জাতিসার কিম্বা অল্পের মও । গ্রহণীর সঙ্গে জ্বর, মলের নানা প্রকার বর্ণ, পাণ্ডুরোগ প্রভৃতি উপসর্গ থাকিলে এই ঔষধে বিশেষ উপকার করে। জীরকাদি চুর্ণ—জীর, সোহাগার খই, মুত, আকনাদি, বেলগুষ্ঠি, ধনে, বালা, গুলফ, দাড়িমফলের ছাল, কুড়চি মূলের ছাল, বরাক্রান্ত, ধাইস্কুল, ত্রিকটু, দারুচিনি, তেজপাত, এলাইচ, মোচরস, ইন্দ্রযব, অভ্র, গন্ধক, পারদ, প্রত্যেকের চূর্ণ সমানাংশ। সমস্ত চুর্ণের সমান জায়ফল। সমস্ত দ্রব্য একত্র উত্তম রূপ চূর্ণ করিবে। অনুপান মধু। ইহা সেবন করিলে উৎকট গ্ৰহণী রোগ নিবারণ হয়। গ্ৰহণী মিহির তৈল-তিল তৈল ৪ সের। প্রথমে যথাবিধি মুছা করিয়া লইবে। কন্ধ দ্রব্য,—ধনে, ধাইফুল, লোধকাষ্ঠ, বরাক্রান্ত, আতইচ, হরীতকী, বেণারমূল, মুতা, বালা, মোচরস, রসোত ( দারুহরিদ্রার সার), বেলগুষ্টি, নীলোৎপল, তেজপত্র, নাগেশ্বর, পদ্মকেশর, গুলঞ্চ, ইন্দ্রযব, গুণমালতী, পদ্মকাষ্ঠ, কটকী, তগর পাদুকা, জটামাংসী, দারুচিনি, কেগুরিয়া, পুনম্ন বা, আমছাল, জামছাল, কদমছাল, কুড়চিছাল, জোয়ান, জীরা, প্রত্যেক দুই তোলা। কাথার্থ কুড়fচছাল ১২ সের, জল ৬৪ সের, সিদ্ধ করিয়া ১৬ সের থাকিতে নামাইবে। মূৰ্ছিত তৈলে প্রথমে কুড়চির কাথ খাওয়াইবে। সাতদিন পরে পুনৰ্ব্বার দধির মাত খাওয়াইবে । সপ্তাহ পরে ৪ সের জলের সঙ্গে কল্ক দ্রব্য সিদ্ধ করিবে। নির্ভুল হইলে নামাইয়া লইবে । এই তৈল অনেকে অনেক প্রণালীতে প্রস্তুত করেন । ইহা সৰ্ব্বাঙ্গে মৰ্দ্দন করিলে কঠিন গ্রহণীতে ৪ বিলক্ষণ উপকার করে। প্ৰাণেশ্বর রস—গন্ধক, অভ্র, পারদ, প্রত্যেক ৪ মাষ । সর্জিক্ষার, সোহাগার খই, সোর, পঞ্চলবণ, ত্রিফল, ত্রিকটু, ইস্রষব, জীরা, কৃষ্ণজীর, চিতামূল, যমানী, হিঙ্গু, বিড়ঙ্গ, গুলফ প্রত্যেক এক মাষ । সমস্ত দ্রব্য একত্র মর্দন করিয়া ১ মাষ। পরিমিত বটী প্রস্তুত করিবে। অমুপান মধু ও পানের রস। ঔষধ সেবনের পর উষ্ণ জল পান করিবে। অত্যন্ত কঠিন জরাতিসার, ত্রিদোষজ গ্রহণী প্রভৃতি উপসর্গে ইহ বিলক্ষণ ফলপ্রদ । কামেশ্বর মোদক-অভ্ৰ, কটফল, কুড়, অশ্বগন্ধ, গুলঞ্চ, মেধী, মোচরস, ভূমিকুয়াও, তালমুলী, গোকুর, কুলেখাড়া