অজারী কবিরর ভারতচন্দ্র রায়, সুন্দরের বদ্ধমান যাত্রাকালে ‘অন্তসী-কুসুম শুমা—এই রূপ বাক্য প্রয়োগ করিয়া ছেন। বিদ্যাসুন্দরের টীকাকারের বলেন যে, এ স্থলে কবির আশ্চৰ্য্য কৌশল প্রকাশ পাইতেছে। কারণ, সুন্দর কালীভক্ত ছিলেন ; কিন্তু যাত্রাকালে ফুর্গানাম স্মরণ করা চাই । অতএব ‘অতলী-কুসুম খামা’ বলাতে হরিদ্র বর্ণ শু্যাম অর্থাৎ দুর্গাকে বুঝাইতেছে, কাজেই সুন্দর যাত্রাকালে উভয়দিক রক্ষা করিয়াছেন। এই ব্যাখ্য' আমাদের তত ভাল লাগে না। অতসীকুসুম শুমা অর্থাৎ অতসী ফুলের মত হরিদ্রাবর্ণ কালী বলিলে যেন ‘সোনার পাথর বাটীর মত কথাটা বলা হয় । আমাদের বিবেচনায়,—অতসী কুসুম শুমা— এই বাক্যে মসিনাফুলের মত স্নিগ্ধ শু্যামবর্ণ কালী এই রূপ বুঝাইতেছে। যথা মাঘ—তস্তাতলী-স্বন-সমানভাসঃ। ७ । ४१ । भझिनाथ हेशद्र छैौकां कब्रिग्राहक्कम,-ञउजैौস্বনেন কুমা-কুস্কমেন সমানভাসঃ তুলাকাস্তেঃ স্নিগ্ধশু্যামস্ত ইত্যর্থঃ । শ্ৰীকৃষ্ণের রূপ বর্ণনা স্থলে কৰি, অতসী অর্থাৎ মসিনা ফুলের তুল্য স্নিগ্ধ খামবর্ণেরর উল্লেখ করিয়াছেন । অতসী-কুহুম শুমা— এ স্থলেও । স্নিগ্ধ খামমূৰ্ত্তি বলিলে অর্থ অধিক সঙ্গত হয় । অতসী-কুসুম কিম্বা অতসী পুষ্প বলিলে হরিদ্রাবর্ণ বুঝাইবার স্থল আছে, কিন্তু তাহাতে বিরোধও অনেক। দুর্গার ধ্যানে উক্ত আছে—অতসীপুষ্পবর্ণভাং স্বপ্রতিষ্ঠাং মুলোচনাং। এখানে তুর্গার রূপ শণপুষ্পের মত হরিদ্রাবর্ণ এরূপ বলা যাইতে পারে। কিন্তু দুর্গার ধ্যানের এই স্থানে পাঠাস্তর অাছে। পুস্তক বিশেষে দেখা যায়— ‘তপ্তকাঞ্চন বর্ণীভাং সুপ্রতিষ্ঠাং সুলোচনাং” এই রূপ ‘অতসীপুষ্প স্থানে ‘তপ্তকাঞ্চন” এই শব্দ আছে। আবার কোন কোন ব্যক্তির মত এই যে,—‘অতসীপুষ্পবর্ণাভাং —এটা নীলছুর্গার ধ্যানের বাক্য। জাহানাবাদ প্রভৃতি বাঙ্গালার স্থান বিশেষে এই রূপ রীতি আছে, ষোল বৎসর বয়ঃক্রমে কোন বালিকা গর্তবতী হইলে সেখানকার লোক ষোড়শী নীলছুর্গার পূজা করেন। এই নীলদুর্গার ধ্যানে “অতসীপুষ্পলঙ্কাশা বা ‘অতসীপুষ্পবর্ণভাম্। এই রূপ শা আছে। -- অতসী শব্দে শণকে বুঝায় কি না, সে ৰিষয়েও অনেক বিরোধ। এই বিরোধের সূত্রপাত অমরকোশের টীকাকারদের হইতে ঘটিয়াছে। অমরে লিখিত আছে— অতুলী তাছম কুমা—এস্থলে কোন কোন টীকাকার [ ১৩৮ ]; কেবল মসিনা ব্যাখ্যা করেন, কেহ কেহ মসিন