জঞ্জন [$$సి ) অঞ্জন অঞ্চিত (ত্রি) অন্চ-ক্ত। পুজিত, আকুঞ্চিত । * । অঞ্চে পূজায়াম্। পা ৭। ২। ৫৩। পূজা অর্থ বুঝাইলে অঞ্চ ধাতুর উত্তর ইট্ হয়। কিন্তু গতি বুঝাইলে ইট্ হয় না। যথা—অঞ্চ পূজায়াম-ত্ত অঞ্চিত। অঞ্চ গল্পেী-ক্ত অক্তঃ। অঞ্চিতত্ৰ (স্ত্রী) অঞ্চিতে কুটিলে ক্রবে। যন্তাঃ। সুন্দর ভ্ৰযুক্ত নারী। । অঞ্জন (ক্লী) অজ্যতে ইনেন, অর্জ-লুই করণে। কজ্জল। রসাঞ্জন । মসী। সেীবীর, কুলফল । ভাবে লুটি । মিশ্ৰীকরণ ; লেপন ; মালিন্ত। স্ত্রক্ষণ। গমন। ব্যক্ৰীকরণ । অঞ্জনের অপংভ্রশে অাজন। এ দেশে অনেক প্রকার অঞ্জন প্রচলিত অাছে। প্রস্থতির সচরাচর শিশুদের চক্ষে যে অঞ্জন দেন তাহ সামান্ত প্রণালীতে প্রস্তুত হয়। কাজলনাতায় অল্প তৈল মাথাইয়া প্রদীপের শীষে ধরিলে কালি পড়ে। সেই কালি অঙ্গুলি দিয়া মাড়িয়া লইলে অঞ্জন হয়। শিশুদের চক্ষু হইতে জল পড়িলে কিম্ব রাত্রিতে চক্ষু যোড়া লাগিয়া থাকিলে চারি প্রকার অঞ্জন প্রস্তুত হইয়া থাকে। মাকড়শার চাদ ভস্ম করিয়া কাজলনাতায় উত্তমরূপ চূৰ্ণ করিয়া লইবে। পরে তাহাতে অল্প তৈল দিয়া প্রদীপের শিখায় ধরিতে হয়। কিঞ্চিৎ ভূসা পড়িলে অঙ্গুলি দ্বারা মর্দন করিয়া লইবে । এই অঞ্জন শিশুদের চক্ষে দিলে জলপড়া নিবারণ হইয়া থাকে। রমুনের কোয়া কিম্ব দোক্তা তামাক অল্প দগ্ধ করিরা তাহাতেও ঐ প্রকারে কজ্জল প্রস্তুত করা যায়। পালিতামাদার গাছের ছালে অল্প তৈল মাথাইয়া প্রদীপের শিখায় ধরিলে অল্প ভূসা পড়ে। সেই ভূসা অঙ্গুলিদ্বারা মর্দন করিয়া লইলে উত্তম কজ্জল প্রস্তুত হয়। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে সুৰ্ম্মার কজ্জল সকলে ব্যবহার করেন। বাঙ্গালাদেশে প্রস্থতির অঞ্জন দিয়া শিশুদের চক্ষু সাজাইয়া দেন; তদ্ভিন্ন অন্তকেহ সাধ করিয়া কজল পরেন না । কিন্তু উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে প্রায় সকলেই অঞ্জন ধারণ করেন। অঞ্জন পরাইবার জন্ত এলাহাবাদ, } দিল্লি প্রভৃতি বড় বড় সহরে পেশাদার লোকও আছে। নাপিতের ভীড়ের মত তাহাদের নিকট এক একটা বুলি থাকে ঝুলির ভিতর মুৰ্ম্মার কোঁটা, দুইট সাঁসের সরু শলা, দুইটা স্ত্রীসের মোটা পাত, কিঞ্চিৎ আন্তর, একখানি চিরুণী ও একখানি আরী থাকে। প্রাতঃকাল