অণীমাওব্য [ ১২৩ ] অণু কালাক্রিমের দ্বয়োঃ । ( মেদিনী)। রাজ বিহ্বর-জপে শূদ্ৰযোনিতে জন্ম লইয়াছিলেন। অণিম (পুং ) অশোর্তাবঃ অণু-ইমনিচ অম্লত্ব। হুঙ্ক পরিমাণ। স্বল্পতা। অষ্টপ্রকার ঐশ্বর্ঘ্যের মধ্যে ঐশ্বৰ্য্য বিশেষ। অষ্টবিধ ঐশ্বৰ্য্য যথা— অণিমা লঘিমা প্রাপ্তিঃ প্রাকগম্যং মহিমা তথা । ঈশিত্বঞ্চ বশিত্বঞ্চ তথা কামাবসায়িতা ৷ অণিমা, অণিমানেী, অণিমান: । অণিষ্ঠ (ত্রি ) অতিশয়েন অণু ইণ্ঠন। অতিশয় হুন্ন। অণীমাণ্ডব্য (পুং ) অণী শূলাগ্রং তত্ত্বাক্তে মাওবা । (ইতি মহাভারত টীকায়াং নীলকণ্ঠঃ )। মুনিবিশেষ। বিছরের জন্মবৃত্তান্তে লিখিত আছে যে, মাওবা নামে জনৈক মুনি একটা বৃক্ষতলে তপস্যা করিতে ছিলেন। এক দিন কয়েক জন চোর অপহৃত দ্রব্য লইয়। তাহার আশ্রমের ভিতরে লুকাইয়া থাকিল। নগরের প্রহরিগণ সন্ধান করিতে করিতে সেইখানে আসিয়া দেখিতে পাইল যে, চোরেরা কুটরের মধ্যে লুকাইয়া আছে। রক্ষকেরা, অপহৃত ধন, চোর এবং মুনিকেও তস্কর ভাবিয়া রাজসভায় লইয়া গেল। পুরাতন কালের কথা, তখন স্থায়পরায়ণতা ও ধৰ্ম্মভয় অধিক ছিল, মানুষকে চোর বলিলেই সে চোয় হইত,—তবে মিছামিছি বিচারে আর কাজ কি ? চোর আসিল, অমনি শূলে চড়াইবার আজ্ঞা হইহ্মা গেল। রাজার সদ্বিচারে মাওব্য চোরের সঙ্গে চোর হইয়া শূলের উপর বসিলেন। চোর মরিল, মাগুব্যের কঠিন প্রাণ বাহির হইল না। শেবে রাজা অনেক অনুনয় বিনয় দ্বার মুলিকে তুষ্ট করিয়া শূল খসাইতে গেলেন,—শুল খসে না ; মুনির শরীরে বন্ধ হইয়া গিয়াছে । কাজেই আর ত উপায় নাই ; শরীরের ভিতরে যাহা প্রবিষ্ট হইয়াছিল তাহ থাকিল, বাহিরের অংশটুকু কাটিয়া দিলেন। যিনি তপস্ত বৈ আর কিছু জানেন না, তাহার কপালে এমন বিপদ কেন ? ইহা জানিবারজন্ত এক দিন ধৰ্ম্মরাজকে মাওব্যমুনি সকল কথা জিজ্ঞাস করিলেন । ধৰ্ম্মরাজ বলিলেন,—তুমি বালককালে পতঙ্গের শরীরে ভূণ পুরিয়া দিয়াছিলে, তাই তোমার এমন শাস্তি হইয়াছে। মাওবা ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন,-"তথন আমি অজ্ঞান শিশু ছিলাম। তুমি । অল্প অপরাধে আমার গুর দণ্ড করিয়াছ, অতএব তুমি শূদ্ৰযোনিতে গিয়া জন্মগ্রহণ কর। আজ হইতে আমি এই নিয়ম করিতেছি যে, চতুর্দশ বৎসর বয়ঃক্রম না হইলে বালকদের পাপ জন্মিবে না’। এই শাপে বৰ্ম্ম অণীয়স্ (ত্রি) অতিশয়েন অণু ইয়মুন। অতিক্ষ্ম, অণুতর। (ক্লী) অণীয়ঃ, অণীয়সী, অণীয়াংসি, । (পুং ) অণীয়ান, অণীয়াংসে, অণীয়াংলঃ। (স্ত্রী) অণীয়সী। অণু (ত্রি) অণ-উ ।