গোলকলাড়, নাসিক জেলায় কিছু অধিক। শোলাপুরে এই জাতির মধ্যে মুগু, পুণ্ড ও রওগোলক, বেলগামে ও ধারবারে কুওগোলক ও রওগোলক এবং নাসিক জেলায় উক্ত কয়প্রকার শাখা দৃষ্ট হয়। কেশমুণ্ডনকারিণী বিধবার পুত্রের নাম মুণ্ড [ go o 1 গোলক্ষণ গোলকাকড়া (দেশজ ) একপ্রকার গাছ। গোলকাকরোল ( গোলকাকড়া দেখ। ] গোলকাঠ ( দেশজ) কড়িকাঠ। গোলকুণ্ড, (গোলুগোও বা গোলগোও) মাগ্রাজের গোলক । পতির মৃত্যুর একবর্ষ মধ্যে যে বিধবার পুত্র হয়, তাহার নাম পুণ্ডগোলক । বিবাহিত হইবার পূৰ্ব্বে যে ব্রাহ্মণকণ্ঠার অপর ব্রাহ্মণ দ্বারা পুত্র জন্মে, সেই পুত্রের নাম কুণ্ডগোলক এবং বিধবা ব্রাহ্মণীর গর্ভজাভ পুত্রের নাম রগুগোলক (১) । ইহাদের মধ্যে ভারদ্বাজ ভার্গব, কাশুপ, কৌশিক, সাংখ্যায়ন, বশিষ্ঠ ও বৎস প্রভৃতি গোত্র আছে। ভিন্ন শাখা ও এক গোত্রে বিবাহ হয় না । ইহার! সকলেই আপনাদিগকে প্রকৃত ব্ৰাহ্মণ বলিয়া পরিচয় দেয়, কিন্তু দক্ষিণাত্যের উচ্চশ্রেণীর ব্রাহ্মণেরা ইহাদিগকে শূদ্রভাবে গ্রহণ করিরা থাকেন । ইহাদের অtহার ব্যবহার সাজসজ্জ। ও দেখিতে দেশস্থব্রাহ্মণের দ্যায় । [ দেশস্থব্রাহ্মণ দেথ । ] অপর ব্রাহ্মণের দ্যায় ইহার উপনয়নাদি সংস্কারে অধিকারী। কিন্তু কোন স্থানে ইহাদিগকে বেদপাঠ করিতে দেয় না। ইহার স্ব স্ব কুলদেবতার পূজাও করে। বাণিজ্যব্যবসাতেও ইহারা পরাভূখ নহে। ইহারা বলে ইহাদের পূৰ্ব্বপুরুষের মহারাষ্ট্রের যজুৰ্ব্বেদী ব্রাহ্মণদিগের উপর পৌরোহিত্যের অধিকার বন্ধক দিয়া এখন হীন হইয়া পড়িয়াছে। গোলকলাড়, দেশজ ) একজাতীয় বড় গাছ । ১ ) সহায়িখণ্ডে উক্ত গোলকজাতির উৎপত্তি সম্বন্ধে একটু মতভেদ লক্ষিত্ত হয়— "ব্রাহ্মণ বিধবা নারী ব্যভিচায়েণ গুৰ্ব্বিণী । গোলকগুস্ত পুত্রে বৈ শুদ্ৰবদাদি কেবলম্ ॥ ব্রাহ্মণস্ত যদা পুত্রী জাত দ্বাদশবার্ষিকী। অবিবাহিত চ তস্যাং বৈ জাতশ্চৈবামুগোলকঃ ॥ ব্রাহ্মণী বিধবা চৈব পুনর্বিবাহিত কৃতী । তৎপুত্র কুণ্ডগোলশ্চ সৰ্ব্বধৰ্ম্মবহিস্কৃত: 1 স্থপতিত্যাগিনী নারী নির্দেশদূরতস্থিত। তস্যাং পুত্রে যা জাতে য়গুক ইতি নামত্তঃ ॥ DDD BBBBDHHH BB BBBBBB S BBB BBB ggBBBS বিধবা ব্রাহ্মণী ব্যভিচার দ্বারা গর্ভবতী হইলে যে পুত্র জন্মে, তাহাকে গোলক বলে, তাহার আচারাদি শূত্রবৎ। দ্বাদশবর্ষ উত্তীর্ণ অবিবাহিত। ব্ৰাহ্মণকঙ্কার গর্ভজাত পুত্রের নাম অমুগোলক । বিধবা ব্রাহ্মণকস্তা পুনর্বিবাহিত হইলে যে সম্ভান জন্মে, তাহাকে সৰ্ব্বধৰ্ম্মবহিষ্কৃত কুণ্ডগোলক বলা যায় । কেন নারী নিজের পতিকে পরিত্যাগ করিয়া স্বইচ্ছায় যে পুত্রে।