-- গাজিউদ্দীন হাইদার আমার রাজ্যেই পাঠাইবেন। এরূপ না করিলে আমার সন্মান প্রতিপত্তি কিছুই থাকিবে না।” গবর্ণর-জেনারল উত্তরে বলেন, যে স্থার সঙ্গত বিবরে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের শর্ত সকল বজায় রাখিয় নবাবের অভিপ্রায় অনুযায়িক কাৰ্য্য কর। যাইবে। বেলিসাহেব তখন লক্ষ্মেীয়ের রেসিডেন্ট। গবৰ্ণমেণ্টের সেক্রেটরি এভাম সাহেব তাহাকে লেখেন যে নবাবকে বাহিরে স্বাধীন রাজা বলিয়া দেখান হইবে । বস্তুতঃ র্তাহীকে ইংরা গবৰ্ণমেন্টের অধীন হইয়। থাকিতে হইবে । * orrif গাজিউদ্দীন নবাব টুীর ছিলেন। ১৮১৯ খৃষ্টাব্দের ৯ই | অক্টোবর তিনি আবুল মুজফর মইজ উদ্দীন শী জমান গাজিউদ্দীন হাইদার বাদশাহ নাম ধারণ করেন । এই উপলক্ষে একটা প্রকাও দরবার হয় । তাছার অভিষেক কালে প্রার ত্রিশ হাজার টাকার মুক্ত ছড়ান হইয়াছিল। সাহেবদিগের মেমের এই বোগে অনেক মুক্ত সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। এই ঘটনার পর হইতে ইংরাজের তাহাকে রাজ বলিয়া সম্বোধন করিতেন । w গবর্নর-জেনারল লর্ড আমহাষ্টের আমলে নবাব রাজের সহিত ইংরাজদিগের বেশ সৌহার্দ্য ছিল। লর্ড আমহাষ্ট রাজাকে ১৮২৫ খৃষ্টাব্দের ১৪ই অক্টোবর এবং ১৮২৬ অব্দের ২৩এ জুন যে থরিত (পত্র) লিথিয় পাঠান তাহার প্রথম খানিতে রাজা ও গরের খানিতে বাদশাহ বলিয়৷ গাজিউদ্দীনকে সম্বোধন করা হইয়াছে। ঐ সকল খরিত পাঠে বুঝা যায় যে, ব্রহ্মদেশের যুদ্ধের জন্য লক্ষ্মেীরের নবাব ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টকে এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দান করিয়াছিলেন। রেসিডেন্ট রিকেটু সাহেব ও নবাব মাতমুংদৌল মুক্তিয়ার-উল-মুলক এই দুই জনের উদ্যোগেই এই কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়। আগামীর নামক গ্রাজিউদ্দীনের মন্ত্রীর উপর রাজকুমার নাসিরুদনের বড় জাক্রোশ ছিল। রাজা ভাবিলেন যে তাহার মৃত্যুর পর পুত্র রাজা হইয়া নিশ্চয়ই আগামীরকে বিনাশ করিবে । বাহাঁতে তাহ ন৷ হয় তাহার জন্য তিনি ইংরাজ গবর্ণমেণ্টকে অনুরোধ করেন। গবর্ণমেণ্ট শতকরা ৫১ টাকা স্বদে এক কোিট টাকা কঞ্জ লইয়া আগামীরকে রক্ষা করিতে প্রতিশ্রত হন। রাজা ব্যবস্থা করিলেন যে মৃত্যুর পর এই টাকার অৰ্দ্ধেক সুদ আগামীর পাইবেন । বাকি অন্যান্য কৰ্ম্মচারিগণ পাইবে । প্রসিদ্ধ বিশপ হেবার সাহেব ১৮২৪-২৫ খৃষ্টাব্দে এই প্রদেশ ভ্রমণ করি একখানি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ঐ গ্রন্থে [ ৩২৩ ] ੋ===
- Dacoity iu Excelsis p. 6l,
