গোয়ালিয়ার [.. to J গোয়ালিয়ার নিতান্ত অন্যাঙ্গ বিবেচনা করিয়া উক্ত সন্ধিপত্র কাটিয়া পুনরায় ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে নবেম্বর মাসে অার এক সন্ধি করেন, তাহাতে অঞ্জেগাওর সন্ধির সকল কথাই ছিল, কেবলমাত্র গোহাদ ও গোয়ালিয়ার সিন্ধিয়ারাজকে প্রত্যপিত এবং চম্বললদী গেtয়লিয়ার রাজ্যের উত্তরসীমারূপে নির্দিষ্ট হয়। ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে পিণ্ডারিযুদ্ধের সময় পিণ্ডারি দমাদল ক্ৰমান্বয়ে মহারাষ্ট্ৰীয় সৈন্তগণের উপর অত্যাচার আরম্ভ করে। দৌলংরায় সিন্ধিয়া ভিতরে ভিতরে পিণ্ডারিদিগকে সাহায্য করিতেছেন জানিয়া পেশবা তাহাকে এই কাৰ্য্য ত্যাগ করিতে বিশেষ অনুরোধ করেন। দৌলৎরায় তাহার কথায় কর্ণপাত কলিলেন না । সুতরাং গলর্ণর জেনারল মারকুইস্ অব হেষ্টিং বহুসংখ্যক সৈন্ত লইয়া সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে চম্বলনদীর তীর পর্য্যস্ত অগ্রসর হইলেন । এই সময়ে জীরও একটা সন্ধি হয়, তাহাতে ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে লিথিত সন্ধিপত্রের সকল কথাই রদ হইয়া যায় এবং সিন্ধিয়ারাজ পিগুtরিদলের বিরুদ্ধে ইংরাঞ্জের পক্ষ হইয়। সীহ (যা করিবেন এরূপ একট প্রস্তাব লিখিত থাকে । উক্ত প্লস্তাব রক্ষার জন্য তাহাকে আশীরগড় ও হিন্দিয়ার দুর্গ ইংরাজের হস্তে অর্পণ করিতে হয় । প্রথমে সিন্ধিয়ারাজ কোন ক্রমেই ইংরাজের হস্তে আশীরগড় ছাড়িয়া দিতে স্বীকৃত হন লাই। ইংরাজের উহ! জোর করিয়া দখল করেন । দুর্গ মধ্যে একখানি পত্রে লিথিত ছিল যে, সিন্ধিয়ারাজ সেখানকার শাসনকৰ্ত্তাকে পেশার অনুমতি পালন কয়িতে আদেশ করেন। পেশবাই পুণার রেসিডেন্সী আক্রমণ করিয়া ইংরাজের সহিত যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সিন্ধিয়ার এইরূপ বিশ্বাসঘাতকত দেখিয়া ইংরাজরাজ চিরদিনের মত আশীরগড় দুর্গ নিজ অধিকারভুক্ত করিয়া লইলেন। ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে দৌলৎরায়ের মৃত্যু হয় । অপুত্রক হওরায় ও দত্তকপুত্র গ্রহণ না করায় মৃত্যুশয্যায় তিনি রাজ্যের সমস্ত ভার বৃটিশ গবমেন্টের হুস্তে দিয়া যান এবং তাহার কনিষ্ঠ পত্নী বাইজাবাইকে যথারীতি ব্যবহার করিতে বলেন । দৌলৎরায়ের ইচ্ছামত ইংরাজ গবমেণ্ট মূগতরাও নামে একটী বালককে সিংহাসনে বসাইলেন এবং রাজকীয় সমস্ত কাৰ্য্যের ভার বাইজার হস্তে রাথিলেন । এই নব মহারাজ দৌলৎরায়ের দৌহিত্রীকে বিবাহ করেন ७द१ छनरुछि निकिब्र नttभ थrांउ श्न । ५४७० शृठेiरक वाहेজার রাজকাৰ্য্য শিথিল হইয় পড়ে। বালক রাজা বাইজার ব্যবহারে নিতান্ত অসন্তুষ্ট হইয়া তাহা অধীনতা পৃথল ভগ্ন করিয়৷ বহুসংখ্যক সৈন্ত সাহায্যে পলায়ন করেন। এই জনকঞ্জির রাজত্বকালে যদিও বহিঃশত্রুতার কোন উপন্ধব ছিল না, তথাপি সীমাস্ত প্রদেশে প্রত্যহই কোন না কোন গোলযোগ ঘটিত। