অঞ্জনশলাকা - { ১২০ ] অঞ্জলিকারিক দামাম্বুসেকমৃভগ: সততং করোহভূং। উত্তমস্বভাব, রিপুদলের অনির্জিত, মহম্বংশোদ্ভব, বাণধারী, উপদ্রবহীন শক্রনিবারক যে রজার হস্ত সৰ্ব্বদা দানজলসেক দ্বারা সুন্দর হইয়।ছে। এখানে রাজার প্রকরণ হেতু প্রথমে রাজ রূপের অর্থ বোধ হইল। আবার ঐ সকল শব্দের শক্তি সহকারে হস্তিরূপ অর্থ বোধও হইতেছে। যথা— ভদ্ৰাখ্য জাতীয়, বড় বঁাশ গাছের মত উচ্চ, অতএব ছুরারোহ পৃষ্ঠ, ভ্রমরদল পরিবেষ্টিত, গভীর গতি যে হস্তিশ্রেষ্ঠের গুও সৰ্ব্বদা মদজলসেক দ্বারা শোভিত झङ्केब्रट्रिझ । এই ব্যঞ্জন বৃত্তি, কাব্যের ব্যঙ্গ্যার্থবোধক শক্তি। এই শক্তি দ্বারা তাৎপর্য্যার্থের বোধ হয়। যে সকল শব্দ দ্বার শ্লোকাদি রচিত হয়, প্রথমে তাহাদের অর্থ দ্বারা এক প্রকার ভাব ঘটাইয়া তাহার পর আবার যদি ভিন্ন অর্থ দ্বারা অন্ত ভাব ঘটাইতে পারা যায়, তবে শব্দের এই শক্তিকে অঞ্জন বৃত্তি বলে। অজকুলে জন্মলাভ হয়েছে যাহার। জনক তনয়া বিয়ে শোভা পায় তার । অর্থাৎ, প্রধান অজবংশে যে রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ জনক রাজার কন্যা সীতাকে বিবাহ করিতে পারেন । পুনশ্চ,—অজ অর্থাৎ ছাগলের বংশে যাহার জন্ম হইয়াছে, সেই জনক অর্থ পিতার কন্যা আপনার ভগিনীকে বিবাহ করিতে পারে। এই শ্লেষে সহজে ব্যঞ্জন বৃত্তি বুঝিতে পারা যাইবে। হিন্দীতে অর্জুন গাছকে অঞ্জন পেড় বলে। [ অর্জুন দেখ }। অঞ্জন (পুং ) পশ্চিমদিগ হস্তী। জ্যেষ্ঠ, জেঠী। অঞ্জনকেশী (স্ত্রী) অঞ্জনমিব কৃষ্ণবর্ণঃ কেশো যস্তাঃ। বহুত্রী। নর্থী নামক এক প্রকার গন্ধ দ্রব্য, ইহা চুলে লাগাটলে চুল অত্যন্ত কৃষ্ণবর্ণ হয়। অমরের টীকাকার মহেশ্বর বলেন, এই দ্রব্য দেখিতে বহেড়ার পাতার মত । ইহার অপর নাম—হনু, হট্টবিলাসিনী, ধমনী, নলী, গুক্তি, *श्व, भूत्व । অঞ্জনশলাকা (স্ত্রী) অঞ্জনলেপনার্থং শলাকা; মধ্যপদলোপী, কৰ্ম্মধা । চক্ষে অঞ্জন লাগাইবার শলাক। ইহা প্রায় সীস ধাতুতে নিৰ্ম্মিত হয় । গুণসূচির মত মোট ও বড়, কিন্তু দুই মুখই সরু। - অঞ্জন (স্ত্রী) অঞ্জন-আপ। বানর বিশেষ, হনুমানের