গন্ধক পতিত হইবে । এই বিশুদ্ধ গন্ধক ঔষধাৰ্থ প্রয়োগ করিবে। বিশুদ্ধ গন্ধকের গুণ-রসায়ন, সুমধুর, পাকৈ কটু ও উষ্ণ, কণ্ডু, কুষ্ঠ ও বীসর্পরোগনাশক । অগ্নিবৃদ্ধিকর, পাচন, আমশোধক ও নিবারক, কৃমিনাশক, বিষন্ন, পুত্রোৎপাদক, ইলিয়ের বলকারক ও বীৰ্য্যপ্রদ । ইহা স্বর্ণ হইতেও অতিশয় বীর্যকর। রসেস্ত্রসারসংগ্রহে গন্ধকশোধনের আর একটা উপায়ও লিখিত আছে,—গন্ধকচুৰ্ণ ভৃঙ্গরাজ রসে ভিজাইয়া রৌদ্রে শুকাইবে । এইরূপ তিনবার করিয়া কুল কাঠের আগুণে গলাইয়া বস্ত্রাবৃত্ত পাত্রপূর্ণ ভৃঙ্গরাজরসে ঢালিয়া দিবে। এইরূপ দুইধার করিয়া ধৌত ও শুষ্ক করিলে গন্ধক শুদ্ধ হয় । ( রসেন্দ্রসারসংগ্ৰহ ) পাশ্চাত্য মতে গন্ধক শুদ্ধ হরিদ্রীবর্ণ, কথন হরিদ্রাবর্ণের সঙ্গে অন্যান্য রঙের আত থাকে। ইহা দহনশীল কঠিন ভঙ্গপ্রবণ স্বাদবিহীন, ২২৬ ডিগ্রি উত্তাপে গলিয়া যায়। ৫৬০ ডিগ্রি উত্তাপে দগ্ধ হয় । পুড়িবার সময় ইহা হইতে এক প্রকার গন্ধ ও নীলবর্ণ শিখা বাহির হয় । অধিক উত্তাপে শিখা শ্বেতবর্ণ ধারণ করে । গন্ধক থনিজ, কিন্তু ধাতু নহে। থনিতে ইহা কখন স্বতন্ত্র, কথন বা সীসা, দস্তা, লোহা, বিয, পায়দ, লৌহ ও তাম্রের সহিত মিশ্রিত দেখিতে পাওয়া যায় । সরিষার বীজের মধ্যেও গন্ধকের অংশ আছে । ডিম্বের শ্বেত অংশে ও মনুষ্যদেহের রক্তের মধ্যে গন্ধক দেখা গিয়া থাকে । খনিজ গন্ধকই সচরাচর ব্যবহার হয় । অন্তান্ত দ্রব্যের সহিত মিশ্রিত থাকিলে চোলাই করিয়া গন্ধক বাহির করিয়া লইতে হয়। দ্রবগন্ধক ছাচে ফেলিয়া গন্ধকের বাতি প্রস্তুত হয়। পাশ্বদেশেই অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে গন্ধক পাওয়া যায়। য়ুয়োপের স্পেন, সিসিলি, সুইজলণ্ড, আমেরিকায় ইউনাইটেডষ্টেটুস বা যুক্তরাজ্য, এলিয়ায় পারস্ত, নেপাল, ব্ৰহ্মদেশ, বলুচীস্থান, আফগানস্থান, উত্তরব্রহ্ম, ভারতের মরিপাহাড়, দের ইসমাইল খ, উদয়পুর প্রভৃতি স্থানে অধিক পরিমাণে গন্ধক পাওরা যার। এক্ষণে দক্ষিণ ভারভে মসলিপত্তন, সালেম, কদীপা, ত্রিবাঙ্কুড়, ত্ৰিচিনপল্লী, উত্তর অtয়কট প্রভৃতি স্থান হইতে অল্প পরিমাণে পাওয়া যাইতেছে। ভারতের নানাস্থানে উষ্ণপ্রস্রবণে অনেক গন্ধক দেখা যায়। এরূপ উষ্ণগ্রস্রবণ যবদ্বীপ, সিলিবিশ প্রভৃতি নানাস্থানে আছে। গন্ধক হইতে অনেক প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রস্তুত হয়। পূৰ্ব্বে এদেশে গন্ধকের দেশালাই