গবাময়ন [ ২৯২ ] গবাপতি ' গবামৃত । ক্লী ) গবি গোবিষয়ে অমৃতম্। গোবিষয়ে মিথ্য কথন । “গবামৃতে পঞ্চশতং সহস্রং পুরুষামৃতে ।” (স্থতি ) গবান মাহ্মদ বা মাহ্মদ গবান, দক্ষিণাপথের বাহ্মণী রাজগণের একজন প্রধান মন্ত্রী । ১৪৬১ খৃষ্টাব্দে ৩রা সেপ্টেম্বর রাজা হুমাউনের মৃত্যু হইলে তৎপুঞ্জ অষ্টম বর্ষীয় নিজামশাহ রাজপদে অভিষিক্ত হন । র্তাহার মাতা বিশ্বস্ত ও বিচক্ষণু মাঙ্গদ গবানকে মন্ত্রিত্বে নিযুক্ত করেন । ১৪৬৩ খৃষ্টাব্দে নিজামশাহের মৃত্যু হইলে তাছার ভ্রাত। মহম্মদ রাজা হন। তিনিও মাক্ষ, গবানকে মন্ত্রী করেন। ১৪৮১ খৃষ্টাব্দে নিজাম উলমূলক ভৈরি নামক এক ব্যক্তি চক্রান্ত করিয়া মাদ গবানকে বিশ্বাসঘাতক বলিয়। রাজার নিকট প্রতিপন্ন করেন । রাজাও সে কথায় বিশ্বাস করিয়! গবলের প্রাণুবধের আজ্ঞা দেন। গবানের মৃত্যু হইতেই বাহ্মণী রাজ্যের অধঃপতন আরম্ভ হয়। গবীময়ন ( ক্লী ) দশমাস বা দ্বাদশমাস সাধ্য যজ্ঞবিশেষ । তা গু্যব্রাহ্মণের চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়ে ইহার বিযয় এইরূপ লিখিত আছে—পূৰ্ব্বকালে কতকগুলি বন্য পশু মিলিত হইয়া সংবৎসর পর্য্যন্ত একটা যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে। তাহার পরে অপর অপরেও এই যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে বলিয়া ইহার নাম গবাময়ন হইয়াছে। বন্য পশুর সাধারণ নাম গো । যাহারা যজ্ঞ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, দশমাস পৰ্য্যস্ত যজ্ঞের অনুষ্ঠান হইলে তাহদের মধ্যে কতকগুলি গোরুর শৃঙ্গ উঠিল । তাহারা পরম্পর বলিতে আরম্ভ করিল যে, আমরা সকলেই যজ্ঞফলে সমৃদ্ধিশালী ইষ্টয়াছি এবং আমাদের শৃঙ্গ ও উঠিয়াছে। অতএব আর যজ্ঞানুষ্ঠানের অবিশুক নাই, এথন যজ্ঞের সমাপন করিব। তাহার দশমাস পর্য্যস্ত যজ্ঞ করিয়া ফললাভ করিয়াছিল বলিয়৷ এই যজ্ঞটা দশমাস সাধ্য হইয়াছে। (তাও্যব্রাহ্মণ ৪।১।১।) তাহীদের মধ্যে অপর কতকগুলি পশু যাহারা ফল লাভ করিতে পারে নাই, তাহারা বলিয়াছিল যে, আমরা সংবৎসরের অবশিষ্ট আরও দুই মাস পর্য্যন্ত যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া প্রারব্ধ যাগের সমাপন করিল। সংবৎসর যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিলে তাহাদের শৃঙ্গ উঠিয়ছিল। কাহায়ও মতে তাহার শৃঙ্গ উঠিলে পরেও অশ্রদ্ধায় যজ্ঞ করিয়াছিল বলিয়া তাহদের শৃঙ্গ পুনৰ্ব্বার পতিত হইয়াছিল। যজ্ঞফলে ইছারা সকল ঋতুমুলভ আছা রীয় দ্রব্য প্রাপ্ত হইল। বোধ হয়, এই সময় হইতেই ইহাদের ঘাস খাইবার ব্যবস্থা হইয়াছে। এই কারণে শৃঙ্গহীন পশুগণ সকল ঋতুতেই হৃষ্টপুষ্ট হইয়া বিচরণ করে। কিন্তু শৃঙ্গযুক্ত মহিষ প্রভৃতি পশুসমূহ শীত ও রৌদ্রের উত্তাপে কুশ श्हेग्न राग्नि । (ठ७jखां* 8॥