_ যতগুলি জলঙ্গানের অণু ধরে সেই আধারে ঠিক তত গুলি অন্নজানের অণু থাকিতে পারে। এখানে অণুর তারের তারতম্য হইতে পারে, কিন্তু সংখ্যায় কম বেশী হয় না। ইহার প্রমাণ এই,—কোন আধারের ভিতর বাষ্প রাখিলে, অণুর স্বাভাবিক গতি দ্বারা সেই আধারের গায়ে সৰ্ব্বদা আঘাত লাগিতে থাকে। পাত্রের গায়ে অণু গিয়া ঠেকিলেই সংঘর্ষ দ্বারা ফিরিয়া আসে। এই রূপ আঘাতকে চাপ কহে (pressure. ) । একসের বাষ্পপূর্ণ আধারের ভিতর যদি আর এক সের অপর কোন বাষ্প পূরিয়া দেওয়া যায়, তাহা হইলে অণুর চাপ দ্বিগুণ হইয় উঠে। অর্থাৎ বাষ্প, স্ববাবতঃ যতটা স্থান ব্যাপিয়া থাকে, তাহার চেয়ে স্থান কমাইয়া দিলে অণুর গতি বৃদ্ধি হয় । সুতরাং পাত্রের গায়ে ঘন ঘন আঘাত লাগিতে থাকে। একটা আধারে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার অণুও ঠাসাঠালি করিয়া পুরিলে আঘাত ও প্রতিঘাতের বেগ বৃদ্ধি হয়। এই আঘাত ও প্রতিঘাতের বেগ দেখিয়া কোন পাত্রে কত গুলি অণু আছে, তাহ নিশ্চিত করা যায়। উত্তাপের কম বেশী হইলে অণুর গতির তারতম্য হয়। উত্তাপ কম হইলে অণুর গতি কম হইয় পড়ে। উত্তাপ অধিক হইলে অণুর বেগ বৃদ্ধি হয়। বৈজ্ঞানিকেরা পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে, শীতকালের বায়ুতে যে রূপ তাপ থাকে (৬০ ডিগ্রি ফারেনহিট ), তাছাতে বায়ুর অণু এক মিমিটে দশ ক্রোশ করিয়া ভ্রমণ করে। অর্থাৎ সচরাচর রেলগাড়ী বে রূপ বেগে ছুটিয়া থাকে, অণুর বেগ তদপেক্ষ ষাটগুণ অধিক । এক একটা অণু আপন আপন গুরুত্বানুসারে অন্ত অণুর সঙ্গে মিলিত হয়। কুত্ৰাপি এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে না । আটভাগ অম্লজান ও একভাগ জলজান মিশিলে জল হয়। এই ভাগের হিসাৰ ওজন ধরিয়। লইতে হয়, কোন পাত্রের মাপ ধরিয়া লইলে ঠিক হয় না । আট বোতল অম্লজান এবীন্দ্রক বোতল জলজান মিশাইলে জল হইবে না। কারণ, এখানে মাপের হিসাব ধরা হইল। কিন্তু আটসের অম্লজান এবং এক সের জলজান মিশাইলে জল হইবে। কারণ, এখানে ওজনের হিসাব ধরা হইতেছে। এরূপ ঘটিবার তাৎপৰ্য্য এই,— পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, কোন পাত্র করিয়া রাস্পাদি মাপিলে তাহার অণুর সংখ্যার কম বেশী হয় না। একটা বোতলে যদি ছুই শত অম্লজানের অণু ধরে, তবে সেই বোতলে হই শত জলজানেবও অণু ধরিবে। আর পূর্বেই [ ১২৬ ] অপুত্ব বলা হইয়াছে গণনা