গাজা ٦ [ يv م9 ] গীজ , উছার ফুল ও কোরক কাটিয় ফেলে। সিঁদলে পোকা নামক আর এক প্রকার ঘুণেয় মত পোকা আছে, ইহারাও গাছ নষ্ট করে । গাছে কাল কাল দাগ হইলে বুঝা যায় যে সিদলে পোকা ধরিয়াছে। এতদ্ব্যতীত "খড়খড়ি” নামক এক প্রকার রোগ আছে। এই রোগ হইলে গাছ শুকাইয়া যায়। *গরজাগি" নামে অীর এক প্রকার রোগ আছে, তাহাতে পাতা ও ডাটাগুলি হরিদ্রাবর্ণ হইয়া গাছট মরিয়া যায়। গাজীর চাসের খরচ এদেশে এইরূপ ধরা হইয়া থাকে। ক্ষেত্রে নুতন মাটি আনিতে ... མི༽ श्रृंहेठा • * * - - - @入 পোদার বা পরখদীর --- ه/روان জলসিঞ্চন - - - - - - ༦༽ জমির খাজনা ... o so o Ф, е মোট & Σικν» ইহার উপর চাষীর নিজের খরচ, চাকরের খরচ, লাঙ্গল ভাড়া, গোবর ক্রয় ইত্যাদি ধরিলে বিঘাপ্রতি ৫-৬০ টাকার কম নহে। তাহার পর গাজী কাটিয়া গোল বা চেপ্টা গাজা তৈয়ার করিতে মণকরা কৃষকদিগের ৩০ টাকা ও ব্যাপারীদিগের ৪ টাকা করিয়া পড়ে। চেপ্টা অপেক্ষা গোল গাজীগ্রস্তুতের খরচ কিছু অধিক । বঙ্গদেশে রাজসাহী, বগুড়া, বীরভূম, বৰ্দ্ধমান, পাটনা, ভাগলপুর, মুঙ্গের, আর, শাহাবাদ, শারণ, চম্পারণ ও উড়িষ্যার গড়জাতমহলে প্রধানতঃ গাঙ্গার চাষ হইয়া থাকে। ১৮৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দে ১৯৭৩ জন গাজা প্রস্তুত করিয়াছিল। সে বৎসর ৮৯৮২ মণ গীজ উৎপন্ন হয়। আসামের উপত্যক ভূমিতে, কাছাড়ে এবং মধ্যভারতেও চাষ হইয়া থাকে। উত্তরপশ্চিমে গাজার চাৰ্য নিষিদ্ধ, তবে তথায় ভাঙ্গ বা সিদ্ধির চাসে দোষ নাই। হিমালরের নিকট গড়বালে যথেষ্ট চরস্ উৎপন্ন হয়। হিমালয়ের নিকট প্রদেশে অনেক লোক গজার বীজগুলি ভাজিয়া খার। আসামের ভাঙ্গ হইতে এক পানীয় প্রস্তুত হয়, তাছাকে গুণ্টা বলে। উত্তরপশ্চিমে পত্তর নামক একপ্রকার গাজা বিক্রয় হয়। উহ! ইন্দোর হইতে আসে। বঙ্গের গাজী তথায় বিলুচর নামে বিক্রয় হয় । বোম্বাইয়ের আহ্মদনগর, সাতারা, শোলাপুর ও পুণায় গাজীর চাষ আছে। পঞ্জাবে গাজা হয় না বিদেশ হইতে আমদানী হয়। মান্দ্রাজের আরেকট, গঞ্জাম, মহিমুর, মলবীর, তাঞ্জোর, বেলুর, সালেম প্রভৃতি প্রদেশে গাজার বিলক্ষণ চাষ হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে সকলে অবাধে গাজার চাষ করিতে পারিত। কিন্তু ১৮৭৬ খৃষ্টাবো নূতন ১• জাইন হওয়ায় গবর্মেন্টের অনুমতি ব্যতীত আর কেহ গাজীর চাষ করিতে পারে না। ১৮৭৫৭৬ খৃষ্টাব্দে এদেশে গাজা বড় কম হয়। কিন্তু সেই বৎসর