* डू= - বেটু। লট অচতি অচতে । লুঙ, আচাং আচিষ্ট। আশিৰিঅচ্যাৎ অচিীষ্ট। ক্ৰ অজ্ঞ। জ। অচিত্বা অক্তা। অচ্ (অন্ধু, অচু, অচি। গতে অব্যক্তশা পূজা ) ভূ-প। সকৰ্ম্মক সেন্ট্র। লট অঞ্চতি। লিট্ আনঞ্চ । খৃষ্ট্র অঞ্চিযাতি। আশিষি, অঞ্চ্যাৎ । অঞ্চুগতে অচ্যাৎ । লুঙ, আঞ্চাৎ । কৰ্ম্মণি, অচ্যতে। সন অঞ্চিচিষতি। শিচ অঞ্চ য়তি। ক্র অঞ্চিত। ক্ৰ। অঞ্চিত্বা । অচ চু-প। অঞ্চয়তি । অচ বৈয়াকরণের সমস্ত স্বরবর্ণের অল্প সংজ্ঞা করিয়াছেন। তাহার কারণ এই—অ ই উ ঋ ঘৃ কৃ। এ ও ঙ ঐ ও চু এই চারিট প্রত্যাহারের মধ্যে সমস্ত স্বরবর্ণ গৃহীত হইয়াছে। এই চারিট প্রত্যাহারের মধ্যগত কৃ এবং ঙ, ইং হয়। আদি বর্ণ অ এবং অন্তবর্ণ চু এই বর্ণদ্বয়ে অচ সংজ্ঞা হইয়াছে। কিন্তু কাৰ্য্যকালে ইহার চকার ইৎ যায়। এই সংজ্ঞা দ্বারা অকার সমেত চকারের মধ্যগত সমস্ত স্বরবর্ণকে বুঝাইতেছে। তজ্জন্ত অচসন্ধি বলিলে স্বরসন্ধি বুঝায় । পাণিনি গৃহীত কৃদন্ত প্রভৃতিতে অচ প্রত্যয়ও আছে। অচ প্রত্যয়েয় চ ইৎ হয়, অ থাকে। অ ই উ ঋ ৯ এ ও ঐ ঔ এই কয়েকট বর্ণ আচ। বাকি ক খ প্রভৃতি সমস্ত বর্ণ হল । সংস্কৃত ভাষায় অচ বর্ণ এবং হল বর্ণ পৃথক পৃথকৃ গৃহীত হইয়াছে। অল্প ভাষায় সে রূপ হয় নাই—সমস্ত বর্ণ ই এক সঙ্গে লিখিত আছে। এখন সন্দেহ এই, মামুষে আগে কোন বর্ণের স্বষ্টি করিয়াছিল—আচু না হল বর্ণের ? প্রথম শুনিতেই এই প্রশ্ন কিছু কঠিন বোধ হয় ; কিন্তু একটু ভাবিয়া দেখিলে এই পুরাতন কথার অনেকটা মৰ্ম্ম বুঝিতে পারা যায়। প্রথম প্রথম মানুষ লিখিতে জানিত না, কথা কহিতে পারিত ; তাহাও আবার দীর্ঘচ্ছন্দে নয়। দুইটী বর্ণ এক সঙ্গে যোড় দিতে পাfরলে তাহাই যথেষ্ট হইত। দুইটী অক্ষরে এক একটা কথা, তাহারও আবার শেষ বর্ণটা হলন্ত । অসভ্য আণ্ডামানবাসীর ইহার প্রমাণ। তাহার কোন রকমে কতক কতক মনের ভাব ব্যক্ত করিতে পারে, কিন্তু অধিক কথা কহিতে পারে না । মানুষ আগে কথা কহিতে শিখিয়াছিল । কিন্তু দূরের লোকের সঙ্গে কথোপকথন চলে না-পত্র লেথা চাই। পত্র লিখিতে হইলেই অক্ষয়াদি আবখ্যক । যথম অক্ষরের স্বষ্টি হয় নাই, তখন লোকে কি প্রকারে পত্র লিখিত ? ফিনিশিয়ার লোকেরা, কাহাকে মনের কথা আচ Iss] অচ
