গোর্থ T- - - --- ് নারায়ণের সহিত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, মগর, গুরুঙ্গ, কামাই, দামাই প্রভৃতি নানা জাতি অন্ত্র ধারণ করিয়াছিল, এখন তাহারা সকলেই গোর্থ নামে পরিচিত । গোর্থীগণ বলিষ্ঠ, সাহসী, দৃঢ়কায়, সত্যবাদী ও কষ্টসহিষ্ণু। পাৰ্ব্বতীয় যুদ্ধে ইহাদের সমকক্ষ যোদ্ধা ভারতে আর নাই । ইহাদের শরীরের গঠন চীন বা তাতারবাসীর মত, চক্ষু ছোট, নাসিক চেপ্টা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মাংসল । খৃষ্টীয় একাদশ শতব্দে মুসলমান আক্রমণে উৎপীড়িত ইষ্টয়া হিন্দুরাজগণ সসৈন্তে নেপালের পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশে আসিয়া আত্মরক্ষণ করেন। কোন কোন পুরাবিদের মতে সেই হিন্দুগণের সহিত এথানকার মগর, গুরুঙ্গ প্রভৃতি জাতীয় রমণীর সংস্রবে গোর্থ প্রভৃতির উৎপত্তি হইয়াছে। নেপালের গোর্থ নামক স্থানে এই গোর্থীগণ বহুদিন নিরাপদে শান্তিমুখ ভোগ করিতেছিল, ঘটনা ঘটে নাই। তাছাদের সর্দার নামমাত্র নেপাল রাজের অধীন ছিলেন। ১৭৬৮ খৃষ্টাব্দের কিছু পূৰ্ব্বে মুহম্মদ তোগলক নেপাল অধিকার করিবার জন্ত অগ্রসর হন । সেই সময় চীনসৈন্ত আসিয়া নব আক্রমণকারীকে পরাজয় করে । এই সময়ে ভাটগাও, কাঠমাণ্ডু ও ললিতপত্তনের রাজাদিগের মধ্যে গোলযোগ বাধে। পৃথ্বীনারায়ণ এই সময় গোর্থাদিগের রাজা, তিনি আপনাকে উদয়পুরের রাণার বংশধর বলিয়া পরিচয় দিতেন। ভাটগাওর রাজা অপর রাজগণের বিরুদ্ধে পৃথ্বীনারায়ণের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু তিনি দেখিলেন যে পৃথ্বীনারায়ণ হইতে সাহায্য লাভ দূরের কথা, গোর্গাধিপ তাহাদিগের বিপক্ষেই উঠিয়াছেন। তখন উক্ত তিন স্থানের রাজা ও তাহাদের অধীনস্থ সামন্তগণ সকলেই গোর্গাধিপের বিপক্ষে অস্ত্ৰধারণ করিলেন। কিন্তু একে একে সকল রাজধানীই গোর্থ সর্দারের হস্তগত হইতে লাগিল, একজন রাজা যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হইলেন, একজন বন্দীভাবে কারাগারে মরিলেন, একজন ভারতে পলাইয়া আসিয়া বুটশ গবর্মেন্টের সাহায্য প্রার্থনা করিলেন । বৃটিশ গবমেণ্ট তাহাদের সাহাব্যার্থ সৈন্য পাঠাইয়াছিলেন। কিন্তু কিছুই করিতে পারেন নাই। পৃথ্বীনারায়ণের মৃত্যুর পর তাহার শিশু পৌত্রের প্রতি নিধি গোর্থবীির বাহাদুর শাহ গোর্থৈিসন্ত সাহায্যে সমস্ত নেপাল ও ভোটের কিয়দংশ অধিকার করিয়া লইলেন । গোখরা সিকিমরাজা অধিকার করিতে অগ্রসর হইল। ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে বৃটিশ গবমেন্টের সহিত গোর্থাদিগের ভীষণ সমর বাধে। প্রথমে গোখার বিস্তর বুটশগৈষ্ঠ নষ্ট করি কোন উল্লেখযোগ্য [ ৫৬৩ ] গোল য়াছিল। পর বর্ষে সার ডেভিড় অক্টরলনি বুটশ গৌরব উদ্ধারের জন্য প্রবল প্রতাপে গোর্থাদিগকে আক্রমণ করেন । কিন্তু তিনিও বড় কিছু করিতে পারেন নাই । খৃষ্টাব্দে বুটশ গবর্মেন্টের সহিত নেপালরাজের সন্ধি হয় । তাহাতে কৌশল ক্ৰমে বুটশ গবমেণ্ট কতকগুলি স্থান গোর্থীদিগের হস্ত হইতে উদ্ধার করেন এবং নেপাল রাজ্য বর্তমান আকারে পরিণত হয় । [ নেপাল দেখ। ] সন্ধি অনুসারে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে একজন বৃটিশ রেসিডেণ্ট থাকিতে পান। ১৮৪০-৪১ খৃষ্টাব্দে শিখযুদ্ধের সময় নেপালের গোর্থীরাও বুটশ গবর্মেন্টের বিরুদ্ধে অস্থধারণ করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছিল, কিন্তু বৃটিশ রেসিডেণ্ট সুবিজ্ঞ ব্রায়ণ হজসন সাহেবের কৌশলে গোলযোগ থামিয়া যায় । ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে হজসন সাহেব গোর্থ সৈষ্ঠের যুদ্ধনিপুণতার পরিচয় দিয়া বুটশ গবর্মেন্টকে এক পত্র লেখেন এবং নেপাল হইতে গোর্থৈিসন্ত সংগ্ৰহ করিয়া বৃটশ সৈন্ত মধ্যে নিযুক্ত করিতে অনুরোধ করেন । বৃটিশ গবমেণ্ট তাহার প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করিলেন । গোর্থীগণ ভারতের লোকদিগকে “মধুেশিয়া” বলিয়া ঘৃণা করিয়া থাকে। প্রথমে তাহার কেহই বুটশের অধীন হইতে চায় নাই। তবে যে সকল গোর্থী সৈন্ত নেপালরাজসরকারে নিযুক্ত ছিল না, হজসন সাহেবের প্ররোচনায় তাহারা বুটশ রাজ্যে আসিতে স্বীকৃত হইল। ক্রমে ক্রমে এইরূপ প্রায় ত্রিশ হাজার সৈন্য বুটশ সৈন্যমধ্যে প্রবেশ করিল। তথন সুচতুর নেপালরাজ এক আপত্তি করিলেন যে, বৃটিশ গবমেণ্ট নেপাল হইতে কাহাকে ও লইতে পরিবেন না, এরূপ হইলে নেপালরাজের বল হ্রাস হইবার সম্ভাবনা । তদবধি বৃটিশ গবমেণ্ট নেপাল হইতে আসল গোর্থ সেনা সংগ্ৰহ করিতে পারেন না, বুটশ অধিকারভুক্ত নেপালের তরাইয়ে যে সকল গে{ৰ্থ বাস করিতেছে. ভtহাদের মধ্যে উপযুক্ত লোক লইয়া বুটশ গবর্মেন্টের গোর্থ। সৈঙ্গদল গঠিত হয় । গোর্থী সৈন্তাগণ নিতান্ত প্ৰভু ভক্ত, সত্যবাদী ও সাহসী । বুটশ গবমেণ্ট এই সৈন্স দ্বারা যে কত উপকার পাইয়াছেন, তাহা বলিয়া শেয করা যায় না। জঙ্গ বাচা দুয় গোর্থসৈন্ত সাহায্যেই সিপাহী বিদ্রোহের সময় বৃটশ রাজত্ব রক্ষা করিয়াছিলেন । নেপাল রাজের অধীনেও প্রায় লক্ষাধিক গোর্থী সৈন্ত আছে। গোর্দ (কী ) গুর দদন নিপাতনে সাধু ( অস্বাদয়শ্চ। উগ্ ৪ । ৯৮ ) ১ মস্তিষ্ক, মস্তিকস্থ ঘৃত । ( অমর } গোল (পুং ) গুড় অচ ডস্ত ল। ১ বৰ্ত্ত লাকার পদার্থ। >br)や
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।