হইলে ঐ পেসাদারেরা বুলি লইয়া ধনবান লোকের বাড়ী কক্ষল পরাইতে যায়। প্রথমে লীগের সরু শলা দুটী এক এক বার চক্ষুর ভিতর পর্য্যন্ত বুলাইয়া আনে। সীসৰাতু সহজে শীতল, কাজেই সাবধানে চক্ষুর ভিতর বুলাইলে বেশ স্বস্তিবোধ হয়। তাহার পর চিরুণীদ্বারা মাথার চুলগুলি আঁচড়াইয়া চক্ষে মুৰ্ম্ম৷ পরাইরা দেয়। কজল পরানো হইলে দুইটী মোট পাত কিঞ্চিৎ কাল চক্ষের উপর ধরিয়া থাকে । শেষে । গোফে আতর মাখাইয়া আরসীতে মুখ দেখিতে দেয়। এই সকল পেসাদার লোক প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট দুই একটা করিয়া পয়সা পায়। বোধ করি মুসলমান সম্রাটের রাজত্বকাল হইতে এই ব্যবসার স্বষ্টি হইয়া থাকিবে। বৈদ্যশাস্ত্রে অঞ্জন ধারণের বিশেষ উপকার লিখি ত श्हेग्रांटझ নেত্রমঞ্জনসংযোগাৎ ভবত মলতারকং ॥ দৃষ্টির্নিরাকুলা ভাতি নিৰ্ম্মলশ্চন্দ্রমা যথা । নেত্রে অঞ্জন ধারণ করিলে চক্ষের তারা পরিষ্কার এবং নিৰ্ম্মল চন্দ্রের স্যার দৃষ্টি নিরাকুল হইয়া আসে। জররোগী অজ্ঞান হইয়া পড়িলে বৈদ্যেরা চক্ষে অঞ্জন লাগাইতে ব্যবস্থা দেন।– শিরীষবীজ গোমূত্র কৃষ্ণামরিচসৈন্ধবৈঃ। অঞ্জনং স্তাৎ প্রবোধায় সরসোন শিলাবচৈঃ । শিরীষবীজ, গোমুত্র, পিপুল, মরিচ, সৈন্ধবলবণ, রসুন, মন:শিলা এবং বচ একত্র পেষণ করিয়া চক্ষে অঞ্জন দিলে রোগীর চৈতন্ত হয়। চক্ষু উঠিলে ( opthalmia ) তাম্রপাত্রে ঘৃত দিয়া তাহাতে জল ঢালিতে ঢালিতে মর্দন করিলে এক প্রকার অঞ্জন প্রস্তুত হয়। এই অঞ্জন চক্ষে দিলে অল্প অল্প জালা করে, কিন্তু পীড়ার অনেকটা উপশম হয়। অলঙ্কারে ব্যঞ্জনাবৃত্তি। শক্য ও লক্ষ্য ভিন্ন অর্থবোধক শবশক্তি বিশেষ। কাব্যপ্রকাশে অঞ্জন বা অঞ্জনা বৃত্তির এই রূপ লক্ষণ দেওয়া হইয়াছে। অনেকার্থস্ত শাস্ত বাচকত্বে নিয়ন্ত্রিতে । ংযোগাদ্যৈরবীচ্যার্থধীকৃত্ব্যাপৃতিরঞ্জনম্। শ্লোকাদির মধ্যে অনেক অর্থবোধক শব্দ থাকে, সংযোগ বিপ্রযোগাদি দ্বারা তাহাদের বাচকার্থ নির্ণীত হওয়ার পরে যে ব্যাপার দ্বারা অবাচ্য অর্থের বোধ হয়, তাহাকে. অঞ্জন বা অঞ্জন বৃত্তি কহে। ভদ্রাত্মনোদুরধিরোহতনোর্কিশালবংশোরতেঃ কৃতশিলীমুখসংগ্রহন্ত । যন্তামুপন্ন তৰ্গতে; পরবরিণত
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।