বলিয়া পাঠাইতে হইলে গাছের পাতায় কি বাকলে এক এক খানি চিত্র আঁকিয়া পাঠাইতেন। গোরু বুঝাইতে হইলে একটা গোরুর মূৰ্ত্তি চিত্র করিয়া পাঠাইতেন। দর্শনশক্তি বুঝাইতে হইলে একটা চক্ষু আঁকিয় দিতেন । প্রাচীন ফিনিশিয়াবাসিদের পত্র লিখিবার এই রূপ সঙ্কেত ছিল। ক্রমে আরও সংক্ষেপে পত্র লিখিবার জন্য সমস্ত গোরু না আঁকিয় কেবল তাহার মাথা বা শিং লিখিয়া পাঠাইতেন। তাহার পর, অারও সুবিধা খুজিতে খুজিতে অক্ষরের স্বষ্টি হইল। অনেকে অনুমান করেন, বর্তমান এক একটা অক্ষরের নাম এক একটা বস্তুর নাম হইতে হইয়াছে । হিব্রু ভাষার প্রথম অক্ষরের নাম আলেফ আলেফ শব্যে র্যাড়কে বুঝায়। আর একটা অক্ষরের নাম গিমেল, তাহাতে উটকে বুঝায় । আর একটী অক্ষরের নাম মেম্ ! মেম্ শব্দে জল । ফিনিশিয়াবাসী ও ইহুদীরা 222 ঢেউয়ের মত চিত্র অ কিয় জল বুঝাইতেন । এই সকল দেখিয়া শুনিয়া যাহারা অনুমান করেন যে, এক একটা বস্তুর নাম হইতে বর্ণমালার অক্ষরগুলির নাম দেওয়া হইয়াছে, বোধ করি র্তাহাদের কথা মিথ্যা নর। রঞ্জেস্ এবং টেলর সাহেবের মত এই যে, ফিনিশিয়ার লোকেরাই প্রথমে লিখিবার কৌশল বাহির করেন। র্তাহাদের দেখিয়৷ পৃথিবীর অন্তান্ত জাতিরা লিখিতে শিথিয়াছেন । ঘোর ভ্রম । সে কালে সকল প্রাচীনজাতিই ভারতবর্ষে বাণিজ্য করিতে আসিতেন । আরব এবং মিশরবাসীরা ব্রাহ্মণদের কাছে গণিতশাস্ত্র শিখিয়াছিলেন, লিখিবার কৌশলও এই হিন্দুদের দেশ হইতে বিদেশে গিয়া পড়িয়াছিল, আরবেরা তাহা স্বীকার করিতেন । তবে ভারতবর্ষেও প্রথম প্রথম ছবি দিয়া পত্র লিখিবার প্রথা চলিত ছিল না কি ? –ছিল বৈ কি। না থাকিলে ফিনিশিয়াবাসীরা এবিদ্যা শিখিলেন কোথা ? এদেশ হইতে এখন দিন দিন উঠিয়া যাইতেছে, তাই ঘ বল, মতুবা পুরাতন রীতি বাহির করিয়া দিবার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বকালের লোকে কি প্রণালীতে পত্র লেখালিখি করিতেন, বররুচির পত্রকৌমুদীতে তাহার অনেক নিয়ম নির্দিষ্ট করা আছে। পত্রের উপরে অঙ্কুশের মত একটা রেখা টানিবে। অম্বুশের ভিতর একটা বিন্দু দিবে। রাজাকে পত্র লিখিতে হইলে পত্রের উৰ্দ্ধে কুঙ্কুম কী দিয়া একটা চক্রমণ্ডল ৰান্ধিৰে।