গোলাপসিংহ [ وهv | গোলাপসিংহ তোমার পিতার ও আমাদের এখানে যে সকল মহামূল্য অস্থাবয় সম্পত্তি আছে, তাছ। এখন আমাদের পিতৃরাজ্য জম্বুতে লইয়া গিয়া রাখাই কর্তব্য । তুমি কি বল।” ইয়াসিংহ জ্যেষ্ঠতাতের কৌশলপূৰ্ণ কথার কোন প্রতিবাদ করিতে পারিলেন না। এইরূপে গোলাপসিংহ কনিষ্ঠ স্বচেতসিংহকে ও অসংখ্য মণিরত্নাদি লইয়া স্বরাজ্যে প্রস্থান করিলেন । কাহারও মতে এ সময়ে লাহোরের রাজতাণ্ডারও একপ্রকার লুট হইয়াছিল। জম্বুত্তে আসিয়া গোলাপসিংহ সুচেতসিংহকে বলেন, “ভাই ! দেখ, আমার তিন চারিট পুত্র সন্তান, কিন্তু তোমার একটও সস্তানাদি নাই, আমার ইচ্ছা তুমি আমার এক পুত্রকে দত্তক গ্রহণ কর।” জ্যেষ্ঠের কথায় স্বচেত সম্মত হইলেন। এইরূপে গোলাপসিংহের এক পুত্র মুচেতের সমস্ত জায়গীর ও ভূসম্পত্তির ভাবী উত্তরাধিকারী হইলেন। এইবার গোলাপসিংহ আপনার স্বার্থসিদ্ধির অার এক সুযোগ খুজিতে লাগিলেন। রণজিতের কাশ্মীরা ও পেশোরীসিংহ নামে দুই পুত্র ছিল। গোলাপ তাছাদের নাম জাল করিয়া এক পত্র খাড়া করিলেন, তাহাতে প্রকাশ থাকে যে সিন্ধুবালাদিগের রাজহত্যা ও মন্ত্রীহত্যাকাওে উক্ত উভয় ভ্রাতার যড়যন্ত্র ছিল । রণজিৎসিংহ কাশ্মীরসিংহকে শিয়ালকোট এবং পেশোরাসিংহকে চন্দ্রভাগাস্থ গড়িয়াবাল দুর্গ দিয়া যান। কাশ্মীরার অধীনে কপুরসিং নামে এক বৃদ্ধ কিল্লাদার ছিলেন। তিনিও উভয় ভ্রাতার বিরুদ্ধে মিথ্য সাক্ষ্য দিলেন। লাহোর হইতে উভয় ভ্রাতাকে বন্দী ও তাছাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ আসিল । লোভী জম্বুরাজ শিয়ালকোট ও গড়িয়াবালায় সৈন্ত পাঠাইয়া ভ্রাতৃদ্বয়কে আক্রমণ করিলেন ও তাহাদের সমস্ত ধন সম্পত্তি লুটিয়া লইলেন। কাশ্মীর ও পেশোয় স্বপ্নেও ভাবে নাই, যে এরূপ অকস্মাৎ তাহাদিগকে কেছ আক্রমণ করিবে। যtছ হউক, এখন তাহার নিরাশ্রয় অবস্থায় সপরিবারে নিকটস্থ একজন শিখগুরুর আশ্রয় লইলেন। এখান হইতে তাহার। লাহোর ও জম্মুতে লিখিয়া পাঠাইলেন যে তঁtহায় সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাহদের কোন শক্ৰ भिशृjां कतिप्रां ऊँश८भन्न मां८म कणश् ज्ञछेfहेब्रांtछ्। किरु দুবৃত্ত গোলাপসিংহ তাহদের কোন কথা শুনিলেন না। শেষে রাজপুত্রদ্বয়কে হস্তগত করিবার অভিপ্রায়ে তাহাদিগকে জমুনগরে আসিতে আদেশ করিলেন। কিন্তু ধূৰ্ব গোলাপ জম্বুতে পাইয় তাহাদিগকে একপ্রকার নজরবন্দী করিয়া বলিলেন, যে র্তাহার। যদি তাহাকে ৭৫ লক্ষ টাকা দণ্ডস্বরূপ প্রদান করেন, তাহা হইলে ভৰিব্যভে তাছাদের