হিসাবে ধরিলে, ছুইটী জলজানের অণু একটী আমজানের অণুর সহিত মিলিয়া জল হয় । কিন্তু পরমাণুতত্বে যৌগিক পদার্থে অণুর যোগাযোগ ভারের হিসাবেও ধৃত হইয় থাকে । [ এই সকল বৃতান্ত রসায়ন বিদ্যার অন্তর্গত। অতএব রসায়ন ও পরমাণু, শৰো অণুর অষ্টান্ত বিবরণ দেখ }। অণু (ত্রি) সঙ্গীত শাস্ত্রের যাত্রা বিশেষ। অণুমাত্রা ( x ) এই রূপ ডমরু চিহ্নের দ্বারা নির্দিষ্ট হয়। বৈয়াকরণের অকারাদি এক একটা লঘুবৰ্ণ উচ্চারণের কালকে এক মাত্র কাল কহিয়া থাকেন । ‘একমাত্রা ভবেদ্ধ স্বে দ্বিমাত্রে দীর্ঘ উচ্যতে। ত্রিমাত্রস্তু তো জ্ঞেয়ো ব্যঞ্জমঞ্চাৰ্দ্ধমাত্ৰকম্। একমাত্র বর্ণগুলি হ্রস্ব, দ্বিমাত্র বর্ণগুলি দীর্ঘ, ত্রিমাত্র বর্ণ প্লুত এবং ব্যঞ্জন বর্ণগুলি অৰ্দ্ধমাত্ৰক । বৈদ্যের অন্ত প্রকারে মাত্র নির্দিষ্ট করিয়াছেন। তাহাদের মতে, চক্ষুর স্বাভাবিক নিমেষই মাত্রা নিশ্চিত করিবার সহজ উপায়। তত্র হ্রস্বাক্ষরোচ্চারণমাত্রোইক্ষিনিমেষ ইতি সুশ্ৰুতম্। হ্রস্ববর্ণ উচ্চারণকরিতে যতটুকু সময় লাগে তাহাই চক্ষুর একটা নিমেষ। এক এক নিমেষ একমাত্র কাল। সঙ্গীত শাস্ত্রকারদের মতে, পাচটা লঘু বর্ণ উচ্চারণ করিতে যে সময় লাগে তাহাই একমাত্র কাল । ‘পঞ্চলঘুক্ষরোচ্চারণকালো মাত্রা সমীরিত ' মাত্র সম্বন্ধে এই রূপ অনেক মতভেদ আছে । যাই। হউক, গায়ক এবং বাদ্যকরেরা আপনাদের ইচ্ছানুসারে মাত্রার কালকে কম বেশী করিতে পারেম । ফল কথ। এই, গীতাদির সময়ে সৰ্ব্বত্র কালের সমান ব্যবধান থাকিলে কোন দোষ হয় না। সঙ্গীত শাস্ত্রে—অৰ্দ্ধ, হ্রস্ব, দীর্ঘ, প্লুত এবং অণু—এই পাচ প্রকার মাত্রার বাবহার আছে । একমাত্র কালের দ্বিগুণকে দ্বিমাত্র বা দীর্থমাত্র কাল, ত্রিগুণ বা তদতিরিক্তকে ত্রিমাত্র বা প্লুতমাত্রকাল, অৰ্দ্ধকে অৰ্দ্ধমাত্রকাল এবং চতুর্থাংশকে অণুমাত্রকাল কহে। এই পাচ প্রকার কাল বুঝাইবার জন্ত পাচ প্রকার সাঙ্কেতিক চিহ্ন আছে। যথা—{। ) এক ৰা হ্রস্ব মাত্রার এই রূপ চিহ্ন ! (। ) দুই বা দীর্ঘ মাত্রা। (। ) ত মাত্র। (৬) সৃদ্ধমাত্রা । ( x ) অণু। গানের সুর লিখিয়া দেখাইতে হইলে, এই চিহ্ন গুলি সুরের উপরে বসাইতে হয়। অণুক (ত্রি) অণুপ্রকার অণুকন। চতুর। নিপুণ । অল্প । স্তেক। চীনাধান । অণুকে গিপুনাল্লয়েঃ (মেদিনী ) । অণুদ্ধ (ক্লী) অশোর্ভাব । স্থঙ্কৰ। অণুপরিমাণ- .
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।