গাইকোবাড় [ ও৮১ j গাইকোবাড় গাইকৈাবাড়ের অধিকৃভ বরোচের খাজনা দেন নাই। তিনি গাইকোবাড়কে না বলিয়া ইংরাজ গবর্মেন্টকে দিয়াছিলেন। উতয়পক্ষের হিসাব নিকাশ করিবtয় জন্য গাইকোবাড়ের পক্ষ হইতে গঙ্গাধরশাস্ত্রী পুণায় প্রেরিত হইলেন । [ গঙ্গাধর শাস্ত্রী দেখ। ] ইংরাজ গবমেণ্ট তাহার রক্ষার জন্য দায়ী হন । তথাপি গঙ্গাধর নিহভ হইলে ইংরাজ গধর্মেন্ট হত্যাকারী ত্র্যম্বকঞ্জী অংগ্রিয়াকে র্তাহীদের হস্তে অপণ করিবার জন্য পেশবাকে বলিয়া পাঠাইলেন । অনিচ্ছাসত্বেও পেশব তাছাকে ধরিয়া দ্বিলেন । কিন্তু ত্র্যম্বকী রক্ষীদিগের হস্ত হইতে পলায়ন করিয়া সেনাসংগ্রহপূর্বক পেশবার সাহায্যে যুদ্ধের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । ১৮১৭ খৃঃ অঃ, ইংরাজ গবর্মেন্ট পুণ অবরোধ করিলে পেশব। সন্ধির প্রস্তাব করিলেন । ইংরাজপক্ষে এলফিনষ্টোন সাহেবের প্রস্তাবে সন্ধি হইল । এতদিন পেশব মহারাষ্ট্রদিগের অগ্রণী বলিয়া গণ্য হইতেন। অতঃপর সেই সম্মান হইভে বঞ্চিভ হইলেন । স্থির হইল—র্তাহার সমস্ত দাবি দাওয়া পরিশোধের জন্য র্তাহাকে বৎসর বৎসর ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হইবে । তিনি তার গাইকোবাড়রাজ্যে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিতে পরিবেন না। আহ্মদাবাদ পূৰ্ব্বসন্ধি মত তাছার জমা থাকিবে। কাঠিবাড় প্রদেশের রাজস্ব ইংরাজ গবর্মেন্টের হস্তে অৰ্পিত হইবে। পেশবার সহিত সন্ধি হইয়া গেলে গাইকোবাড়ের সহিত ইংরাজ গবর্মেন্টের এই শর্তে আর একটী সন্ধি হইল যে, কোন যুদ্ধ উপস্থিত হইলে উভয়পক্ষকে সৈন্য দিয়া সাহায্য করিভে হইবে । গাইকোবাড়ের ৩০০০ অশ্বারোহী ইংরাজের অধীনে থাকিবে । উভয়পক্ষের বন্দীদিগকে পরস্পরে ছাড়িয়া দিবেন। ইংরাজ গবমেণ্ট গাইকোবাড়ের সাহায্য জন্য আরও সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করিলেন। তাহাদের ব্যয়নিৰ্ব্বাহাৰ্থ গাইকোবাড় ইংরাজ গবমেণ্টকে গুজয়াটের অংশ ছাড়িয়া দিলেন। পরে ইংরাজ গবর্মেন্ট ও গাই কোবাড় উভয়ে কতকগুলি স্থান পরিবর্তন করিয়া লইয়া পরাপর খোলসা হইলেন । এই সন্ধির পর আনন্দরাওর সময় কোন বিশেষ ঘটনা ঘটে নাই । ১৮১৯ খৃষ্টাব্দে ২রা অক্টোবর তাহার মৃত্যু হয়। তৎপুর্কে তাহার ভ্রাতা ফতেসিংহের মৃত্যু হইয়াছিল। ইনি ১২ বৎসরকাল রাজকাৰ্য্যের অধ্যক্ষ ছিলেন। ফতেসিংহের মৃত্যু হইলে কনিষ্ঠ ভ্রাভা শিবাজীরাও সেই কাৰ্য্য করিতেন। আনন্দরাওর মৃত্যু হইলে তাহার দুই পুত্র থাকিতেও এই শিবাজীরাও রাজা হইয়া বসিলেন । আনন্মরাও বুদ্ধিহীন ছিলেন বলিয়া ইংরাজ গবর্মেন্ট V - ৭৬ সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতেন। কিন্তু শিবাজীয়াও বুদ্ধিমান, তাহার সময়ে সেরূপ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয় নাই। তবে রেসিডেন্ট যেরূপ ছিলেন, সেইরূপই রছিলেন। ১৮২০ খৃষ্টাব্দে বোম্বাইএর গবর্ণর এলফিনষ্টোম লাহেব বরদায় আসিয়া সৰ্ব্ববিষয়ে স্বশৃঙ্খলা স্থাপনের জন্য নুতন বন্দোবস্ত করিয়া গেলেন, স্থির হইল যে রাজ্যের কার্য্যকলাপ বৃটিশ গবমেন্টের হস্তে থাকিবে । আভ্যন্তরিক বিষয়ে গাইকোবাড়ের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকিবে। তবে কুঠিয়ালদিগের সহিত দেন সম্বন্ধে বে ব্যবস্থা হইয়াছে, ভtহার কোনমতে ক্রট না হয়,আর বাৎসরিক আয় ব্যয়ের কিরূপ যাবস্থা করা হয়,ভাহ যেন রেসিডেণ্টকে দেথাইয়া লওয়া হয় । রেসিডেন্ট ইচ্ছা করিলে খতাপত্ৰ দেখিতে পরিবেন। কোন বিষয়ে অধিক খরচ করিতে হইলে রেসিডেণ্টেয় সহিত পরামর্শ করিয়া কাৰ্য্য করিতে হইবে । বৃটিশ গবমেণ্ট মন্ত্রী ও অন্যান্য কৰ্ম্মচারীদিগের প্রতি যে অভয় দান করিয়াছেন, তাহা রক্ষা করিতে হইবে । গইকোবাড় নিজে মন্ত্রী নিয়োগ করিবেন । কিন্তু নিয়োগ করিবার পূৰ্ব্বে রেসিডেন্টের সহিত এ সম্বন্ধে পরামর্শ করিভে হইবে । সময় সময় বৃটিশ গবর্মেন্টের পরামর্শ দিবার অধিকার থাকিবে । এই সকল নিয়ম হইল বটে, কিন্তু শিবাজীরাও তদনুসারে চলিতে পারেন নাই । ঋণপরিশোধের জন্য সময়ে সময়ে যেরূপ টাকা দিবার ব্যবস্থা হইয়াছিল, তাহাও তিনি দিভে পারেন নাই । এইরূপে ১৮২০ খৃষ্টাব্দে তাহার ঋণ ১ কোটি ৭ লক্ষ হইয়। দাড়ায় । বৃটিশ গবমেণ্ট বলিয়া পাঠাইলেন, যদি তিনি টাকা ন দিতে পারেন, তবে যাহাতে ঋণ ক্রমে পরিশোধ হয়, পাওনাদারদিগকে এরূপ পরিমাণ ভূমি ছাড়িয়া দেওয়া হউক । কিন্তু শিবাজী তাহ না করিয়া রাজসরকারের যথন যেখানে সুবিধা পাইতেন, সেই তহবিল হইতে টাকা লইয়া আত্মসাৎ করিতে লাগিলেন। গবমেণ্ট যাহদিগের কোনরূপ অত্যাচার হইবে না বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন, তিনি তাহাদিগের প্রভি নানাবিধ অত্যাচার করিতে লাগিলেন । এলফিনষ্টোন সাহেবের পর সার জন মেল্কলম বোম্বাইএর গবর্ণর হন। ভিনি শিবাজীকে অনেক বুঝাইলেন, ভথাপি কোন ফল হইল না । শেষে ১৮২৮ খৃষ্টাব্যে কতকগুলি সম্পত্তি কাড়িয়া লইয়া পাওনাদারদিগের সহিত বনোধস্ত করিলেম। ইংরাজ গবর্মেন্টের যে সেনাদল মজুত রাখিবার কথা ছিল, তাহাদিগকে শিবাজী করদ রাজ্যে প্রহরীর কার্য্যে নিযুক্ত করিলেন। তাহারা কিন্তু রীতিমত বেতন পাইল না। এজন্য ১৮৩০ খৃষ্টাব্যে গবৰ্মেট
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।