४॥२) हे शंङ्गां दांन" मांम ठाकूर्छांन করিয়৷ ফললাভ করে সেই কারণে এই যজ্ঞটী দ্বাদশ মাসসাধাও হইয়াছে। ভাষ্যকারের মতে—জ্যোতিষ্টোম ও দশপুর্ণমালাদি যজ্ঞের ষিধান স্থলে কোনরূপ ফলের উল্লেখ না থাকিলেও যেরূপ স্বৰ্গলাভই তাহার ফল । সেই প্রকার এই স্থলে কোন ফলের উল্লেখ নাই বলিয়৷ ইহার ফল স্বৰ্গপ্রাপ্তি হইতে পারে । কিন্তু ইহার পরে সমৃদ্ধিপ্রাপ্তির কথা আছে বলিয়৷ এই যজ্ঞের ফল সমৃদ্ধিপ্রাপ্তি, স্বৰ্গলাভ নহে। তৈক্তিরায়ক ব্রাহ্মণে এই যাগের ফল সমৃদ্ধিলাত স্পষ্টাক্ষরেই লিখিত আছে। চৈত্রমাসীয় শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে এই যজ্ঞে দীক্ষিত হইতে হয় । চৈত্রমাস সংবৎসরের চক্ষুর ন্যায় সৰ্ব্বপ্রথমাবয়ব, এই কারণে তাহাতেই যজ্ঞদীক্ষার বিধান করা হইয়াছে। যজ্ঞমাত্রেই বারটা দীক্ষা আছে, যদি শুক্লপক্ষীয় একাদশীতে প্রথম দীক্ষা হয়, তবে কৃষ্ণপক্ষীয় সপ্তমী পর্য্যস্ত দ্বাদশরাত্রিতে স্বাদশট দীক্ষা সমাপ্ত হয়, কৃষ্ণপক্ষীয় অষ্টমীকে একাষ্টক বলে, তাহাতে রাজক্রয় হইতে পারে। এই দিন প্রাতে প্রায়ণীয় প্রভৃতি যজ্ঞ বয়বের অনুষ্ঠান করিতে হয় । ইহা ছাড়া আরও ফল আছে। শুক্লপক্ষীয় একাদশীতে দীক্ষা হইলে সোম্যাগটা পূৰ্ব্বপক্ষেই সমাপ্ত হইয়া যায় এবং সকল যজ্ঞেই দীক্ষার পরে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশটা উপসদ থাকে, এরূপস্থলে স্বাদশ দীক্ষার পর কৃষ্ণপক্ষীয় অষ্টমী হইতে শুক্লপক্ষের চতুর্থ পর্য্যন্ত স্বাদশ দিনে দ্বাদশট উপসদ শেষ হয় এবং শুক্লপক্ষীয় পঞ্চমীতে প্রথম অতিরাত্রের অনুষ্ঠান করা যাইতে পারে । এইরূপ ত্রিশ দিনে পূৰ্ব্বপক্ষেই মাস সমাগু হয়। যথাবিধানে দ্বাদশ মাস পর্য্যন্ত যাগ করিয়া কৃষ্ণপক্ষেই সমাপন করিয়া যজ্ঞ হইতে উঠিবে, ইহার পরেই যজমানের পশু ও ধান্যাদি বৃদ্ধি এবং যজমানের বাক্য ও কল্যাণজনক হয়। এই যজ্ঞফলে অল্পকাল মধ্যেই বজ্ঞকারী বিপুল সমৃদ্ধিশালী হইয়। উঠেন। (তাও্যব্রা ৫ ৯১৪ ) ইহার অপর অপর বিধান তাণ্ড্যব্রাহ্মণের ৫ম অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য। গবামুত (ক্লী) গোরমৃতমিয অবঙাদেশঃ। “অতিথি: সৰ্ব্বভূতানামগ্নিঃ সোমো গবামৃতম্।” ( ভারত ৩,৩১২ অঃ । ) গবাম্পতি (পুং ) গবাং পতিঃ অলুক্সমাসঃ । ১ বৃষভ। “সিংহেনেব গবাংপতিম্।”(ভারত ৩১৬ অঃ।) ২ গোপালক । “তথা দৃষ্ট যবীয়াংসং সহদেবং গবাংপতিম্।”(তারত ৪১৯) ৩ গোস্বামী । ৪ রুদ্র । ৫ কিরণপভি, স্বৰ্য্য ও অগ্নি প্রভূতি । “প্রশাস্তোইগ্নিৰ্মহাভাগ পরিশ্রান্তে গবাংপতিঃ ।” ( ऊद्भिआ 8॥९२७ एताः ) গোদুগ্ধ ৷
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।