গোয়ালঙ্গ FT ব্ৰহ্মপুত্রনদের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ২০ বৎসর পূৰ্ব্বে এই স্থানে জেলেরা মাছ ধরিরা বিক্রয় করিতে আসিত। তখন একখানি সামান্ত গ্রামরূপে পরিচিত ছিল। সেই সময়ে ডাকাইতের নদীতে আরোহীদিগের উপর বিশেয অত্যাচার করিত। বর্তমান সমরে গোয়ালন্দ মগর পূর্ববঙ্গের বাণিজ্যের শীর্ঘস্থান অধিকার করিয়াছে । এখানে ইষ্টার বেঙ্গল ষ্টেট রেলওয়ের শেষ ষ্টেসন ও আসাম যাতা য়াতের ষ্টিমার ছাড়িবার আড়া আছে । নদীর দুৰ্দ্ধৰ্য গতিতে নগরের অবস্থা ক্রমশঃই পরিবর্হিত দেখা যাইতেছে। এই নগরে রেলওয়ে কোম্পানির ষ্টেসন, বাজার এবং নদী দ্বয়ের সঙ্গমস্থানে বালুকাময় জমির উপরে বিচারকার্য্য নিৰ্ব্বাহের জন্য একটী আদালত আছে । ষ্টিমার বা নৌকা হইতে রেলগাড়ীতে মাল বোঝাই বা থালাসের সুবিধার জন্ত শীতকালে নদীর কুলে একটা রেলপথ পাত হয়। কিন্তু আষাঢ় ও শ্রাবণমাসে যথন এই নদী বন্যার জলে স্ফীত হইয়া নিকটবর্তী গ্রাম সকল ভাসাইতে থাকে, তখন ঐ রেলপথ উঠাইয়া লওয়া হয়। একসপ্তাহ পূৰ্ব্বে যে নদী কূলে সৰ্ব্বদাই মাল লইয়া রেলগাড়ী যাতায়াত করিত, কিছু দিন পরে তথায় কেবলমাত্র সমুদ্রের ন্যার জলরাশি লক্ষিত হয়। এই সময়ে নদীর উত্তর অথবা পুৰ্ব্ব অংশে দৃষ্টি করিলে প্রায় ৩/৪ মাইল বিস্তৃত অখণ্ড জলরাশি নয়নপথে পতিত হয় । তৎকালে ঝড় উঠিলে দেশী মাঝির নৌকাগুলি কোন দূরবর্তী থাতে লইয়া যায়। সময়ে সময়ে ষ্টিমারও कूटिंग्राह शtप्ले आनिग्र द्रप्श्वि । दtब्र१ उ१ाग्र वज्र थाहेবার ততদূর সম্ভাবনা নাই। ১৮৭ খৃষ্টাকে গোয়ালন্দ হইতে কুঠিয়া পর্যন্ত রেলপথ খোলা হয় এবং নদীকূলে বাধ বাধিয়া ষ্টেসন রক্ষা করা হয় । ঐ বাধ রক্ষা করিতে ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দের মধ্যে ১৩০ • • • ০ টাকা খরচ হইয়াছিল । কিন্তু উক্ত বৎসরের আগষ্টমাসে নদীর জুল আভাবনীয় রূপে বাড়িয় উঠে, তাহাতে সেই বাধের সুদৃঢ় গাথনি, রেল ষ্টেশন ও উপবিভাগস্থ কাছারী জলে ধৌত হইয়া যায় । নদীস্থ নৌকা বা ষ্টিমার হইতে রেলগাড়ীতে মাল বোঝাই লওয়াই গোয়ালনের ব্যবসা। আসামজাত দ্রব্যব্যতীত পাশ্বস্থ জেলাসমূহের উৎপন্ন ফসলাদি উক্ত রেল দিয়। কলিকাতায় আমদানী হইয়া থাকে। গোয়ালন হইতে কয়েকখানি ষ্টিমার আসাম, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও কাছাড়ে যাতায়াত করে। এথানে নোনা ইলিসের বিস্তৃত কারবার আছে। সেই মাছ লবণাক্ত ক্ষরিবার জন্ত গবমেণ্ট নিজ হইতে লবণ বাহির করিয়া -- x ८श्म् ५५९ 2iडि भ८१ २५० नि! श्रifiग्नं