গোরক্ষপুর [ • ৫৬০ | গোরক্ষপুর T-TTF -T দেন। খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীতে নাগররাজ বিষ্ণুসেন এই রাজ্যের সামস্ত থাকেন, কিন্তু তৎকালে ভরজাতিও জেলার পশ্চিমদিকে রাজত্ব করিত । পরে মোগলসম্রাট অকৃবরের সময়ে জয়পুররাজ কর্তৃক ইহাদিগের সম্পূর্ণ অধঃপতন ঘটিয়াছিল । খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মুসলমান কর্তৃক তাড়িত রাজপুত রাজগণ এই জেলায় পলাইয় আসে, তন্মধ্যে ধূরচাদ -ধুরিয়াপাড়ে এবং চন্দ্রসেন শতাসী নামক স্থানে আসিয়া বাস করেন । উক্ত চন্দ্রসেন দোমানগড় ( বক্তমান গোরক্ষপুর দুর্গ ) আক্রমণ এবং দোমহ তার সর্দারকে নিহত করিয়৷ নিজে রাজা হন । ঐ শতাব্দীতে ঋতলল ও বাসার রাজগণের সহিত ঘন ঘন যুদ্ধে জেলার অধিকাংশ মরুভূমির আকার ধারণ করে এবং ১৩৫০ হইতে ১৪৫০ পৃষ্ঠাব্দ পর্ব্যস্ত শতাসী ও মঞ্জহোলি রাজগণের সহিত অবিচ্ছেদ যুদ্ধ १शफ्रेिऊ १ग्न । প্রায় ১৪ • • খৃষ্টাব্দে গোরখপুর নগর স্থাপিত হয়। শতাব্দী পরে এই জেলা ক্রমশঃই বিভক্ত হইয় পড়ে । । মজহোগাবংশ দক্ষিণপূৰ্ব্ব অধিকার করে । ধুরটাদের বংশধরের দক্ষিণপশ্চিমাংশে রাজত্ব করিতে থাকে । ইহার পর আওল্লা ও শতাসী রাজ্য এবং জেলার উত্তর পশ্চিমাংশে ক্ষুদ্ৰ বতবল রাজ্য গঠিত হয়। উক্ত রাজগণ সকলেই স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করিতেন । মোগল রাজত্বের পূৰ্ব্বে কোন মুসলমানই ঘর্ঘরা পার ২ইয়া এই প্রদেশে আসিতে পারে নাই । বঙ্গেশ্বর দাউদ খাকে পরাস্ত করিয়া অকৃবরের সৈন্ত দল এই জেলার মধ্য দিয়া আসিয়াছিল এবং যে সকল তাহাদের গতিরোধ করিয়াছিলেন, সম্রাট সেনানায়ক ফদাই থা সকলকে পরাজিত করিয়া গোরখপুর দখল করেন । অরঙ্গজিবের সময়ে তাহার পুত্র বাহাদুর শাহ মৃগয়ার উদ্দেশে এই জেলা দেখিতে আসেন । কিন্তু ১৭২১ খৃষ্টাব্দে লক্ষ্মেীনগরে অষোধ্যার নবাব উজীর প্রতিষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বে ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে (하이 মুসলমানগণ গোরখপুরের উপর বড় একটা নজর রাখিতেন ! না। তৎকালে দেশীয় রাজগণ এই প্রদেশে রাজত্ব করিতেন । নবাব সরাদং আলী সিংহাসনে আরোহণ করিয়াহ গোরখপুর অধিকারে যত্ন পান । ১৭৫৯ খৃষ্টাব্দে আলী কাসিম খ৷ বহু সৈন্য লইয়া গোরখপুর হস্তগত করিলেন । এ সময়েও মুসলমানগণ গোরখপুরের কয় লইয়া বিশেষ পীড়াপীড়ি করিতেন না । দেশীয় রাজগণ যাহাই দিতেন, তাছাই গ্রহণ করিতেন। খৃষ্টীয় ১৮শ শতাকে বঞ্জরাদিগের উৎপাতে এই জেল বিশেষ উৎপীড়িত হয়। ১৭২৪ খৃষ্টাব্দে বল্পরা