গোলাব । - রণজিৎসিংহের পূর্বপুরুষ, ইনি সৰ্ব্বপ্রথম শিখধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । [ রণজিৎসিংহ দেখ। ] গোলাপূর্ব, এক অতি নীচ শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। উত্তর পশ্চিমা ধলে “গোলাপুরস্কৃ” নামে খ্যাত। ইহারা আপনাদিগকে সনাঢ্য ব্রাহ্মণের এক শাখা বলিয়া পরিচয় দেয়। কাছারও মতে ইহারা গালৰ ঋষি হইতে উদ্ভূত। আবার কেহ বলেন, চন্দ্রসেন রাজার শকসেনী নামে এক কন্যা ছিল, তাহারই গর্ভে গোগাপুর জন্মগ্রহণ করিয়াছে। অনেকের মতে নিম্নজাতীয় বিধবার গর্ভে এই জাতির উৎপত্তি। এদিকে আবার কোন কোন সুত্ৰধার ইচ্ছাদিগকে স্বশ্রেণীস্থ বলিয়৷ পরিচয় দেয়। উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অনেক গোলাপুরব দেখা যায়, এক জাগ্র অঞ্চলেই প্রায় দশহাজার গোলাপুরবের दांग पञांtछ् । f গোলা, (পারসী গুলাৰু) স্বনামখ্যাত পুষ্পবিশেষ ও তাহার জল। এই পুষ্পের সৌরভে ও সৌন্দর্ঘ্যে সকলের মন মোহিত হর, এজন্ত সৰ্ব্বত্রই ইহার আদর । ইহার গাছের ডালে অত্যন্ত কাটা আছে। পত্রগুলি কথঞ্চিৎ মন্থণ হইলেও বৃত্তের চারিধারে খোচার মত। ভারতবর্ষে এই ফুল যত্নে গৃহে উৎপন্ন হর এবং বন্য অবস্থায়ও দেখিতে পাওরা যায়। কাশ্মীর, লাহুল ও ভোটদেশের বনে হরিদ্রাবর্ণের গোলাব আপনাপনি জন্মে । লাধকে সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১১••• ফিট উচ্চে বড়জাতীয় হরিদ্রাবর্ণের গোলাব দেখা যায়। চীনদেশেও এই হলুদে গোলাপ জন্মাইতে দেখা গিয়াছে । এই গাছ অপরাপর গোলাপের অপেক্ষা অনেকাংশে বড় ও লতানিয়া হইয়া থাকে। এইজন্য আমাদের দেশে ইহা রোপণ করিতে হইলে চারিদিকে বাশের ছত্রি বাধিয়া দিতে হয়। ইংরাজের এই পুষ্পকে ‘মার্সেল নীল’ বলেন। ইহার ভোড় বড়ই আদরণীয় ও সম্মানাৰ্ছ উপঢৌকন বলিয়া গণ্য। সাধারণতঃ ১৯° হইতে ৭০° অক্ষাংশের মধ্যে এই গাছ জন্মাইতে দেখা যায়। শুষ্ক মাটিতে গাছ পুতিলে শীঘ্রই ফুল হয়। য়ুরোপের উত্তরাংশে কেবলমাত্র এক সারি পাড়িবিশিষ্ট পুষ্প জন্মে। কিন্তু ইতালী, গ্রীস ও স্পেন প্রভৃতি দেশে বহু পাবড়িযুক্ত ফুল যথেষ্ট উৎপন্ন হয়। গোলাপের সংস্কৃত নাম-শতপত্রী ; আরবী—বরূদ ; পারসী—ণ্ডল ; চীন—য়িংসি, সিয়াংবৈ, মুইঙ্কাই-বো ; cकांकौन-5ौन-cशग्नांश्९ cठां ? dौक-८ब्रांtप्लांन ; क्रशcब्रांज ; ७णगांछ-क्रम् ; ऐश्ब्रांणैौ-tब्रांछ (Rose); भशग्नমৰয় ; তামিল-গুলাগু, তেলঙ্গ-রোজাপুৰীে, গুলপুবে । Rosa centifolia বা সিরিয়া দেশজাত গোলাব বৃক্ষ। [ હા, ૨ ] গোলাৰ সংস্কৃত ভাষায় ইহাকে শতপত্রী, বাঙ্গালায় কাটগোলাৰ এ ইংরাজীতে কেবেজ রোজ (Cabbage rose) on I gott", ভারতের সর্বত্র, পারস্তে ও চীনদেশে ইহার চাস হয়। এই ফুল হইতে গোলাপফুল ও গোলাবী আতর প্রস্তুত হইয়া থাকে। এ দেশে ইছাতে গুল-কনা তৈয়ারী হয়। Rosa glaudulifera-olatçx èetç, «yw-c*èfs aj শেবর্তী বলিয়া থাকে । হিমালয় প্রদেশে সমুদ্র পৃষ্ঠ হইতে ৪৫•• হইতে ১৯৪০ফিট উচ্চ স্থানের মধ্যে একজাতীয় গোলাপ (Rosa macrophylla) জন্মে। ইহার ফল পাকিয়া কৃষ্ণবর্ণ হইলে লোকে খাইয়া থাকে। তাহ খাইতেও অতি মধুর। পঞ্জাবেও হিমালয়ের ৫• • • হইতে ৯৫০০ ফিট উচ্চস্থানে Rosa Webbiana জাতীর গোলাব জন্মে। ইহারও ফল থাইতে সুস্বাদু। এজন্ত সৰ্ব্বত্রই ইহায় আদয়। ফুল ও বীজবিক্রেতাগণের তালিকায় এক্ষণে শত শত বিভিন্নজাতীয় গোলাপের নাম দেখা যায়। তন্মধ্যে (১) বলোর বা পারস্ত দেশোৎপন্ন গোলাপজাতি, (২) স্থায়ীগন্ধ দামাস্কজাতি, (৩) স্থায়ীগন্ধ মিশ্রজাতি (ইংলওে এই পুষ্পের আদয় অধিক ), (৪) বুবু দেশজাত গোলাবজাতি, (৫) চীনাগোলাব এবং (৬) চা গন্ধযুক্ত গোলাপ জাতিই প্রধান। অপরাপর বিভিন্ন নামধেয় গোলাপ উক্ত ছয় শ্রেণীর অন্তর্নিবিষ্ট । cशांणां*फूल cशभन भtनांश्ज़, ट्रेश्ॉब्र ठांउग्न ७ छण তেমনি প্রিয় ও প্রীতিকর। গোলাপ মানবপ্রিয় বলিয়া ইহার চাষও যেশ লাভকর এবং ইহার চাষের জমিও অপর জমি অপেক্ষ মূল্যবান। এমন কি ইটালী রাজ্যের কেনি নামক উপত্যকায় কতকগুলি গেtলাপের ক্ষেত্র অাছে, তাছার প্রতি বিঘtয় তিন শত টাকা লাভ হইয়া থাকে। সেখানে প্রতি বর্ষে আড়াই লক্ষ টাকায় কেবল গোলাব পুষ্প উৎপন্ন হয়। ভারতবর্ষে গাজিপুরেও ঐরূপ গোলাপক্ষেত্র আছে। এখানে গোলাপের চাযের জন্ত সাড়ে চারিশ বিঘা জমি ঠিক আছে। তাঁহাই আধার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষেত্রে বিভক্ত। প্রতি ক্ষেত্রের চারিদিকে কাটা গাছ ও মাটির প্রাচীর দেওয়া আছে। জমিদারেরা এখানকার প্রতি বিঘার ৫২ টাকা খাজনা, এছাড়া ঐ জমিতে এক হাজার গোলাপ চারা থাকিলে ২৫ টাক, এইরূপে মোট ৩•\ টাকা করিয়া পাইয়া খাকেন। প্রতি ৰিঘ চাষ করিতেও প্রায় ৮ টাকা খরচ পড়ে। অমুকুল জলবায়ু ও উত্তাপ পাইলে ঐ হাজার গাছে লক্ষাধিক ফুল পাওয়া যায়। মাজ
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।