গোয়ালিয়ার [.. dos J গোয়ালিয়ার ছিলেন। এবার মানসিংহ প্রকৃতই স্বাধীন রাজা হইলেন । ১৫১৭ খৃষ্টাব্দে সিকদয় গোয়ালিয়াররাজকে খৰ্ব্ব করিবার জন্য দূরত্ব সকল আমীর ওমরাহদিগকে আগ্রায় আহ্বান रुग्निग्रां श्रांनfहेग्रांश्tिशन । क्ख् िअझकांण श्रृंtग्नई ऊँांशंद्र মৃত্যু হওয়ায় অভীষ্ট সিদ্ধ হইল না। তৎপরে মুলতান ইব্রাহিম লোদী পিতৃপদ অধিকার করেন। মানসিংহ ইব্রাহিমের ভ্রাতা জলtলখাকে গোয়ালিয়ার দুর্গে আশ্রয় দিয়াছিলেন। তাছাতে ইব্রাহিম প্রতিহিংসায় ও উচ্চ আশায় উন্মত্ত হইয়া গোয়ালিয়ার জয় করিবার জন্য আজিম হুমায়ুনের অধীনে ত্ৰিশহাজার অশ্বারোহী, তিনশত নিষাদী এবং নানাপ্রকার যন্ত্রাদি পঠাইয়tfছলেন । তিনি সাতজন সর্দারকে হুমায়ুনের সহিত যোগ দিতে অনুমতি করিয়াছিলেন । সেই সময় মহাবীর ও তীক্ষুবুদ্ধি মানসিংহ কালগ্রাসে পতিত হন। এই তোমররাজের সময়েই গোরালিয়ারের বিশেব উন্নতি হইয়াছিল, তিনি কৃষিকার্য্যের সুবিধার জন্য নানাস্থানে ঝিল কাটাইয়া দিরাছিলেন, তিনি শিল্পশাস্ত্রের একজন প্রগাঢ় অনুরাগী ছিলেন। গোয়ালিয়ার দুর্গে তিনি যে মানমন্দির নামে সুন্দর প্রস্তরের প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া ছিলেন, মোগলসম্রাটু বাবর, রাজমন্ত্রী আবুলফজল প্রভৃতি অনেকেই মুক্তকণ্ঠে তাহার শিল্পনৈপুণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন। তিনি সঙ্গীতাকুরাগী ও একজন সুগায়ক ছিলেন, তাহার রচিত গান এখনও প্রচলিত আছে। মুসলমান ঐতিহাসিক নিয়ামত উল্লা মানসিংহের অনেক প্রশংসা করির শেষে লিথিয়াছেন, *তিনি কখন কোন ব্যক্তির উপর অত্যাচার করেন নাই। তিনি হিন্দু হইলেও ইসলাম ধৰ্ম্মামুরাগী ছিলেন।” ফজলআলী লিথিয়াছেন, "মানসিংহের মত সদাশয় রাজা অতিশয় বিরল, তাহার সময়ে গোয়ালিয়ারবাসী প্রচুর ধনধান্য ভোগ করিয়াছিল।” তংপুত্র বিক্রমাদিত্য ২৩ বর্ষমাত্র রাজত্ব করিয়াছিলেন । এই সময়ে আজিম হুমায়ুন গোয়ালিয়ার অবরোধ আরম্ভ করেন । ক এক মাস অশেষ চেষ্টার পর তিনি বাদলগড়দ্বার পুড়াইয়া ফেলেন। দগ্ধাবশেষ হইতে একটা মুবুহৎ পিত্তলের বৃষভমূর্তি পাওয়া যায় । তাহ দিল্লীতে অনিয়া দিল্লীর বোঘদীদ-দ্বীরে রক্ষিত হয়। ১৫৯৩ খৃষ্টাব্যে অকৃবর সেই প্রসিদ্ধ মূৰ্ত্তিট ফতেপুর শিক্রিতে স্থানান্তরিত করেন। অtজিম হুমায়ুন বহুদিন অবরোধ ও বিস্তয় সৈন্য ক্ষয়ের পর তবে এক একটা করিয়া অপর দ্বার অধিকার করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণপুরদ্বার আক্রমণকালে তাজখা নামে সুলতান ইব্রাহিমের একজন প্রধান আমীর নিহত عکس-سی