দিগকে প্রথম দেখা যায়। ত্রিশবর্ষ তাছার একটু শান্ত ছিল, তৎপরে ইহার বাসির রাজার সহিত মিলিত হইয়া অপরাপর সর্দারগণকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলে। এই সময় অযোধ্যার নবাব সরকারের রাজপুরুষগণ প্রজার ধন সম্পত্তি সমস্তই লুটিয়া লইতে লাগিল । প্রজাদের হাহাকারে গগন বিদীর্ণ হইল। ১৭৪৪ খৃষ্টাব্দে বক্সরের যুদ্ধের পর একজন বৃটিশ সেনানায়ক নবাবের সৈন্ত পরিচালন ভার ও গোরখপুরের কর অাদায় করিবার ভার পাইলেন । তিনি কয়েকজন জোতদারকে জমি বিলি করিলেন, তাহার। প্রজ। বিলি করিয়া নিদয় ভাবে অত্যধিক কর আদায় করিতে লাগিল । ১৮ • ১ খুষ্ঠাধের મશ્રિ অনুসারে অযোধ্যার নবাব বৃটিশ গবমেণ্টকে এই জেণ ছাড়য়া দেন। বৃটিশ গবমেণ্ট গোরখপুর, আজিমগড় ও বস্তিজেলার সুশাসনের বন্দোবস্ত করিলেন । সময়ে সময়ে প্রজাদিগের রাজস্ব ও কমাইতে লাগিলেন । ১৮১৩ খৃষ্টাব্যে নেপালীর গোরখপুর আক্রমণ করে । কিন্তু অল্পকাল মধ্যে তাহারা ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হয় । তৎপরে সিপাহীবিদ্রোহ পর্য্যন্ত এখানে কোন গোলযোগ ঘটে নাই । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে আগষ্ট মাসে মুহম্মদ হোসেনের অধীনে বিদ্রোঙ্গীগণ জেলা অধিকার করে, ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে ৬ই জানুয়ারী জঙ্গবাহাদুর গোখাসৈন্তসহ আসিয়া মুহম্মদ হোসেন ও পরে অপর বিদ্রোহীকে গোরখপুর জেল হইতে তাড়াইয়া দেন । সেই পৰ্য্যস্ত বুটশ গবমেন্টের অধিকারে আছে । এখানে এক একজন রাজার অধীনে কয়খনি করিয়া পরগণা, তন্মধ্যে আবার পট্ৰিদারা, জমিদারী ও ভয়চার বন্দোবস্ত আছে । wリジ এখানে জোয়ার, বাজরা, যব, গম, কলাই, মৃগ প্রভৃতি প্রচুর জন্মে। বনে মধু যথেষ্ট পাওয়া যায়। এখানকার বড়াজ নামক স্থানই বাণিজ্য প্রধান । ফয়জাবাদ, অকৃবরপুর, জমাণিয়া প্রভূতি স্থানেও নানাপ্রকার ব্যবসা চলে । এখানকার জলবায়ু স্বাস্থ্যকর । পৰ্ব্বতের নিকট থাকায় তেমন গ্রীষ্ম হয় না, অথচ তেমন ঠাওiও নহে । এথানকার তরাই ও বনজঙ্গল অংশে ম্যালেরিয়া জরের যথেষ্ট গ্রাদুর্ভাব । গোরখপুর, রুদ্রপুর, কশিয়া ও বভূলগঞ্জে দাতৰ্য ঔষধালয় আছে। এখানে ব্রাহ্মণ, রজপুত, কায়স্থ, কুৰ্ম্মি প্রভৃতি হিন্দু ও শেখ, সৈয়দ, মোগল ও পাঠানের বাস আছে। হিন্দু অধিবাসীর মধ্যে ব্রাহ্মণ ও কুরুমি জাতি, এবং মুসলমানের মধ্যে শেখদিগের সংখ্যাই অধিক । ২ উক্ত জেলার মধ্য তহশীল। ভূপরিমাণ ৬৫৪ বর্গমাইল। রাজস্ব আদায় ২৫৯২৩০ টাকা। তবে
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।