গাজা বিক্রয়ের অনুমতি নিলামডাকে বিলি হওয়ায় উৎপন্ন কম হইলেও রাজস্ব ৬২,১৭১ টাকা বাড়িয়াছিল। সেই সময় বঙ্গের লেফটেনেণ্ট গবর্ণর সার রিচার্ড টেম্পল সাহেব গাজার উৎপত্তি সম্বন্ধে তদারক করেন ও থরিন্দারের নিকট শুদ্ধ আদায় করিতে ইচ্ছা করেন। গাজা চাষ করিবার পূৰ্ব্বে জেলার কালেক্টরের নিকট হইতে লাইসেন আনিতে হয়। মাঘ মাসে আবার সেই লাইসেন দেখাইয়া ক্ষেত্র হইতে গাজী ७%ाहेदाङ्ग अन्नुभडि लहेएउ रुग्न । भैछा ७ञ्चउ श्हेप्ण তাহা কৃষকের বাড়ীতে না রাথিয়া সরকারি গোলায় আনিয়া রাথিতে ছয় । সরকারী গোলদার অধিকারীদিগকে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র রসিদ দেন ও ভিন্ন ভিন্ন অধিকারীর দ্রষ্য স্বতন্ত্র টিকিট লাগাইয়া রাখিয়া দেন। ষে পরিমাণ গাজীর জন্য অনুমতি লওয়া হয়, তদপেক্ষ কম হইলে তাহার কারণানুসন্ধান হইয়া থাকে। গোলা হইতে খরিদদারে লইয়া বায় । দালালদিগকেও লাইসেন লাইতে হয়। গোলায় রাখিবার জন্য অধিকারীদিগকে মাসুল দিতে হয়। কখন কথন ক্ষেত্র হইতেই গাজী বিক্রয় হইয়া যtয় । গোলাতে গাজী দুই বৎসরের পুরাতন হইলেই বিক্রয় করিয়া ফেলা হয়। গাজার উপর শুল্ক ও লাইসেনের জন্ত গবর্মেন্টের বিলক্ষণ আয় হয়। এই জন্তই গাজার মূল্য সময়ে সময়ে বৃদ্ধি হইয় পড়ে। বঙ্গদেশের এইরূপ অন্তান্ত বিভাগের জষ্ঠ স্বতন্ত্র ব্যবস্থা আছে। যেখানে গাজী জন্মে না, বাহির হইতে আমদানী হয়, তথায় গাজার ডাক ও লাইসেন মাত্র আদায় হইরা থাকে। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে বঙ্গদেশে ২৪৮৮ বিঘা ভূমিতে গাজার চাষ হইয়াছিল। ভাহীতে ২৪৮e জন লোক নিযুক্ত ছিল এবং ৮০২১ মণ গজ উৎপন্ন হইয়াছিল। এক এক মণ গাজী ১৫ হইতে ৪৫ টাকা পৰ্য্যস্ত মূল্যে বিক্রয় হর। ঐ বৎসর বঙ্গে ২৮১৯ খানি গাজার দোকান ছিল। ঐ সকল দোকান হইতে ৬১•১ মণ গাজা বিক্রর হুইয়াছে । গঙ্গাথোরের বাম হস্তে গাজা লইয়া দক্ষিণহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়া উত্তমরূপ মলিয়া থাকে, তাহাতে গাজা আঠায় সংলগ্ন হইয়া জমাট হইয়া যায়। তখন দোক্ত মিশাইয়া উহাকে কোন কঠিন স্থানে রাথিয়া ছুরি দিরা কুচি কুচি করিয়া কাটিয়া লয়। তাহার পর কলিকাতে ঠিকরা দিয়া তাহার উপর অল্প পরিমাণ তামাকু দেয়। উহাকে তই বলে। তাহার উপর ঐ কর্তিত গাজা সাজিয়া আগুন দিয়া টানিয়া খায়।
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।