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে জনকজি অপুত্রক অবস্থায় প্রাণত্যাগ করেন। তাছার বিধবা পত্নী রাজ্যস্থ সম্রাস্ত অমাত্যবর্গের সাহায্যে বাজিরাৎরাও নামক এক অষ্টম বর্ষীয় শিশুকে দত্তক গ্রহণ করেন। বৃটিশ গবর্মেন্ট তাহার অনুমোদন করিলে বালক বাজিয়াও সিন্ধিয়া নাম গ্রহণপূর্বক সিংহাসনে অভিষিক্ত হইলেন। এই সময়ে রাজ্যে বিশেষ গোলমাল উপস্থিত হয় । শাস্তিস্থাপন করিবার জন্য ইংরাজরাজ গোয়ালিয়ারে সৈন্ত পাঠান। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে ২৯এ ডিসেম্বরে মহারাজপুর ও পল্লিয়ার নামক স্থানে ইংরাজসৈন্য ও বিদ্রোহীদলে যুদ্ধ হয়। বিদ্ৰোছাদল দুইটা যুদ্ধেই পরাজিত হইয়। পলায়ন করে । ইংরাজগণ পুনরায় ঐ নব শিশুকে রাজ্যে স্থাপন করিলেন । তাহার রক্ষার্থ ৩• • • পদাতিক ও ৩২ট মাত্র কামান রাখিয় দিলেন এবং অপরাপর সৈন্ত সংখ্যা কমাইলেন । ইহাতে সৈন্তগণের মনে ইংরাজের উপরে আক্রোশ জন্মিল, এই প্রধূমিত হৃদয়ারি ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহের সঙ্গে প্রকাশ্যভাবে জলিয়া উঠিল । ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে যখন বিদ্রোহী তান্তিয়াতোপী আগমন করেন, তখন সিন্ধিয়া সৈন্যগণ কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াছিলেন। তিনি স্বয়ং ও মন্ত্রী দিনকররা ও আগ্রানগরে পলাইয়। আত্মরক্ষা করিয়াছিলেন। ঐ বৎসর জুনমাসে সার হিউ রোজ গোয়ালিয়ার দখল করিয়া মহারাজকে তদীয় প্রাসাদে পুনঃ স্থাপন করেন । সিন্ধিয়ার কার্য্যে প্রীত হইয়। গবমেণ্ট তাহাকে দত্তক গ্রহণে অনুমতি দেন এবং ৩••••• টাকা আয়ের একখানি সম্পত্তি ও সৈন্ত সংখ্যাবৃদ্ধি করিবার আদেশ প্রদান করেন। মহারাজ বৃটিশসৈন্তের একজন প্রধান সেনা পতি হইলেন, নাইট গ্রাও ক্রস্ অব বাথ (R G, c, B) এবং নাইট গ্রাও কমাণ্ডর অব দি ষ্টার অব ইণ্ডির (k, d, c. s. l.) উপাধি প্রাপ্ত হন । সিন্ধিয়া নিজ রাজ্যে ২১ট ও বৃটিশ রাজ্যে ১৯টা করিয়া সম্মানসূচক তোপধ্বনি প্রাপ্ত হইতেন । কিন্তু বর্তমান মহারাজ জয়জিরাও ( বাজিরাও ) সিন্ধিয়া উভয় রাজ্যেই ২১টা তোপ প্রাপ্ত হন। ২ গোয়ালিয়ার রাজ্যের রাজধানী । অক্ষা ২৬° ১৩ উঃ ও দ্রাঘি' ৭৮° ১২' পূঃ। আগ্রা নগরের ৬৫ মাইল দক্ষিণে অযস্থিত । সিন্ধিয়া মহারাজের এখানে একটী দুর্গ আছে । ५क cमफ़ भाहेण भैौर्ष *ांशंरक्लद्र फेभन्न ध्रुर्भ ठावश्७ि ।। ইহা উত্তরাংশে গোয়ালিয়ার নগর হইতে ৩০ • ফিট উচ্চ,
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।