উপর एषांनि cनि अङिffFiद्म श्य न! । हिडि ऊँशंझ। ५७ টাক কোথায় পাইবেন ? কাজেই রাজপুত্রদ্ধয় গোলাপের कृ*ा ठिन कांश्णिन । भशबैौग्न ब्रभजि९निशtश्ब्र भूप्यद्र প্রেতি এরূপ অত্যাচার হুইডেছে দেখিয়া খালসাসৈন্ত সকলেই বিরক্ত হইয়া উঠিল । তাছার গোলাপকে জানাইল যে "রণজিৎপুত্রের প্রতি এরূপ অত্যাচার করিয়া খালসার অপমান করিতেছেন, যদি তিনি অবিলম্বে উভয়কে সসম্মানে ছাড়িয়া না দেন, তবে খালসাসৈন্ত অস্ত্ৰধারণ করিযে ।” গোলাপ তাছাতে ভীত হইয়। ২৫ সহস্র টাকা লইয়া কাশ্মীর ও পেশোরীসিংহকে মুক্তি দিলেন। কিছুদিন পরেই কাশ্মীরসিংহ সেই তুষ্ট কিল্লাদারকে বিলক্ষণরূপে প্রহার করেন, তাছাতেই হতভাগার মৃত্যু হুইল । এ সংবাদ পাইয়া গোলাপসিংহ লাহোরে এক পত্র লিথিলেন। আবার রাজপুত্রদ্বয়কে বন্দী করিবার আদেশ আসিল । গোলাপসিংহ গড়িয়াবাল আক্রমণ করিয়া সাতশত সৈন্ত শিয়ালকোটে পাঠাইলেন। এবার কাশ্মীরসিংহ পুৰ্ব্ব হইতে সতর্ক ছিলেন। তিনি আপনার দুইশত সৈন্যকে দুর্গরক্ষায় নিযুক্ত করিলেন। তাহার যুদ্ধকৌশলে গোলাপের সৈন্যদল পরাজিত ও বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিল। গোলাপসিংহ নিজ সৈন্যের পরাভবে ক্রোধান্ধ হইয়। বহুশত অশ্বারোহী ও কতকগুলি কামান দুর্গ অধিকার করিবার জন্য পাঠাইলেন । কিন্তু এবারও সৈন্যগণ পুৰ্ব্ববৎ ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া ফিরিতে বtধ্য হইল। যখন গোলাপ দেখিলেন যে দুইহাজার অশ্বারোহী ও সাত হাজার পদাতি গিয়াও কাশ্মীরসিংহের কিছু করিতে পারিল না, তখন তিনি লাহোর হইতে বিপুল শিখবাহিনী আনিবার জন্য পত্র লিখিলেন । লাহোর হইতে মেজেতিয়া, ডোগয়া ও বহুংখ্যক মুসলমান সৈন্য আসিল । কিন্তু তাহাতেও কিছু হইল না। গোলাপসিংহ দেখিলেন যে এখন তাহার মানসন্ত্রম রক্ষণ করা দায়, যখন এত বহু সংখ্যক সৈন্য লইয়া অতি সামান্য সৈন্যকে পরাজয় করিতে পারিলেন না, তখন র্তাহার এত দম্ভ এত গৰ্ব্ব কোথায় থাকিবে । তিনি অবিলম্বে ইহার প্রতীকার করিবার জন্য হীরাসিংহকে পত্র লিখিলেন। খালসাসৈন্য রণজিতের পুত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবে না জানিয়া, হীরাসিংহ ধ্যানসিংহের রক্ষিত পরাক্রান্ত পাঁচহাজার অশ্বারোহী ও গুটী অশ্বচালিত বৃহৎ কামান শিয়ালকোটদ্বুর্গধবংগের জন্ত পাঠাইয়া দিলেন। নবাগত যোদ্ধৃদলের গোলাবর্ষণে শিয়ালকোট দুর্গ ঘন ঘন কম্পিত হইতে লাগিল। কাশ্মীরা
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।