গাজি খাঁ চক্ তৎকালীয় অনেক বৃত্তাত্ত লিখিত আছে। লাহেব নবাবের বিশেষ মুথ্যাতি করিয়াছেন। ১৮২৭ খৃষ্টাব্দের ১৯এ অক্টোবর গাজিউদ্দীন ছাইদারের মৃত্যু হয়। তখন তাহার বয়স চান্দ্ৰ ৫৮ বৎসর হইয়াছিল । ইনি লঙ্কেীয়ের মতি মছল, মোবারেক মঞ্জিল, সা মঞ্জিল, চিনিবাজার, ছত্র মঞ্জিল, সানজক ও কদম-রস্থল প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করেন। . গাজি খাঁ দিল্লীর সম্রাটু বাবরের সময়ের একজন সামন্ত । ইনি লাহোর অঞ্চল শাসন করিতেন। পরে সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া বাবরের বিরুদ্ধে অস্ত্র গ্রহণ করেন। বাবর সসৈন্যে গিয়া গাজি খাকে পরাস্ত ও মিলবটের দুর্গ অধিকার করিলে গাজি খাঁ পৰ্ব্বতে পলায়ন করেন। গাজিখার পুস্তকাগারে অনেক বহুমূল্য পুস্তক সংগৃহীত ছিল। গাজি-খা-ই বদকৃলি মুসলমান সেনাপতি ও কবি। ইহার নাম গাজি নিজাম। ইনি মোল্লা ইসামুীন ইব্রাহিমের নিকট আইন অধ্যয়ন করিয়া শেষে মহাপণ্ডিত বলিয়া গণ্য হয়েন। বদকসানের মুলতান স্থলিমান তুষ্ট হইয় তাহাকে 'কাজি থা উপাধি দান করেন । হুমায়ুনের মৃত্যুর পর স্থলিমান সসৈন্যে কাবুলে আসিয়া হুমায়ুনের অনুচর মুনিম্নকে অবরোধ করেন। সেই সময় তিনি গাজি নিজামকে মুনিমূখার নিকট পাঠাইরা তাহাকে আত্মসমর্পণ করিতে বলিয়া দেন। মুনিম্ খ। তাছাকে কয়েকদিন নিকটে রাখিয়া ধূমধামের সহিত আহারাদি করান। গাজি নিজাম তুষ্ট হইয়া সুলিমানকে প্রতিনিবৃত্ত হইতে অনুরোধ করিলেন । সুলিমান তদনুসারে বদক্সানে চলিয়। যান। গাজি নিজাম সুলিমানের কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া তারতে আসিয়া খাপুরে সম্রাট আকবরের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, সম্রাট তাহাকে নানা উপহার দিয়া প্রথমতঃ পারবাঞ্চি” লেখক পদে নিযুক্ত করেন । কিন্তু শেষে তাহার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাইরা এক হাজারি সেনাপতি পদে নিযুক্ত করির দেন । এবং কয়েকট যুদ্ধে তাহার বীরত্বের বিষয় অবগত হইরা তাহাকে গাজি খাঁ উপাধি দান করেন । গজি খাঁ মানসিংহের অধীনে বামদিকের সেনার নায়ক হইয়া রাণী কী কার সহিত যুদ্ধ করেন ও তৎ পরে বেহারের বিদ্রোহ দমন করেন। অকবর বাদশাহের রাজত্বের ২৯ বৎসরে (অর্থাৎ ৯৯৯ হিজিরার ) ৭০ বৎসর दग्नप्न अप्रुाषा नभप्ञ उँ शव्र शृङ्का श्। उिनि अत्नक পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন । গাজি খাঁ চক্ কাশ্মীরের রাজা। ইনি অকবরশাহের সেনাপতি কার বাহারকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন। ম্যাসিরিয়হিনী নামক পারস্ত গ্রন্থে ইহার বিস্তৃত বিবরণ অাছে।