ৎপাদন করে, তাহাকে স্নগুক বা রংগোলক বলে । কুণ্ডগোল প্রভূতি ইহারা সকলেই অধম ও মর্বধৰ্ম্মহিষ্কৃত । বিশাখপত্তন জেলার অন্তর্গত গবর্মেন্টের একটা খাস ৩ালুৰু । অক্ষা ১৭* ২৮ হইতে ১৮, ৪ উঃ ও দ্রাঘি• ৮১° ৩ হইতে ৪২° ৪১' পুং মধ্যে অবস্থিত। এই তালুকের মধ্যে ২২৮ খানি গ্রাম ও ২৩৬৬৬ ঘর লোকের বসতি আছে। উক্ত গ্রামের মধ্যে ১১৩ খানি গ্রাম রায়তবারী অর্থাৎ গবর্মেন্টের নিকট হইতে চাণীর সদর জমায় আছে । এই তালুক পৰ্ব্বভময়, প্রায় ২• • • বর্গমাইল গবর্মেন্টের বনবিভাগ, পূৰ্ব্বে উহা জয়পুররাজের করদরাজ্যের ভূসম্পত্তি ছিল। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে রাণীর হত্যাকাণ্ডের পর গবর্মেন্ট উক্ত সম্পত্তি দখল করেন এবং জমিদারকে কারারুদ্ধ করেন । পর বৎসরে গবর্মেণ্টবাহাদুর নিলামে উক্ত সম্পত্তি খরিদ করেন। ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে স্থানীয় সর্দারের বিদ্রোহী হইয়া তিন বৎসরকাল সম্পত্তি দখলে রাখে । পুনরায় ১৮৫৭৫৮ খৃষ্টাব্দে তাহাদিগের বিরুদ্ধে সৈন্ত পাঠাইরা ঐ জমিদারী গবমেন্টের তালুকভুক্ত হয়। নর্মাপত্তনে উহার সদর কাছারী ও পুলিস আছে। এই তালুকের অার একট প্রধান নগরের নাম গোলকুণ্ডা। অক্ষা ১৭° ৪১' ৪০" উঃ ও দ্রাঘি ৮২° ৩• ৫• পূঃ । গোলকুণ্ড, নিজামরাজ্যের অন্তর্গত একটা ধ্বংসাবশিষ্ট নগর ও দুর্গ। হায়দ্রাবাদনগরের ৭ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত । অক্ষা ১৭* ২২ উঃ ও দ্রাঘি” ৭৮, ২৬ ৩০% পুঃ । বাহ্মণীবংশের অধঃপতনের পর গোলকুণ্ড দাক্ষিণাত্যের মধ্যে একট বৃহৎ সমৃদ্ধিশালী রাজ্যে পরিণত হইয়াছিল। ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দে অরঙ্গজেব উহা অধিকার করিয়া নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করিয়া লন। শ্রেণাইট পৰ্ব্বতের শিখরের উপর গোলকও দুর্গ স্থাপিত। ইহা শক্রর দুর্ভেদ্য এবং পূর্ণ সংস্কৃত । এই দুর্গের ৬•• গজ দূরে প্রাচীন রাজগণের নিৰ্ম্মিত অনেকগুলি অত্যুচ্চ মসজিদ আছে। কালবশে অনেক ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়াছে, কিন্তু আজিও সমভাবে দণ্ডায়মান । ঐ সমাধিমন্দিরগুলি নিৰ্ম্মাণ করিতে আনুমানিক প্রায় ১৪••••• টাকা খরচ লাগিয়াছে। এই দুর্গ এক্ষণে নিজামরাজের কোষাগার ও রাজকারাগাররূপে ব্যবহৃত হইতেছে। গোলকুণ্ডার হীরকের কথা পৃথিবীর সর্বত্রই প্রচার আছে। গোলক্ষণ (রী ) গোলক্ষণং ৬তৎ। গোস্কর শুভাশুভ স্বচক চিহ্নবিশেষ । { গো দেখ। ]
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।