অভিনার [ ა(No ] অতিসার ময় হইলে আর্সেনিক প্রয়োগ করিবে। গ্রীষ্মকালের রৌদ্রের কারণে অতিসার হইলে কপূর, একোনাইট্র, ডলকামারা, "চায়ন, ফক্ষারিক অন্ন প্রভৃতি ঔষধে উপকার দর্শে। বৃন্ধবয়সের উদরাময়ে ফল্কারিক অন্ন, এন্টিমনি ক্রুড এবং যবক্ষার অন্ন বিশেষ উপযোগী। সঞ্চিত উদরাময়ে আর্সেনিক, সলফার, চায়ন, ফক্ষারস্, ফেরম্ প্রভৃতি ঔষধ ব্যবস্থা করিবে। বৈদ্যক—অতিসার রোগে হোমিওপ্যার্থী এবং বৈদ্যের চিকিৎসাই অধিক প্রশস্ত। এলোপ্যার্থী চিকিৎসা তত ভাল নহে। আবার হোমিওপ্যার্থী ও বৈদ্যক চিকিৎসার ফলাফল বিবেচনা করিয়া দেখিলে বৈদ্যক চিকিৎসাকে অপেক্ষাকৃত শ্রেষ্ঠ বলিতে হইবে। কিন্তু চিকিৎসার জন্ত সদ্বৈদ্য ও প্রকৃত ঔষধ চাই । কঠিন অতিসারের চিকিৎসা করিতে হইলে প্রথমে অাম ও পন্ধের লক্ষণ স্থির করা আবশ্যক। অাম ও পকের লক্ষণ নিশ্চিত না করিয়া ঔষধের ব্যবস্থা করিলে অনিষ্ট ঘটিতে পারে । কারণ অাম অতিসারে লক্তঘন করানো কৰ্ত্তব্য। এবং পঙ্কাতিসারে ধারক ঔবধ ব্যবস্থা করা উচিত। কাজেই যেখানে আম অতিসার হইয়াছে, সেস্থলে ধারক ঔষধ দিলে এবং পঙ্কাতিসারে লঙ্ঘন করাইলে পীড়া বৃদ্ধি হইতে পারে। এই দুই প্রকার অতিসারের লক্ষণ স্থির করিবার উপায় নিতাস্ত সহজ। বৈদোর বলেন,-আমাতিসারের বিষ্ট জলে ফেলিলে ডুবিয়া যায় আর পকাতিসারের পুরীষ ভাসিতে থাকে। কিন্তু এই নিয়ম সকল স্থানে খাটে ন; পঙ্কাতিসারের পুরীষও অধিক তরল, অত্যন্ত সংঘাত, এবং শীতল ও কফদূষিত হইলে ডুবিয়া যাইতে পারে। কফাতিসারে, শ্লেষ্মার গুরুত্ব জন্ত বিষ্ঠা ডুবিয়া যায়। আমাতিসারে পেটের ভিতর গড় গড় শব্দ হয়, এক একবারে অল্প মল নির্গত হইতে থাকে এবং বিষ্ঠায় অত্যন্ত দুৰ্গন্ধ হয়। আমাতিসারে প্রথমে ধারক ঔষধ দিবে না। রোগী সবল এবং উদর মলে পরিপূর্ণ থাকিলে লঙ্ঘন করাইবে, এবং হরীতকী অৰ্দ্ধতোলা ও পিপুল সিকিতোলা বাটিয়া ঈষৎ উষ্ণ করিয়া সেবন করাইবে । এতদ্বারা বদ্ধমল ও আম নির্গত হইয়া যায়। তাহার পর, ধান্তপঞ্চক ও ধান্ত চতুষ্ক ব্যবস্থা করিবে । * ধনে, গুঠ, মুতা, বাল, বেলগুঠ, সমস্ত মিলিত ২ তোলা, অৰ্দ্ধ সের জলের সঙ্গে সিদ্ধ করিয়া অৰ্দ্ধ [ ৩৯ } পোয়া থাকিতে নামাইবে। পরে মধু প্রক্ষেপ দিয়া সেবন