*। জণশ্চ । উঃ ১ । ৮। লবলেশ কণাণব । (ইতি উজ্জলদত্ত: )। হুহ্ম | ক্ষুদ্র। লেশ। কণা। লব। (পুং )ধান্ত, চীনা, কাউনী, শুমা। প্রিয়জু। ধান্ত বুঝাইলে উ প্রত্যয় হয় এবং নিং হইয়া থাকে। নিৎ হইলে আদ্যোদাত্ত হয়। * । ধান্তে নিৎ । উৰ্ণ ১। ৯ । ধান্তে বাচ্যে হর্ণ উ প্রত্যর স্তাং স চ মিং । নিত্তাদাহ্লাদাত্ত। প্রিয়ঙ্গবশ্চাণবশ মে। স্ত্রীহিভেদ অণু পুমান। (ইতি উজ্জলদত্ত: )। (স্ত্রী) অী। অনুগ্ৰীহিবিশেষে স্তাং পুংসে হুক্ষ্মেস্থতিধেয়বৎ । (মেদিনী)। সকল বস্তুকেই কুষ্ম সুন্ন অংশে বিভাগ করা যায়। সেই স্বগ্ন অংশের নাম অণু। যে স্বল্প অংশকে কোন প্রকারে আর বিভাগ করা যায় না, তাহার নাম পর . মাণু। আমাদের দেশের নৈয়ারিকের বলেন যে, পরমাণু নিত্য, ঈশ্বর তাহার স্থষ্টি করেন নাই । কুম্ভকার যেমন যুক্তিক দিয়া ঘট নিৰ্ম্মাণ করে, ঈশ্বর তদ্রুপ পরমাণু দিয়া জগতের অদ্ভুত ব্যাপার স্বষ্টি করিয়াছেন।e এই মত বেদান্তের বিরুদ্ধ। উপনিষদে কথিত আছে,— ইদম্ ৰ অগ্ৰে নৈব কিঞ্চিদাসীৎ । আসীদেকমেবাদ্বিতীয়ম্। এই জগৎ সৃষ্টির অগ্রে আর কিছুই ছিল না, তখন একমাত্র অদ্বিতীয় পরব্রহ্ম ছিলেন । অতএব যিনি ঈশ্বরকে সৰ্ব্বস্রষ্টা ও সৰ্ব্বনিয়ন্ত বলিতে চাহেন, তাহার মতে পরমাণু নিত্য হইতে পারে না। চাৰ্ব্বাক ও বৌদ্ধমতাবলম্বীরাও পরমাণুর অস্তিত্ব স্বীকার করেন। কিন্তু বৈদাস্তিকের ঠিক পরমাণু মানেন না । জ্ঞানরূপ কোন পদার্থ আছে, ইহাই তাহাদের বিশ্বাস। পাশুপতদর্শন-শাস্ত্রবেত্তারা বলেন যে, পরমাণু নিত্য নহে। মহেশ্বর সমস্ত কৃষ্ট করিয়াছেন। পরমাণুকে নিত্য ও অজষ্ঠ বলিয়া মানিলে ঈশ্বরের কর্তৃত্বে দোষ দেওয়া হয়। এখন কথা এই, সত্যই কি পরমাণু আছে ? বহুকাল হইতে ইহার অনেক বিচার হইয়া আসিতেছে, কিন্তু সন্দেহ মিটিতেছে না। সকল বস্তুকেই বিভাগ করা যায়। ৰিভাগ করিতে করিতে যখন এক একটা অংশ এমন স্বল্প হইয় পড়ে ৰে, কিছুতে ক্ষায়:ভাষাকে ভাগ করা যায় না, তাহা হইলে সেই সূক্ষ্ম ক্ষুন্ন অংশকে পরমাণু বহে । শাক্তাক্টর স্বীক্ষা করেন,
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।