পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গায়ত্রী d"। অথবা ভৰ্গশব্দের অর্থ আয় । যে সবিতা আমাদের ধী-শক্তি প্রেরণ করেন, আমরা সেই সবিভ দেবের প্রসাদে প্রশংসনীয় অন্নাদিরূপ ফলধারণ করি । ( ঋক্ ৩৬২১ • ভাষা । সাম উত্তর- ৬১০।১। ভাষা ) ৫ । দ্যোতমান, প্রেরক, অন্তর্যামী, বিজ্ঞানাননা স্বভাব ছিল্পণ্যগৰ্ভ বা আদিত্যরূপ উপাধিধারী ব্রহ্মের প্রার্থনীয়, পাপ এবং সংসারবন্ধননাশক তেজ আমিরা চিন্ত করি । বে সবিতা আমাদের বুদ্ধি সৎকৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্রেরণ করেন। (বাজসনেয়সংহিতা ৩৩৫ মহীধর ) ইহা ব্যতীত গায়ত্রীর আরও অনেক রকম ব্যাখ্যা দেখিতে পাওয়া যায়, কেহ বা কালীপক্ষে, কেহ বা বিষ্ণুপক্ষে এবং কেহ বা শিবপক্ষেও ইহার ব্যাখ্যা করেন। গারস্ত্রী-উপাসনাপ্রণালী—মকুর মতে গায়ত্রী মন্ত্রে দীক্ষিত হইলে উপাসকের পুনর্জন্ম হয়, এই জন্মে আচাৰ্য্য পিতা সাবিত্রীই মাত হইয়া থাকেন। গায়ত্রী এবং তৎপ্রতিপাদ্য ব্রহ্মের অভেদচিস্তা করিয়া উপাসনা করিতে হয়। যাজ্ঞবল্ক্যের মতে প্রণব ( ও ) ও ব্যাহতি (ভূভুব:স্বঃ) যোগ করিয়া গায়ত্রী উপাসনা করিবে । বিষ্ণুধৰ্ম্মেত্তিরে লিখিত আছে যে, পঞ্চকৰ্ম্মেন্দ্রিয়, পঞ্চজ্ঞানেস্ক্রিয়, পঞ্চবিযয়, পঞ্চভূত, মন, বুদ্ধি আত্মা ও প্রকৃতি এই চতুৰ্বিংশতি পদার্থ গায়ত্রীর চতুৰ্বিংশতি অক্ষরে যথাক্রমে চিন্তা করিবে । অগ্নি, বায়ু, সুর্য্য, বিদ্যুৎ, যম, বরুণ, বৃহস্পতি, পর্জন্য, ইন্দ্র, গন্ধৰ্ব, পুযা, মৈত্রাবরণ, ত্বষ্ট, বাসব, মারুত, সোম, অঙ্গিরা, বিশ্বদেব, অশ্বিনীকুমার, প্রজাপতি, সৰ্ব্বদেব, রুদ্র, ব্ৰহ্মা ও বিষ্ণু এই সকল দেবগণ যথাক্রমে গায়ত্রীয় চতুৰ্বিংশতি অক্ষরের অধিপতি, জপকালে ইহাদিগকে চিন্তা করিতে হয় । প্রণবটীকে ঈশ্বয় তাবনা করিতে হয় । কাশীখণ্ডে গtয়ন্ত্রীর বিষয় এইরূপ লিখিত আছে –“অষ্টাদশ বিদ্যার মধ্যে মীমাংসা প্রধান, মীমাংসা হইতে ভকশাস্ত্র, তৰ্কশাস্ত্র হইতে পুরাণ, তাহা হইতে ধৰ্ম্মশাস্ত্র, ধৰ্ম্মশাস্ত্র হইতে বেদ প্রধান । বেদের মধ্যে আবার উপনিষদ প্রধান, গায়ত্রী উপনিষদ হইতেও “শ্রেষ্ঠতমা”, গায়ত্রীর অপেক্ষা অধিক আর মন্ত্র নাই, ইনি বেদমাতা ও ব্রাহ্মণপ্রসবকারিণী। যে ব্যক্তি ইহার গান করে, ইনি তাহাকেই ত্রাণ করেন, এই কারণেই ইহার নাম গায়ত্রী হইয়াছে। সবিতৃদেবতাই এই মন্ত্রের বাচ্য। এই গায়ত্রীর প্রভাবেই রাজর্ষি কৌশিক ব্রহ্মধিপদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন এবং আর একটা জগৎস্বষ্টি করিবার শক্তি পাইয়াছিলেন । গায়ত্রীর উপাসনা করিলে সমস্তই হইতে পারে। ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর প্রভৃতি সকলেই v bسياس [ 98s 1 १)ांशढी গায়ত্রীস্বরূপ। বেদপাঠ বা অনন্তশাস্ত্র পাঠ করিলে ব্রাহ্মণ হইতে পারেন, কেবল ত্রিসন্ধ্যায় গtয়ন্ত্রীর উপাসনা করিলেই ব্রাহ্মণ হইতে পারে।” (কাশীখণ্ড ) প্রায় সকল পুরাণ উপপুরাণেই অল্প বিস্তর গায়ীর প্রশংসা দেখিতে পাওয়া যার । যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতার লিখিত আছে যে, কোন সময়ে পরীক্ষা করিবার জন্য একদিকে সাঙ্গবেদ ও অপরদিকে গায়ত্রী উঠাইয় দেওয়া হয়। তাহাতে সমস্তবেদ অপেক্ষ। গায়ত্রীর ভারই বেশী হইয়াছিল । যিনি গায়ত্রী জানেন, তিনিই ব্রাহ্মণ, গায়ত্রী না জানিলে বেদপারগ হইলেও তাহাকে শূদ্র বলিয়া জানিবে । ত্রিসন্ধ্যায় সন্ধ্যরূপিণী গায়ন্ত্রীর উপাসনা করিবে । ব্যাসের মতে প্রাতে ইহার নাম গায়ত্রী, মধ্যাহে সাবিত্রী ও সায়াহে ইহার নাম সরস্বতী । পদ্মপুরাণে গায়ত্রী ব্ৰহ্মার স্ত্রী বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। উপাখ্যানটী এই—“একসময়ে ব্রহ্ম একটা যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন । তিনি সাবিত্রীকে যজ্ঞস্থানে আনিবার জন্য ইন্দ্রকে র্তাহার নিকটে পঠাইলেন। দেবরাজ সবিত্রীর নিকটে আসিয়া ব্ৰহ্মার আদেশ জানাইলে সাবিত্রী বলিলেন, লক্ষ্মী প্রভৃতি সখীগণ এখন উপস্থিত নাই, আমি একাকিনী যাইভে পারি না । তুমি বিরিঞ্চিকে বলিৰে যে, সখীগণ আসিলেই আমি যাইব ।’ ইহা বলিয়। সাবিত্রী গৃহকার্য্যে ব্যাপৃত হইলেন । দেবরাজ আলিয়া ব্ৰহ্মাকে জানাইলেন । বিরিঞ্চি পত্নীর ব্যবহারে নিভান্ত অসন্তুষ্ট হইয়া ইন্দ্রকে বলিলেন, ‘দেবরাজ ! তুমি আমার জন্ত আর একট রমণী শীঘ্র আনয়ন কর, আমি এখনই যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিব।” ব্ৰহ্মার আদেশে ইন্দ্র অন্বেষণ করিতে করিতে ধরাতলে গমন করিলেন । সেই সময়ে একটী সুন্দরী গোয়ালার কন্যা দুগ্ধ ও দধি বিক্রয় করিতে যাইতেছিল, দেবরাজ তাহাকে ধরিয়৷ লইয়া আসিলেন। মহাবিষ্ণুর অtদেশে ব্রহ্মা তাহাকে গন্ধৰ্ব্বমতে বিবাহ করেন। তঁহারই নাম গায়ত্রী । তাহার বর্ণ শুভ্ৰ, ছুইখানি হাত, এক হাতে একটা মৃগশূঙ্গ এবং অপর হাতে একটা পদ্ম । ইহার উরুদ্ধয় অতিশয় বিশাল, পয়িধের বসন রক্তবর্ণ, বক্ষস্থলে মনোহর মুক্তাহার, কর্ণে কুণ্ডল ও মস্তকে নানাবিধ রত্নখচিত একটি মুকুট আছে । ব্রাহ্মণগণ পুষ্করে স্নান করিয়া গায়ত্রী জপ করিলে অসৎ প্রতিগ্রহজনিত পাপ হইতে বিমুক্ত হইতে পারেন। গায়ত্রী জপ করিলে দশ জন্ম, শত জন্ম বা সহস্ৰ জন্মেও ব্ৰহ্মহত্যাসদৃশ যে সকল পাপ হইয়াছে, তাহা বিনষ্ট হয়। ইনি বেদমাত, স্বৰ্গ, মর্ত্য ও পাতাল ত্রিলোক ব্যাপিয়া অবস্থিতি