অজগর প্রভৃতি সর্পকে অজগর বলিতে পারা যায় না। সচরাচর পাহাড়ী বোড়া সাপ ১০ । ১৫ হাত দীর্ঘ হয় ; ৮০ হাত দীর্ঘ বোড়া সাপও অনেকে দেখিয়াছেন। একবার একটা বৃহদাকার বোড়া সাপ আফ্রিকায় অনেকগুলি সৈন্তকে গিলিয়া ফেলিয়াছিল। রোমকেরা সেই সাপ মারিয়া তাহার চৰ্ম্ম রোম রাজ্যে অনিয়) রাখিয়াছিলেন। আবুল ফজল বৈহকী তাহার তারাখ-ই-নাসির নামক পুস্তকে লিখিয়াছেন যে, গজনীর সুলতান মাক্ষ্মদ সোমনাথ জয় করিয়া স্বদেশে ফিরিয়া আসিবার সময় পথে একটা বৃহদাকার অজগর বধ করেন। সেই সাপের চৰ্ম্ম গজনী নগরে সিংহদ্বারে ঝুলাইয়া রাখা হইয়াছিল। চৰ্ম্মখানি ৬০ হাত দীর্ঘ, প্রস্থে ৪ হাত। বৈহকী লিখিয়াছেন —‘এই বৃহৎ সাপের গল্প যদি কেহ বিশ্বাস না করেন, তিনি গজনীতে গিয়া স্বচক্ষে দেখিয়া অামুন।” বৈহকী মামুদের সমকালিক লোক । পাহাড়ী বোড়া সাপ ক্ষুধাৰ্ত্ত হইলে হ্রদ, নদ ও নিৰ্ব্বরের ধারে গাছের উপর ল্যাজ লাগাইয়া বুলিতে থাকে। ইহাদের মলদ্বারের কাছে বড়িশীর মত বক্র হাড় আছে, তাই গাছের ডালে সেই হাড় লাগাইয়া অনায়াসে বুলিতে পারে। কোন জন্তু জল খাইতে আসিলে অমনি তাহার উপর লাফ দিয়া পড়ে। একবার ধরিতে পারিলে দুর্জয় বনের হাতীও পাহাড়ী বোড়ার মুখ ছাড়াইয়া পলাইতে পারে না । না পারিবার কারণ ५३, हेशानब्र झूहे श्राग्रैौ नैाऊ भू८थञ्च डिऊद्र पिटक ফিরানো । কাজেই, গিলিবার সময় পখাদির শরীর সহজে উদরস্থ হইতে পারে, কিন্তু বাহিরের দিকে টানিলে দাতে বদ্ধ হইয়া যায়। অনেকে দেখিয়াছেন, কোন জন্তুকে একবার কামড়াইয়া ধরিলে সাপট নিজে মনে করিলেও সহজে শিকার ছাড়িয়া দিতে পারে না । ইহাদের মাষ্ট্ৰীয় গড়ম বড় আশ্চৰ্য্য। অন্যান্য জন্তুর মাড়ী যোড়া, মনে করিলে কেবল ফুই কল মেলিয়। মুখ বিস্তীর্ণ করিতে পারে। পাহাড়ী ৰোড়ার মাষ্ঠীর [ 2 ου Ι অজগর হাড় যোড়া নয়; এক একটা হাড় পৃথক পৃথক সাজামো, তাই অনায়াসে সকল দিকেই খেলিয়া বেড়ায়। ইহার মনে করিলে পাশের দিকেও ই বড় করিতে পারে, উপর দিকেও ই বড় করিতে পারে। আবার ইচ্ছা করিলে এক দিকের চোয়াল না নাড়িয়া অনায়াসে অন্যদিকের চোরাল নাড়িয়া শিকার গিলিতে থাকে। ইহাদের উপর পাটীতে দুই সারি ট্রাত এবং নিয় পাটীতে কেবল এক সারি। ইহার শিকারের উপর পড়িয়া পলকের মধ্যে তাহাকে লাঙ্গুল দিয়া জড়াইয়া ধরে। পরে মুখের লালায় তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ ভিজাইয়া দেয় । ইহাতে জন্তুটার শরীর হড় হড়ে পিছল হইয়া আসে,.সুতরাং গিলিবার বেশ সুবিধা হয়। কেহ কেহ বলেন, শিকার উপরন্থ হইলে ইহারা আপনার শরীরে পাক দিয়া মোচড় দিতে থাকে, অমনি বড় বড় পশুর হাড়ও মড় মড় করিরা ভাঙ্গিয়৷ যায়। কথন কখন শিকার ধরিয়াই নিমেষ মধ্যে তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ জড়াইয়া ধরে। অমনি সমস্ত হাড় চূর্ণ হইয়া যায়। সে কারণেও গো মহিষাদি বড় বড় পশু মুথ ছাড়াইয়। পলাইতে পারে না । আহারের পর অনেক দিন পর্য্যন্ত ইহারা লড়িতে চড়িতে পারে না, নির্জীব জড় পদার্থের মত একস্থানে পড়িয়া ঘুমাইতে থাকে। এই অবস্থায় সহজেই ইহাদিগকে মারিতে পারা যায় । বড় বড় জন্তু গিলিবার সময় বুকে চাপ লাগিয়া পাছে শ্বাস রোধ হয়, তজ্জন্য বিধাতা ইহাদের শ্বাসযন্ত্র আশ্চর্য্য কৌশলে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। ইহাদের ফুসফুসে দুইটা কোষ আছে। একটা ছোট, আর একটা বড়। বড় কোষটীয় প্রাস্তভাগে বায়ু থাকিবার একটা আধার আছে। বড় বড় পশ্বাদি গিলিবার সময় সেই আধারস্থিত বায়ু দ্বারা রক্ত পরিষ্কৃত হয়। ইহাদের চক্ষু ক্ষুদ্র, সৰ্ব্বাঙ্গ কৃষ্ণ ও হরিদ্রাবর্ণে চিত্রিত । পাহাড়ী বোড়া এবং অন্যান্ত সকল উরগের মলমূত্র একপথ দিয়া নির্গত হয় । ইহাদের বিষ্ঠা ঠিক চূণের মত। পাহাড়ী বোড়ার পেটে অত্যন্ত রুমি জন্মে, তাহীতে অনেক সাপ মরিয়া যায়। আমাদের দেশে হিমালয় পৰ্ব্বতে এবং দক্ষিণ দেশে এই জাতীয় বোড়া বিস্তর আছে। প্রায় বিশ বৎসর হইল, বীরভূম জেলার অন্তর্গত গল্পটার রেশমের কুঠার সম্মুখে একটা বৃহদাকার পাহাড়ী বোড়া নদীর জলে তালিয়া আসে । রাখালের সেইখানে গোর বাছুর ও ছাগল ড়েড়া চরাইতেস্থিল ৷ সাপট কেশেবন হইতে বাহির হইয়া একটা ভেড়া গিলিয়া ফেলে। কুঠার অধ্যক্ষ
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।