ও শ৭ এই উভয় প্রকার ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন । অতসী শব্দে বাঙ্গালায় আতুসী নামক এক প্রকার হরিদ্রাবর্ণ ফুলকে বুঝায়। ইহা দেখিতে ঠিক শণ ফুলের মত । সংস্কৃত অভিধানকারের অতসী শব্দে ঐ ফুল গ্রহণ করেন নাই। য়ে ফুলকে সচরাচর আমরা ‘অতলী’ ধ্রুলিয়া থাকি, তাহার প্রকৃত ভাষা নাম বিলঝনঝন । উদ্ভিদশাস্ত্রবেত্তারা উহাকে ক্রোটেলেরিয়া সেয়িসিয়। (Crotalaria sericea) on 1 & oto word gos প্রকার গাছ আছে, সচরাচর তাহাকে আমরা বনwtņsto fm ( Crotalaria retusa ) i wraz wgসন্ধানেও আতুলীফুলের (বিলঝন্ঝনের) সংস্কৃত নাম খুজিয়া পাইলাম না। তাই অনুমান হয়, উহা আমাদের এ দেশীয় গাছ নহে। শণ যে জাতীয় উদ্ভিদ, দুই প্রকার আতুসীও সেই জাতীয় । শণের নাম ক্রোটেলেরিয়৷ জুনসীয় (Crotalaria juncea) | অতারী। পঞ্জাবের একটা প্রাচীন নগরের নাম। সিকন্দর শা (Alexander ) দিগ্বিজয় করিতে আসিয়৷ এই নগর আক্রমণ করিয়াছিলেন। এখন নগরের চিহ্ন নাই, স্থানে স্থানে কেবল বড় বড় ইট পড়িয়া আছে। সে ইটের গড়ন এখনকার মত নয়; হাজার বৎসরের ভিতর তেমন ইট দিয়া কেহ গৃহনিৰ্ম্মাণ করেন নাই। তজ্জন্ত বোধ হয় অত্যরী অনেক দিনের সহর। নগরের চতুৰ্দ্দিকে পরিখা কাট: কেয়ার ভিতরে বড় বড় অট্টালিকা ছিল --সৰ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। অত্যন্ত্রী কেল্লার এখনও ষে ভগ্নাবশেষ আছে তাহা ১২•• হাত দীর্ঘ, ৮০০ হাত প্রশস্ত এবং ১২ হাত উচ্চ। কেল্লার মধ্যস্থলে ৩২ হাত উচ্চ একটা মন্দির। আলেক্জান্দারের সময়ে এই নগর মাল্পীরাজদের অধিকারে ছিল। মাল্পীরাজের কে, কতকাল তাহারণ সেখানে রাজত্ব করিতেছিলেন, এ কথা কেহই বলিতে পারেন না । গ্ৰীশের ইতিহাস লেখকের বলেন যে, সিকন্সর, ঐ স্থান আক্রমণ করিলে সৈন্থগণ সেই মহাৰীরের অন্ত্রবৃষ্টির সম্মুখে আর স্থির থাকিতে পারিল না। তাছার দুর্গের ভিতৃত্বীয় প্রবেশ করিয়া সমস্ত ঘর গুলিতে আগুন লাগাইয়। দিল । বড় বড় অট্টালিকা ধুধু শৰে জলিতে লাগিল, নগরবাসীরা তাছাতেই প্রাণত্যাগ করিল। অত্যর মুলতানের সন্নিকটে, তুলুম্ব হটতে ১০ ক্রোশ , দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত । আলেকজাঙ্গায় যে মগর
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।