* অচ বর্ণ এবং হল বর্ণের স্বষ্টি এককালেই হইয়াছিল, তাহাতে অগ্র পশ্চাৎ নাই। কিন্তু প্রথমে এতগুলি বর্ণ ছিল না । মানুষের গলার মুর যত পরিষ্কার হইয়া আসিতে লাগিল, বিশুদ্ধ রাগরাগিনী ও তান লয় সুরে সকলে গান করিতে শিথিলেন, নানা প্রকার বর্ণেরও তত স্বষ্টি হইতে লাগিল। অচের মধ্যে প্রথমে আকার মাত্র ছিল। কারণ এই উচ্চারণ সহজ ও স্বাভাবিক । সম্পূর্ণ রূপে মুখ মেলিয়া শব্দ করিলেই আকার উচ্চারিত হয়। পরে ক্রমশঃ *স্থা’ ছোট করিয়া আনিলে আকার, ইকার, উকার প্রভৃতি অন্ত স্বরবর্ণগুলি বাহির হইতে থাকে। আবার মুখের কোন স্থান স্পর্শ করিলে হলধর্ণ উচ্চারিত হয়। বর্ণের উর্চারণ স্থান এবং প্রযত্ন তাহার প্রমাণ । উচ্চারণস্থান যথা—আ আ আ ৩ ক খ গ ঘ ঙ হ এবং বিসর্গ ইহাদের উচ্চারণস্থান কণ্ঠ, (অ কৃ হ বিসর্জনীয়ানাং কণ্ঠ: )। ই ঈ ঈ ৩ চ ছ জ ঝ ঞ ষ এবং শ ইহাদের উচ্চারণস্থান তালু (ইচুৰ্যশানাং তালু)। ঋ ঋ ৩ ট ঠ ড ঢ ণ র ঘ ইহাদের উচ্চারণস্থান যুদ্ধ (খটুরষাণাং মূৰ্দ্ধা )। ৯ ৯৩ ত থ দ ধ ন লস ইহাদের উচ্চারণস্থান দন্ত (নৃতুলসানাং দস্তাঃ)। উ উ উ ৩ প ফ ব ভ ম এবং উপস্থানীয় অর্থাৎ - প - ফ ইহাদের উচ্চারণস্থান ওষ্ঠ ( উপৃপষ্মানীয়ানামোষ্টেী)। ঙ ঞ ণ ন ম ইহাদের উচ্চারণ স্ব স্ব বর্গ ভিন্ন নাসিকা হইতেও হয় ( এমঙণনানাং নাসিক। চ)। এ ঐ ইহাদের উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ ও তালু ( এদৈতোঃ কণ্ঠতালু) । ও ঔ ইহাদের উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ ওষ্ঠ (ওদোঁতোঃ কণ্ঠোয়)। বকারের উচ্চারণস্থান দন্ত এবং ওষ্ঠ ( বকারস্ত দন্তেষ্টম)। জিহামূলীয় অর্থাৎ < ক = খ ইহাদের উচ্চারণ স্থান জিহ্বার মূল (জিহ্বামূলীয়ন্ত জিহ্বামূলক্ষ্ম) অসুস্বারের উচ্চারণ স্থান নাসিক (নাসিকাইমুম্বারস্ত)। তাহার পর প্রযত্নাদি নানা প্রকার সুরেরও প্রমাণ পাওয়া যায়। रुशा,-७धंशङ्ग छूई (2कांह । श्रीडारुद्र অর্থাৎ মুখের, এবং বাহ অর্থাৎ মুখের বাহিরে বা কণ্ঠদির । আভ্যন্তর প্রযত্ন পাচ প্রকার। যথা,—ম্পূষ্ট, ঈষৎস্পৃষ্ট, ঈষদ্বিবৃত, বিবৃত এবং সংবৃত। যে বর্ণ উচ্চারণ করিতে জিহবার স্থানকে স্পর্শ করে না, তাছাকে לי প্রযত্ন কহে । স্পর্শ বর্ণের পৃষ্ট প্রযত্ন হইয়া থাকে। ঈষৎস্পৃষ্ট অর্থাৎ কিঞ্চিৎ স্পৃষ্ট, অস্তস্থ বর্ণের এই প্রষত্ব হইয়া থাকে। উন্ম বর্ণের ঈষরিত প্রবন্ধ হয়। অচ্যু অর্থাৎ শ্বর বর্ণের বিবৃত প্রস্বত্ব হয়। যে বর্ণ উচ্চারণ আচ Issj আচ
