অতিশয়োরি সামর্থ্য । অতিশয়িত শক্তির্বলং যস্ত, বহুব্রী। (ত্রি ) অভ্যস্ত বলবান। অতিক্রান্তং শক্তিম্ অতিক্রাণ-তৎ। (ত্রি ) সামর্থ্য অতিক্রমকারী । অধ্যয়ীভাব-সামর্থ্যাठिक्लभ ( अदा) । অতিশক্তিতা (স্ত্রী) অতিশক্তি তাল । বিক্রম শীলের ধৰ্ম্ম । মহাবলত্ব। অতিশক্তিভাজ (পুং) অতিশক্তি ভজণুি। অতিশয় শক্তি বিশিষ্ট। ক্ষমতাবান। [ অংশভাজ দেখ ] । অতিশয় (পুং ) অতি-শী আছ। আধিক্য। অতিরেক। এই প্রকার রূপসিদ্ধিতে অতিশয় শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন, বেগাতিশয় । বিশেষণস্থলে এই প্রকারে রূপসিদ্ধি হইবে, যেমন অতিশয় সাধু—অতিশয়—অস্ত্যৰ্থে অচ। অধিক, সাতিশয়। অতিক্রান্ত শয়ং হস্তম্, অতিক্রা0-তৎ। হস্তাতিক্রমকারক। অতিক্রম্য শক্তিম ( অব্য ) শক্ত্যতিক্রম। ভর। অতিবেল। ভৃশ। অত্যর্থ। অতিমাত্র। উদগাঢ়। নির্ভর। তীব্র। একান্ত। নিতান্ত। গাঢ়। বাঢ়। দৃঢ়। অতিমৰ্য্যাদ। উৎকর্ষ। বলবৎ। স্বস্তু। কিমুত। সু। অতীব । অতি । দ্বার। ব্যাপার। সমধিক । অতিরিক্ত । অতিশয়ন (ক্লী) অতি শী ভাবে লুটি। অতিরেক, অতি শয় । (ত্রি) অতিশয়যুক্ত। অতিশয়োক্তি (স্ত্রী) অতিশয়েন উক্তির্নিদেশে ফিন বর্ণনে। অলঙ্কার বিশেষ । সাহিত্য দর্পণ-প্রণেতা অতিশয়োক্তি অলঙ্কারের | এইরূপ লক্ষণ করিয়াছেন— সিদ্ধত্বেহধ্যবসায়স্তাতিশয়োক্তিনিগদ্যতে। প্রকৃত বিষয়ের অপ্রাধান্ত করিয়া তাহার উদ্দেশে অপ্রকৃত বিষয় নিশ্চলভাবে স্থাপন করিলে তাহাকে অতিশরোক্তি কছে। যথা, মুখং দ্বিতীয়শ্চন্দ্রঃ । মুখখানি দ্বিতীয চাদ। এখানে প্রকৃত বিষয়—মুখ । মুখকে চন্দ্র বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। কাজেই এমন স্থলে একটার প্রাধান্ত এবং অপরটর অপ্রাধান্ত প্রতিপন্ন হইতেছে। অধঃকরণ অর্থাৎ অপ্রাধান্ত এবং নিগরণ সম্বন্ধে অলঙ্কারিকের একটা কারিকা করিয়াছেন। যথা— বিষয়স্তানুপাদানেইপুপিাদানেইপি সূরয়ঃ । অধঃকরণমাত্রেণ নিগীর্ণত্বং প্রচক্ষতে ॥ প্রকৃত বিষয়ের নির্দেশ করা হউক বা না হউক, অধঃকরণ অর্থাৎ অপ্রাধান্ত বুঝাইলেই সেই বিষয়ের নিগরণ করা হয়। - • * * [ 58% ] আতিশয়োক্তি જન્મ অতিশয়োক্তি অলঙ্কার পাচ প্রকার—১। দুইটী বস্তুর মধ্যে ভেদ থাকিলেও সেথানে অভেদকল্পনা । ২ । অভেদ বিষয়ের মধ্যে ভেদ কল্পনা । ৩ সম্বন্ধ থাকিলেও সেখানে অসম্বন্ধ কল্পনা । ৪ । অসম্বন্ধে সম্বন্ধ কল্পনা। ৫ । কাৰ্য্য ও হেতুর পৌৰ্ব্বাপৰ্য্যের অভাব অর্থাৎ বিপৰ্য্যয় । ভেদেইপ্যভেদঃ সম্বন্ধেহলম্বন্ধস্তদ্বিপর্য্যয়েী। পৌৰ্ব্বাপৰ্য্যাতায়: কাৰ্য্যহেতোঃ সা পঞ্চধা ততঃ। ১। ভেদে অভেদ–কথমুপরি কলাপিন: কলাপে৷ বিলপতি তন্ততলেইষ্টমীদুখওম্। কুবলয়যুগলং ততোবিলোলং | তিলকুসুমং তদধঃ প্রবালমন্মাৎ ॥ কি আশ্চৰ্য্য। উপরে ময়ূরের পুচ্ছ শোভা পাইতেছে (কেশ ); তাহার নিয়ে অষ্টমীর চন্দ্র ( ললাট ) ; তাহার পর ফুট চঞ্চল কমল (চক্ষু); তাহার নিম্নে তিল ফুল (মাসিক ); তাহার নিয়ে প্রবাল ( ওং)। এখানে কেশাদির সঙ্গে ময়ুর পুচ্ছ প্রভৃতির সম্পূর্ণ ভেদ থাকিলেও অভেদ রূপে বর্ণনা করা হইয়াছে। ২। অভেদে ভেদ অন্তদেবাঙ্গলাবণ্যমন্তাঃ সৌরভ সম্পদঃ। তস্তাঃ পদ্মপলাশাক্ষ্যাঃ সরসত্বমলৌকিকম। সেই পদ্মপলাশাক্ষী কামিনীর যেরূপ দেহের লাবণ্য তেমন আর কাহারও নাই। সেই সৌন্দর্ঘ্য ও মাধুৰ্য্য সকলি অলৌকিক । জগতে যে রূপ লাবণ্যাদি দেখা যায় এখানে তাহ। হইতে কোন বিভিন্নত না থাকিলেও ভিন্নরূপে কল্পিত হইয়াছে। ৩। লম্বন্ধে অসম্বন্ধ-অন্তাঃ সর্গবিধে প্রজাপতিরভূক্ষত্রে স্থ কাস্তিপ্রদঃ ? শৃঙ্গারৈকরসঃ স্বয়ং তু মদনে ? মাসে মু পুষ্পাকরং ? বেদাভ্যাসজড়ঃ কথং হু বিষয়ব্যাবৃত্ত কৌতুহলো নিৰ্ম্মাতুং প্রভবেৎ মনোহরমিদং রূপং পুরাণোমুনিঃ ? সৌন্দৰ্য্যদাতা চন্দ্র কি এই স্ত্রীরত্বের সৃষ্টিকর্তা ? না, শৃঙ্গাররসের একমাত্র আধার স্বয়ং কন্দৰ্প ইহাকে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন ? অথবা পুষ্পের আকর চৈত্রমাস এই ৷ কস্তাকে গড়িয়াছেন ? কেন না, স্বষ্টিকৰ্ত্ত স্বয়ং ব্রহ্ম। গাঢ় বেদাভ্যাসে যে প্রকার জড় বুদ্ধি এবং বিষয় হইতে নিবৃত্ত হইয়াছেন, তিনি যে আবার বির্ষর ব্যাপারে । কৌতুহলাক্রাপ্ত হইয় এমন মনোহর রূপ গড়িতে পারিবেন, তাহা ত সম্ভবপর মন্থে। । * - "
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।