ছন। ঐ বারের নিকট র্তাহার গোরস্থান আছে । এইরূপ একবর্ষ অবরোধের পর যখন কেবল ছাতিয়াপুর নামক স্বার অধিকারের যাকি ছিল, বিক্রমাদিত্য দেখিলেন আর নিস্তার नहेि, शैशरे शबtनद्र शरङ भांनगषम शब्राहेrउ रुहेर, তখন তিনি যুদ্ধে ক্ষান্ত দিয়া সন্ধির প্রস্তাব করিলেন । এইরূপে গোয়ালিয়ার আবার মুসলমানের অধীন হইল । বিক্রমাদিত্য দিল্লীতে গিয়া মুলতান ইব্রাহিমের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। ইব্রাহিম উহাকে সংসাবাদ জেলা জায়গীর ও দিল্লীসাম্রাজ্যের মধ্যে এক উচ্চ আমীরপদ প্রদান করিলেন। ১৫২৬ খৃষ্টাবে পাণিপথের সমর পর্যন্ত গোয়ালিয়ার দিল্লীর লোদী বংশের অধীনে ছিল। পাণিপথের ভীষণ রণ ক্ষেত্রে ইব্রাহিমের সহিত গোয়ালিয়ের শেষ তোমররাজ বিক্রমাদিত্যও চিরনিদ্রিত হন। সম্রাট বাবরও বিক্ৰমাদিত্যের বীরত্বের মুখ্যাতি করিয়া গিয়াছেন । [ কোহিনুর শব্দে বিক্রমাদিত্যসম্বন্ধীয় বিবরণ দেখ। ] দিল্লীসাম্রাজ্য মোগলবীর বাবরের হস্তগত হইলে গোয়ালিয়ার রাজ্যও তাহার অধিকারভুক্ত হয়। যখন বাবর আগ্র অধিকার করেন, তৎকালে মঙ্গলরায় নামে তোমরবংশীয় একজন রাজা গোয়ালিয়ারে প্রধান হইয় উঠেন। গোয়ালিয়ারের পাঠান দুর্গাধিপ তাতার খাঁ তোমররাজের পরাক্রমে উীত হইয়া বাবরকে আহবান করিয়া লিথিয় পাঠান, “যদিও তিনি পাঠান জাতিয় শক্র, তথাপি তিনি মুসলমান, বিধৰ্ম্মীর বগুতাস্বীকার করা অপেক্ষ তাহার অধীনতা স্বীকার করিতে প্রস্তুত আছেন।” বাবর রহিমদাদ খাকে সসৈন্যে গোয়ালিয়ারে পাঠাইলেন। রহিমদাদ এখানে আসিলে পাঠান-দুর্গাধিপ তাহাকে দুর্গে প্রবেশ করিতে দিলেন না । তৎপরে মুহম্মদ ঘাউদ নামে এক সম্পত্তিশালী মুসলমান সাধুর কৌশলে রহিমদাদ গোয়ালিয়ার অধিকার করিলেন। ১৫২৭ খৃষ্টাব্দে তোমররাজ মঙ্গলরায় গোয়ালিয়ার দুর্গ অবরোধ করেন। কিন্তু তাহার আশা সফল হয় নাই । ১৫১৯ খৃষ্টাবে রছিমদাদ বিদ্রোহী হন, সম্রাট বাবর আসিয়া তাহার হস্ত হইতে গোয়ালিয়ারদুর্গ উদ্ধার করেন । ১৫৩০ খৃষ্টাব্দে বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুন অভিষিক্ত হন। তিনি গোয়ালিয়ার দুর্গ দেখিতে আসিয়াছিলেন এবং এখানে হুমায়ুনমন্দির নামে একট প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ১৫৪২ খৃষ্টাব্দে শের সাহ গোয়ালিয়ার অধিকার কল্পিয়া এথানে কিছুকাল বাস করেন এবং সেরমন্দির নির্মাণ করেন। এই সময়ে বিক্রমাদিত্যের পুত্র রামশাহ মোগলের হস্ত হইতে গোয়ালিয়ার উদ্ধার করিতে না পারিয়া শেরশাহেয় পক্ষ
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।