করিবে। ইহার নাম ধান্থপঞ্চক । পৈত্তিকাতিসারে গুঠ ত্যাগ করিয়া বাকি চারিট দ্রব্যে পাচন প্রস্তুত করিবে। তাহার নাম ধান্ত চতুষ্ক। ইহাতে পেটের কামড়ানি ও বদ্ধ আম নষ্ট হয় । জোয়ান, লবঙ্গ, মুতা, গুলফ প্রত্যেক ১ তোলা, অৰ্দ্ধসের জলে অল্প সিদ্ধ করিয়া মধ্যে মধ্যে সেই জল পান করিতে দিলে উদরের বেদনা ও অাম নষ্ট হয়। চিকিৎসার প্রথমাবস্থাতেই পেটে কৃমি আছে কি না ; তাহা নিশ্চিত করা কৰ্ত্তব্য। কেন না, অন্ত্রে কৃমি থাকিলে অগ্রে তাহার প্রতীকার করা চাই। কৃমি নির্গত না হইলে অমৃতভক্ষণেও আরোগ্যের সম্ভাবন নাই। সৰ্ব্বত্র কৃমির লক্ষণ স্পষ্ট প্রকাশ পায় না। কিন্তু অনেক স্থলেই এই কয়েকটা উপসর্গ প্রায় বিদ্যমান থাকে। মলদ্বার শুড়, গুড় করে, মুখে লোণ জল উঠে । ও দুর্গন্ধ হয়, নাক চুলকায়, রাত্রিতে স্বনিদ্রা হয় না, ঘুমের ঘোরে রোগী দাত কিড়, মিড় করে। এই সকল লক্ষণ বর্তমান থাকিলে অন্ত্রে কৃমি থাকিবার সম্ভাবনা । বিড়ঙ্গ, পলাশপাপড়া, অনারসের পাতার রস এবং . ইন্দ্রধব কৃমির উৎকৃষ্ট ঔষধ। ইহার কোন একটা ঔষধ সেবন করাইলে পেটের কৃমি নির্গত হইতে পারে। উদরের বন্ধমল ও দুষ্টরস নির্গত হইয়া গেলে এবং শরীর শুষ্ক ও দুৰ্ব্বল হইয়। আসিলে অল্প অল্প লঘুপথ্য এবং ধারক ঔষধের ব্যবস্থা করিবে । এই অবস্থায় । রোগীকে নিম্নলিখিত কোন একটা চুৰ্ণ সেবন করানো যাইতে পারে— নাগরাদি চুর্ণ—শুঠ, আতইচ, মুতা, ধাইফুল, রসাপ্লন, কুড়চির ছাল, ইন্দ্রধব (কুড়চির ফল), পাঠা, বেলগুষ্টি, কটকী, এ সমস্ত দ্রব্য সমভাগে ওজন কল্পিয়৷ উত্তম রূপে চূর্ণ করিবে। অমুপান চেলেমি জল ও মধু। ইহা দ্বারা গ্ৰহণী, মলে রক্তের ছিটা, পিত্ত দোষ প্রভৃতি नहे श्ब्र•। । বৃহদ গঙ্গাধর চূর্ণ—বেলগুষ্টি, শিঙ্গেড়া পত্র, দাড়িম পত্র, মুতা, আতইচ, সালগাছের শ্বেত আটা, ধাইফুল, , মরিচ, পিপুল, গুঠ, দারুহরিদ্র, চিরাতা, মিমছাল, জামছাল, রসাঞ্জন, ইন্দ্রযব, আকনাদি, বরাক্রান্ত,ৰাল, মোচরস, সিদ্ধিপত্র, ভূঙ্গরাজ, এই সমস্ত দ্রব্যের প্রত্যে কের চুর্ণ সমানাংশ এবং সমস্ত চূর্ণ সমষ্টির সমান কুড়চি মূলের ছাল টুর্ণ। মাত্র ১ মাৰা। অন্ধগান ছাগল্প, মধু
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।