- করিতে জিহ্বার স্থানকে স্পর্শ করে না, তাহাকে বিবৃত প্রযত্ন কহে। প্রয়োগে অর্থাৎ বলিতে কহিতে গেলে হ্রস্ব অকারের সংবৃত প্রযত্ন বলা যায়। কিন্তু প্রক্রিয়া দশায় অর্থাৎ কোন বিধির স্বারা যেখানে অকার কর) যায়, তখন ইহার বিবৃত প্রযত্ন কহে । এরূপ না করিলে অকারের সবর্ণ সংজ্ঞ আর কোন প্রকারে ঘটতে পারে না। এই সকল ভেদ ধরিয়া গণনা করিলে বাস্থ্য প্রযত্ন এগার প্রকার হয়। যথা,—১ বিবার, ২ সংবার, ৩ শ্বাস, ৪ নাদ, ৫ ঘোষ, ৬ অঘোষ, ৭ অল্পপ্রাণ, ৮ মহাপ্রাণ, ৯ উদাত্ত, ১০ অহদাত্ত, ১১ স্বরিত। খৰ্ব প্রত্যাহারের মধ্যে যত বর্ণ আছে ( থ ফ ছ ঠ থ চ ট ত ক প শ ষ স ) তাহাদিগের বিবার, শ্বাস এবং অঘোষ প্রযত্ন इहेग्ना शाएक। श्न्। यज्राशरब्रङ्ग भएक्षा बस्न बर्म श्राप्छ ( হ য ব র ল এ ম ঙ ণ ন ঝ ভ ঘ ঢ ধ জ ব গ ড দ ) তাহাদের সংবার, নাদ এবং ঘোষ প্রযত্ন হয় । বর্ণ মালার প্রত্যেক বর্গের প্রথম, তৃতীয় এবং পঞ্চম বর্ণ ( ক চ ট ত প, গ জ ড দ ব, ঙ ঞ ণ ন ম ) এবং যণ, প্রত্যাহারের ভিতর যত বর্ণ আছে ( য র ল ব ) ইহাদের অল্পপ্রাণ প্রযত্ন কহে। প্রত্যেক বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ অক্ষর মহাপ্রাণ প্রযত্ন । [ অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ প্রযত্বের ফল রস ও অনুপ্রাস শব্দে দেখ ] ককার হইতে মকার পর্য্যন্ত যাবতীয় বর্ণকে স্পর্শ বর্ণ কহে। যব্ প্রতাহারের বর্ণকে অস্তস্থ কহে। কারণ বর্ণমালার স্পর্শ ও উন্মবর্ণের মধ্যে উহাদের স্থান দেওয়া হইয়াছে। শল প্রত্যাহারের ভিতর যত বর্ণ আছে ( শ ষ স হ ) উছাদিগকে উষ্ম বর্ণ কহে । অচ্ প্রত্যাহারের বর্ণকে স্বর বলা যায়। < ক = খ, এই রূপ ককার খকারের পূর্ব অৰ্দ্ধ বিসর্গের চিহ্নকে জিহামূলীয় কহে। - প - ফ, এই রূপ পকার ফকারের পূর্ব যে অর্ধ বিসর্গের চিহ্ন ইহাকে উপস্থানীয় বলা যায়। বিশুদ্ধ মুরে বেদ গান করিতে হইলে এই সকল স্বরভেদ নিতান্ত আবশ্যক । ইহাতে স্পষ্ট জানা যাইতেছে, সঙ্গীত বিদ্যার উন্নতির সঙ্গে নানা প্রকার উচ্চারণের স্বষ্টি হইয়াছে। সেই ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারণ সহজে বুঝিতে পারা যাইবে ৰলিয়া কোথাও এক একটা অক্ষর বা শব্দের উপর এক এক প্রকার চিহ্ন দেওয়া হয়, কোথাও বা তজ্জন্ত এক একটী বর্ণের স্বষ্টি করা হইয়াছে। প্রথম প্রথম অচবর্ণের মধ্যে এক মাত্র আকার ছিল, তাহার পর আকার হইতে অন্যান্ত স্বরের উৎপত্তি