হইত। এখনকার অনেক দেশালাইয়ে গন্ধক দেওয়া হর । পাশ্চাত্য মতে গন্ধক হইতে অনেক ঔষধ প্রস্তুত হয়। [ રફ ] আগ্নেয়পৰ্ব্বতের গন্ধকালী , ' so গন্ধকের তাপুরা লইলে রক্ত পরিষ্কার হয়। ফুসফুসের পীড়া, বুকে সদিবস, যক্ষ, উদরাময়, ওলাউঠা, ক্রিমি রোগ, খোসপাচড়া, বসন্ত, বাত, বহুমুত্র, আমাশর প্রভৃতি রোগে গন্ধকের প্রয়োগ বিশেষ উপকারজনক । কি হোমিওপ্যাথি, কি এলোপ্যাণী উভয়বিধ চিকিৎসা প্রণালীতেই ইহার প্রয়োগ হইয়া থাকে। গন্ধককজজলী ( স্ত্রী) ঔষধবিশেষ । রসেন্ত্রসারসংগ্রহের মতে ইহার প্রস্তুতপ্রণালী-কণ্টকারী, নিসিনা ও নাটা করঞ্জের রস একটা পাত্রে রাথিয়া তাহাতে গন্ধক নিক্ষেপ কয়িবে এবং অল্প আগুণে জাল দিবে। গন্ধক গলিয়া গেলে গন্ধকের সমান পরিমাণ পারা তাহাতে দিবে। যখন দেখিবে যে পারা ও গন্ধক মিশিয়াছে, তথন নামাইয়। মাড়িতে থাকিবে । এইরূপে মাড়িতে থাকিলে যখন উহ! ঠিক কজলবর্ণ হইবে, তখন ঔষধ প্রস্তুত হইল জানিবে । ইহার মাত্রা এক রতি। জীরা একমাষা, লবণ এক মাষা ও পাণের সহিত সেবন করিবে । ইহাতে ত্রিদোষজনিত জর নাশ হয় । ঔবধ খাইয়া পরে উষ্ণজল পান করিবে । বমনে চিনি, আমে গুড়, ক্ষয়ে ছাগদুগ্ধ, রক্তাতীসারে কুরচৗমূলের ছালের রস, ও রক্তবমনে যজ্ঞডুমুরের রস অসুপানে সেবন করিলে ভাল হয় । ( রসেন্দ্রসারসংগ্রহ) গন্ধকচুৰ্ণ (রী ) গন্ধক প্রধানং চুর্ণং মধ্যপদলো । গন্ধপ্রধান চূর্ণ, বারুদ । গন্ধকন্দ্রাবক (ক্লী ) ঔষধবিশেষ । [ গন্ধদ্রাবক দেথ । ] গন্ধকন্দ (পুং ) গন্ধ প্রধান কন্দেtহস্ত বহুত্রী। কশের বৃক্ষ, কেণ্ডর । (বৈদ্যক ) গন্ধকস্ত রিকা (স্ত্রী) সুগন্ধি দ্রব্যবিশেষ। গন্ধকস্তরী ( স্ত্রী ) সুগন্ধি দ্রব্যবিশেব। গন্ধকারিক (স্ত্রী ) গন্ধং গন্ধ প্রধানং বেশাদিকং করেীতি গন্ধ রূ-খুলটাপ অতইত্বং স্বৈরিন্ধী, পয়গৃহস্থিতা শিল্পনিপুণ স্বাধীন রমণী । (হলা” ) গন্ধকালিক। (স্ত্রী ) গন্ধকালী-কন্টাপ্ ঈকারস্ত হ্রস্বত্বঞ্চ । ব্যাসদেবের মাতা । গন্ধকালী ( স্ত্রী ) গন্ধঃ প্রশস্তগন্ধস্তস্মৈ অলতি পৰ্য্যাপ্নোতি অলঅচ গৌরাদিত্বাং উীম্। ১ ব্যাসদেবের মাত, ইহার অপর নাম সত্যুবতী । “অদ্য ত্বং জননীং ভীষ্ম । গন্ধকালীং যশস্বিনীম।” (হরিবং ২০৫০ ) { সত্যবতী দেখ। ] ২ কুম্ভীর মূৰ্ত্তিধারিণী শাপভ্রষ্টা একটা অঙ্গরা। হনুমানের হস্তে নিহত হইয়া মুক্তিলাভ করে। ( রামায়ণ )
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।