब्रभऔनाrभष छछू{ी निष्ठाषू"tग्रमू दéभांनार निष्ठाश्भूख५॥' (७शक्षाब्र) (২) "ইষ্টশ্চালিষ্টগন্ধশ্চ মধুয়োংমঃ কটুগুধ। मिईtन्नैौ अ१झड: प्रिाझां ब्रtऋ बिन्दुंज़ 4दा । এবং দশবিধে স্লেয়; পাৰ্থিবে গন্ধ ইতুত।” (ভারত ১৪৫• অঃ) [ રર૧ l গন্ধক (ौ)१ क्लक्षां७ङ्ग । ()ि भएको३छ अखि भंक अष्ट्र। ৮ গন্ধযুক্ত, যাহার গন্ধ আছে। ৯ প্রতিবেশী । বহুব্রীহি সমাস হইলে উৎ, পুতি, সু, ও সুরভিশন্ধের পরবর্তী গন্ধ শব্দের আকারের স্থানে ইকার হয়। যথা উদগন্ধি, পুতিগন্ধিঃ, সুগন্ধি, সুরভিগন্ধিঃ। গন্ধক (পুং) গন্ধোহস্তান্ত গন্ধ-অৰ্চ তত: স্বার্থে কন্। ১ শিগ্র, বৃক্ষ। (শঙ্করত্নাবলী ) সজন।। ২ স্বনামখ্যাত উপধাতু বিশেয । পৰ্য্যায়— গন্ধাশ্ব, সৌগন্ধিক, গন্ধিক, সুগন্ধিক, গন্ধপাষাণ, পামায়, গন্ধমোদন, পূতিগন্ধ, অতিগন্ধ, বর. সুগন্ধ, দিব্যগন্ধ, রসগন্ধক, কুষ্ঠারি, ক্রুরগন্ধ, কীটল্প, শর ভূমিজ, গন্ধী। বৈদ্যকমতে ইহার গুণ-কটু, উষ্ণ, তাত্র, অতিশয় অগ্নিবৃদ্ধিকর। ( রাজনি" ) কৃমি, প্লীহা ও নেত্র রোগনাশক । ( রাজবল্লভ ) ভাবপ্রকাশে গন্ধকের উৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে –কোন একদিন দেবী ভগবতী শ্বেতদ্বীপে ক্রীড়া করিতেছিলেন । এমন সময়ে তাহার পরিধেয় বস্ত্রখানি আৰ্ত্তবরক্তে প্লাবিত হয়। পৰ্ব্বতনদিনী আস্তে ব্যস্তে সেই কাপড় পরিয়াই ক্ষীরসমুদ্রে স্নান করেন । ইহাতে রজঃ নিঃস্থত হয়, তাহ হইতে গন্ধকের উৎপত্তি হয় । গন্ধক বর্ণভেদে চারিপ্রকার। রক্ত, পীত, শ্বেত ও কৃষ্ণবর্ণ। স্বর্ণসংস্কারবিযয়ে রক্তবর্ণ, রসায়নক্রিয়াতে পীতবর্ণ ও ব্ৰঃআলেপন বিষয়ে শ্বেতবর্ণ গন্ধক প্রশস্ত। কৃষ্ণবর্ণ গন্ধম, স্বর্ণ সংস্কারাদি সমস্ত কার্য্যে প্রশস্ত, কিন্তু প্রায়ই দেথি । পাওয়া যায় না। (ভাবপ্রকাশ পূৰ্ব্ব ১ম ভ। ) অশুদ্ধগপ কুষ্ঠ, পিত্তরোগ ও ভ্রান্তিজনক এবং বীর্য্য, বল ও রূপনাশক, সুতরাং গন্ধক শোধন না করিয়া প্রয়োগ করিতে নাই । গন্ধকশোধনপ্রণালী-একটী লৌহনিৰ্ম্মিত পাত্রে স্কৃত চাপাইয়া অগ্নিতে উত্তপ্ত করিবে । স্কৃত উত্তপ্ত হইলে তাছার সমান পরিমাণ গন্ধকচুৰ্ণ তাহাতে নিক্ষেপ করিবে। গন্ধক গলিয়া গেলে সুহ্ম বস্ত্রে ছাকিয়া যুদ্ধ মধ্যে ফেলিবে । এইরূপ করিলেই গন্ধক শোধিত হইবে । শোধিত গন্ধকের গুণকটু, তিক্ত, ক্যায় রস, উষ্ণবীৰ্য্য সরগুণবিশিষ্ট, পিত্তবৃদ্ধিকর, কটুপাক, রসায়ন এবং কও, বিসর্প, ক্রিমি, কুষ্ঠ, ক্ষয়, প্লীহা, কফ ও বায়ুনাশক। (ভাবপ্রকাশ পূৰ্ব্ব ২ ভা) রমেন্দ্রসারসংগ্রহের মতে গন্ধকের শোধনপ্রণালী— একটা ভাড়ের মধ্যে দুধ ও ঘৃত রাখিয়া কাপড় দিয়া ভীড়ের মুখ বাধিয়া দিবে এবং তাছার উপরে গন্ধক রাখিয়া শর ঢাকা দিয়া সন্ধি স্থানে লেপ দিবে। পরে মাটির মধ্যে পুতিয়া উপরে লঘু পট প্রদান করিলে গন্ধক গলির দুগ্ধে
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।