बृंङ्गन् " े | [ 48ના ] গোয়ালপাড়া --- sa: নগরে মারবাড়ী বা কেইরা খোট্ট ব্যবসায়ীই অধিক । এখানে প্রত্যহই বাজার বসে । গোয়ালপাড়া, আসাম প্রদেশের পশ্চিমস্থিত একটা জেলা। ব্ৰহ্মপুত্র নদের উভয়কূলে অক্ষা ২৫° ৩২ হইতে ২৬ ৫৪ উঃ ও দ্রাঘি ৮৯° ৪৪' হইতে ৯১° পূ: মধ্যে অবস্থিত। ইহার উত্তরে ভূটামরাজ্যস্থ পৰ্ব্বতমালা এবং দক্ষিণে পাৰ্ব্বতীয় গারো জেলা। ভূপরিমাণ প্রায় ১৮৬৫ বর্গমাইল । ব্ৰহ্মপুঞ্জনদের বামতটে গোয়ালপাড় নগর । এইথানে জেলার বিচার-বিভাগ ও সদর কাছারি আছে। যেখানে ব্রহ্মপুত্র নদ ধভ্রগতিতে ক্রমশঃই দক্ষিণাভিমুখে আমিরাচে, ব্ৰহ্মপুত্রনদের সেই ক্ষুদ্র উপত্যক৷ মধ্যে লোকের বসবাস অধিক । নদীর বামকুলে আট মাইলের অধিক বিস্তৃত সমতল ভূমি দেথা যায় না। মদীর উত্তরতীরবর্তী ভূমিসমূহে চাস পাস হয়। ইহার পরেই পুৰ্ব্বদ্বারের জঙ্গলময় প্রদেশ । গ্রামের চারপাশে ধান্তক্ষেত্রের মধ্যে বহুতর ফলশালী বৃক্ষ দেখা যায় । জেলার উত্তর সীমায় বনময় গিরিমালা । তদুপরি দূরস্ত বরফাবৃত হিমালয়গৃঙ্গ। এই সমস্ত দুগু এতই সুন্দর যে দর্শনমাত্রেই নয়ন ও মন পরিতৃপ্ত হয়। পাছাড়ের উপরি উচ্চভূমিতে পর্য্যাধ পরিমাণে গেরিমার্টি ও স্থানে স্থানে গ্ৰেণাইট ও বালুপাথর দেখা যায় । সমতলক্ষেত্রের মৃত্তিক সাধারণতঃ বালুময় । তন্মধ্যে কোন কোন জমির মাটি এটেল, কোথাও বা অল্প বালুযুক্ত । এই জেলার উত্তরে ভূটানপৰ্ব্বতশ্রেণী হইতে মানস, গদাধর ও শঙ্কোশ নামক নদীত্রয় পূৰ্ব্বদ্বারের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া গোয়ালপাড়া জেলায় ব্ৰহ্মপুত্র নদীতে মিশিয়াছে। ঐ সকল নদীতে বৎসরের সকল ঋতুতেই বাণিজ্য দ্রব্য লইবার জন্য বড় বড় নৌকা যাতায়fত কবিতে পারে । এতদ্ব্যতীত আরও কতকগুলি ক্ষুদ্র নদীতে কেবলমাত্র বর্ষ ঋতুতেই গমনাগমন করিতে পারা যায় । খরস্রোতা ব্ৰহ্মপুত্র নদ নিজ বেগে কোন স্থান ভাঙ্গিয় জলে প্লাবিত করিতেছে এবং কোথাও বা বালুরাশি সঞ্চিত করিয়া নদীগর্ভে ক্ষুদ্র দ্বীপ ও বালুকাময় চরে পরিণত হইতেছে। এই নদে প্রতিবৎসর ভয়ানক বদ্যা আসিয়া নদীর উভয়কূলে বহুদূর ভাসাইয়া দেয়, এবং ঐ বস্তাসংগৃহীত জল ৬ হইতে ১২ মাইল লম্বা কয়েকট বিল ও জল ভূমিতে আটকাইয়া যায় । সমগ্ৰ বৎসর মধ্যেও সেই জল শুকায় না । পুৰ্ব্বদ্বারের গবর্মেন্টের অধিকৃত বনসমূহের ভূপরিমাণ প্রায় ৪২২ বর্গমাইল। এতদ্ভিন্ন অপরাপর ব্যক্তির তত্ত্বাবধানেও দুএকটা বন জমা আছে। গোয়ালপাড়া জেলায়
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।