বীজ, কদলীমূল, শতমূলী, মানী, মাস [S68 ) অতিসার কলাই, তিল, ধনে, শঠী, গোরক্ষচাকুলে, গন্ধমাত্রা, ময়নাফল, জায়ফল, সৈন্ধব, বামুনহাট, কাকড়াশৃঙ্গী, ত্রিকটু, জীরা, কৃষ্ণজীরা, চিতামূল, দারুচিনি, তেজপত্র, এলাইচ, নাগেশ্বর, পুনরাবা, গজপিপ্পলী, দ্রাক্ষা, শিমূল মূল, বালা, আলকুশী বীজ, প্রত্যেক ১ তোলা । সৰ্ব্ব সমষ্টির দ্বিগুণ চিনি লইবে । সমস্ত দ্রব্য জল দিয়া পাক করিবে । মোদক বাধা যায় এই রূপ ঘন হইয়। আসিলে নামাইয়া রাখিবে। শীতল হইলে স্কৃত ও মধু দিয়া মোদক বাধিবে । জীরকাদি মোদক, মের্থীমোদক, অগ্নিকুমার মোদক, অগ্নিকুমার রস, গ্ৰহণী কপাট রস, গ্ৰহণী গজেন্দ্র বটিকা, বৈদ্যনাথ বটিক, কনক প্রভাবটী প্রভৃতি ঔষধ অতিসার প্রভৃতি রোগে বিলক্ষণ উপকার করে। এলোপ্যার্থী চিকিৎসা—গুরুতর আহারের পর উদরাময় উপস্থিত হইলে ১৫ কিম্বা ২০ গ্রেণ ইপিক্যাক চূৰ্ণ ঈষৎ উষ্ণ জলের সঙ্গে সেবন করিতে দিলে ইহাতেই পীড়ার শাস্তি হইতে পারে। কিন্তু ফুৰ্ব্বল ব্যক্তিকে বমন করানো উচিত নহে । বমনের পর পেটে সঞ্চিত মল থাকিলে মৃদুবিরেচক ঔষধ প্রয়োগ করিলে ফল দর্শে। এরও তৈল এক কাঞ্চ এবং আফিঙের অরিষ্ট সাত বিন্দু কিঞ্চিৎ আদার রসের সঙ্গে একত্র মিশ্রিত করিয়া সেবন করাইলে উদরবেদনা, অন্ত্রেভার বোধ প্রভৃতি কষ্ট নিবারণ হয়। কিন্তু নিকটে ওলাউঠার প্রাচুর্ভাব থাকিলে কিম্বা রোগী দুৰ্ব্বল হইলে বিরেচক ঔষধ ব্যবস্থা করা কর্তব্য নহে । অস্ত্র পরিষ্কার হইলে নিম্নলিখিত ঔষধ ব্যবস্থা করিবে--- রেওচিনির আরক ১• বিন্দু সোডি বাইকার্ব • • • २० ¢$C) পিপারমেন্টের জল ••• • অৰ্দ্ধ ছটাক একত্র মিশ্রিত করিয়া ৩। ৪ ঘণ্টা অমস্তর সেবন করিবে। উদরে অত্যন্ত বেদন থাকিলে উক্ত ঔষধের প্রত্যেক মাত্রায় সঙ্গে ৪ বিন্দু আফিঙের অরিষ্ট মিশাইয়া দিবে। শিশুদের পক্ষে আফিঙ নিষিদ্ধ। পেট অত্যন্ত কামড়াইলে সমস্ত উদরে তাপিন তৈলের সঙ্গে উষ্ণ জলের স্বেদ করিবে । পুনঃ পুনঃ জলবৎ ཨ་བྷི་སཱ་ মল নির্গত হইলে ধারক ঔষধ সেবন করানো অবিশুক । ... " খঙ্গিরের অরিষ্ট s. বিলু
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।