মাতা। অঞ্জনা, হরিশ্ৰেষ্ঠ কেশরীর পত্নী। হনুমান কেশরীর ক্ষেত্রজপুত্র। নদীবিশেষ। কৃষ্ণনগর জেলার অন্তর্গত বারুইহুদার দক্ষিণে এবং ৰোগাছিয়া ও হাসথালীর উত্তরে এই নদী অাছে। নদীটী ক্ষুদ্র, ইহাতে বারমাস জল থাকে না। দিগৃহস্তিনী। অঞ্জনাগিরি (পুং ) অঞ্জন বর্ণে গিরি: পৰ্ব্বতঃ। এখানে অঞ্জন শব্যের পর গিরি শব্দের সমাস হওয়ায় অঞ্জন শব্দের অস্ত্যস্বর দীর্ঘ হইয়াছে। * । বনগির্যে: সংজ্ঞায়াং কোটরকিংগুলকাদীনাম্। পা ৬। ৩ । ১১৭ । কোটর প্রভৃতি কতকগুলি শব্দ আছে তাহাদের উত্তর বন শব্দের সমাস হইলে, এবং কিংশুলকাদি ফতকগুলি শব্দ আছে তাহাদের উত্তর গিরি শব্দের সমাস হইলে, কোটরাদি ও কিংশুলকাদি শব্দের অস্তুস্বর দীর্ঘ হয় । কোটর, মিশ্রক, সিপ্রক, পুরগ, শরিক—এই গুলি কোটরাদি মধ্যে পঠিত । কিংশুলক, শাব, মড, অঞ্জন, ভঞ্জম, লোহিত, কুকুট—এই গুলি কিংশুলকাদি গণ মধ্যে পঠিত । অঞ্জনাগিরি অর্থাৎ নীল পৰ্ব্বত । অঞ্জনাদ্রি ( পুং ) অঞ্জনমিব কৃষ্ণবর্ণ: অদ্রিঃ । নীলপৰ্ব্বত । অঞ্জনাধিকা (স্ত্রী) অঞ্জনাদধিক কৃষ্ণবর্ণস্থাৎ, ৫-তং । অঞ্জনিক, আজনাই, এক প্রকার গিরগিট, হলিনী, হলাহল । অঞ্জনাবতী (পুং ) অঞ্জন-মতুপ মকারস্ত বঃ । অঞ্জনং বিদ্যতে অস্তা: অধিককৃষ্ণবর্ণতাৎ । ঈশানকোণেব দিগহস্তিনী, সুপ্রতীক নামক হস্তীয় ভাৰ্য্য। কালঞ্জনী বৃক্ষ । [ অঞ্জন। এই রূপ দীর্ঘ হইবার স্বত্র অঞ্জির শঝে দেখ }। অঞ্জনিক (স্ত্রী) অঞ্জন-ঠন। আজনাই। ক্ষুদ্রমূধিক। প্রতীক निक इर्खौद्र शैौ । অঞ্জনী ( স্ত্রী) অনঙ্গ-কৰ্ম্মণি লুটু, ঙাপ | অজ্যতে চলনকুন্তু মাদিভিরসে। কুন্তু মাদি অনুলিপ্ত নারী,লেপ্যনারী। কটুকা বৃক্ষ। কালাঞ্জনী বৃক্ষ। অঞ্জলি (পুং ) অঞ্জ অলিচ। * । অঞ্জেরলিচ। উগ্ৰ ৪ ৷ ২ ৷ হস্তসম্পুট, হাত যোড় করা, আঁজলা । কুড়ব পরিমাণ, এক কুড় পরিমাণ । অঞ্জলিন্তু কুড়বে করসম্পটে, হেম । অঞ্জলিকা ( স্ত্রী) অঞ্জলিরিক কায়তি প্রকাশতে কৈ-ক টাপ্ত। বালমূধিক । অঞ্জলিকা। - অঞ্জলিকারিকা (স্ত্রী) লজ্জালুলতা লজ্জাবতীলতা। পুত্ৰ লিকা । * - - -
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।