[ ১১৪ } স্থলে অজাতশত্রু বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছেন। অজাতি (স্ত্রী ) ন জন্ক্তিন, নঞ তৎ । অনুৎপত্তি। জাতিভিন্ন অন্ত কিছু। বহুব্রী-ত্রি, জাতিশুষ্ঠ। নিত্য। অজাতোঁৰলি (পুং ) তুম্বলন্ত অপত্যং পুমান ইতি তেীত্বলিঃ। অজোপঞ্জীবী চালে তোবলিশ্চ ইতি । মধ্যপদ লোপি কৰ্ম্মধারয় সমাসঃ । (ইতি সুপদ্ম ব্যাকরণন্ত টীকায়াম) । ছাগমাংসোপজীবী তুহল মুনির সন্তান। * । ন তোম্বলিভ্যঃ । পা ২, ৪ । ৬১। তৌম্বলি প্রভৃতি কতিপয় শকের পর যুব প্রত্যয়ের লোপ হয় না। তুহলঃ ততইঞি ফক্। তোহুলিঃ পিতা। তোলায়ন: পুত্রঃ । অজাদনী ( স্ত্রী) অজৈঃ ছাগৈঃ অক্লেশেন অদ্যতে অসেী, অজ-অদ-লুট্ িকৰ্ম্মণি,৬-তৎ। দুরালভা, বিচিতি, বিচুটা। অঙ্গাদি (পুং ) অজ ইতি শব্দ আদৌ যেষাং, বহুব্রী। অজ প্রভৃতি। অজ প্রভৃতি কতকগুলি শব্দ আছে তাহাদের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে টাপ হয়; ডীপ নিষিদ্ধ। [অজ দেখ)। অজানি (পুং ) নাস্তি জায় যন্ত, বহুব্রী। জায়াশূন্ত, যাহার স্ত্রী নাই । * । জায়ায় নি । প৷ ৫ ৷৷ ৪ ৷৷ ১৩৪ । * । লোপে ব্যোব্বলি । পা ৬। ১ । ৬৬ ৷ বহুব্রীহি সমাসে জায় শব্দের অন্তে নিঙ (নি ) আদেশ হয়। এবং বল প্রত্যাহারের বর্ণ (যকার ভিন্ন হল বর্ণ) পরে থাকিলে বকার ও যকারের লোপ হয় । পরে সমস্ত শব্দের পুংবস্তাব হইয়া থাকে। অজ্ঞানিক (ত্রি) অজবিক্রয়াদিন আনে। জীবনমৃ অস্তি অস্ত অজান-ঠন। ছাগব্যবসায়ী। . অজানেয় ( পুং ) অজেহুপি বিক্ষেপে ইপি আনেয়ঃ প্রাপনীয়ঃ যেন, অজ-আ-নী-যৎ কৰ্ম্মণি ॥ ৩ তৎ। উত্তম ঘোড়া। অজাস্তা বা অজন্ত । নৰ্ম্মদ ও তাপতী নদীর নিকটবৰ্ত্তা | খাদেশের অন্তর্গত পৰ্ব্বত। এই পৰ্ব্বতে বৌদ্ধদিগের চৈত্য ও বৌদ্ধসন্ন্যাসিদের অনেকগুলি যিহার বা মঠ আছে। তজ্জন্তই অজস্তা এত প্রসিদ্ধ। খাদেশ (Khandesh) এ নামের ব্যুৎপত্তি এক রকম লয়। র্যাহাকে যেমন ভাল লাগিয়াছে তিনিই এ দেশের নাম সম্বন্ধে আপনার মন হইতে দুই একটা কথা বলিয়া গিয়াছেন। আবুল ফজেলের বিশ্বাস এই যে, গুজ্জরের প্রথম আহ্মদ, মালিক নসিরকে - খ উপাধি দিয়াছিলেন। সেই হইতে এ স্থানের নাম খ - দেশ হইয়াছে। কিন্তু এ কথা গ্রামাণিক নয়। কারণ, জাহ্মদের পূর্বেও এ স্থান খাদেশ বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। খানেই অর্জুন খাণ্ডববন দগ্ধ করিয়াছিলেন। {বোম্বাই বিভাগের গেজেটিয়ার ১২ খণ্ড দেথ ] । এ অনুমানও ঠিক নয়। পাণ্ডবেরা খাওবপ্রস্থের জঙ্গল উঠাইয়া দিয়া সেই খানে ইন্দ্রপ্রস্থ নগর নিৰ্ম্মাণ করেন। ইন্দ্রপ্রস্থ এখনকার দিল্লির নিকট। অতএব দিল্লির নিকটবর্তী স্থান কখন খাদেশ হইতে পারে না । যাহা হউক, খাদেশ অতি প্রাচীনকাল হইতেই একটা প্রসিদ্ধ স্থান। তুরণমল এবং অশিরোগড় গিরিদুর্গ এই খানে। অশিরোগড়ে আজি পৰ্য্যন্ত অশ্বথমার পূজা হয় । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর অশ্বথমা এই খানে আসিয়া কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন । আবার এ কথাও অনেকে বলেন যে, এই তুরণমল মহাভারতের যুবনাশ্ব রাজার রাজধানী। অজস্তাপৰ্ব্বত এই খাদেশের মধ্যে ; ইহার অপর নাম ইন্ধ্যারি । অজস্তার বৌদ্ধবিহার এবং চৈত্যগুলি জগদ্বিখ্যাত । ঐ চৈত্যগুলি ফৰ্দ্দাপুর হইতে সাড়ে তিন ক্রোশ দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পাচোরা রেল-ওয়ে ষ্টেশন হইতে সতর ক্রোশ দক্ষিণ পূৰ্ব্বে । হিন্দু কারিকরদের হাতের বহুকালের খোদাই কাজ এবং চিত্রকৌশল ভারতবর্ষের অনেক স্থানে আজও বিদ্যমান রহিয়াছে। কটন্তু ভূবনেশ্বর, ইলোর এবং অজস্তার শোভা আজও নুতন, আজও সে সৌন্দৰ্য্য নষ্ট হইয়া যায় নাই। ফর্দাপুর দিয়া যাইতে হইলে অজস্তার গিরি চৈত্যের পথ ভাগুর অধিত্যকার দক্ষিণ দিকে অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে পড়িয়া থাকে। তাছার পর দক্ষিণ পশ্চিম দিকে আর একটা ছোট অধিত্যক । এই অধিতাকার ভিতর দিয়া ভাগুর নদের ধারে ধারে যাইতে হয়। প্রায় এক ক্রোশ পথ গিয়া ভাগুর নদ একেবারে ঠিক পশ্চিম দিকে বাকিয়া গিয়াছে। এইখানে দাড়াইলে অজস্তার গিয়িচৈত্য দেখা যায়। পাহাড়গুলি ছোট ছোট, অনুন ২৫৯ ফিট্ উচ্চ। ইহার এক দিক কাটিয়া নানা প্রকার গড়নের থাম ও খিলান বাছির করা হইয়াছে। একটু দূর হইতে সেখানকার মন্দির এবং বিহারগুলি পানে চাহিলে আর চক্ষু ফিরাইতে পারা যায় না,—ইচ্ছা করে, শুধুই দেখিতে থাকি। জগতে তেমন সৌন্দৰ্য্য কোথাও নাই । যাহা আছে সে কেবল অজস্তায় ; আর স্বভাবের মধ্যে শরতের সন্ধ্যামেঘে । i অজন্তায় সৰ্ব্বসমেত উনত্রিশটী অট্টালিকা । তন্মধ্যে
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।