অথৰ্ব্ববেদ বলিতে কি বুঝায়। ময়ু ব্রাত্য সম্বন্ধে এই রূপ মত প্রকাশ করিয়াছেন— আষোড়শা ব্রাহ্মণস্ত সাবিত্রী নাতিবৰ্ত্ততে। আদ্বাবিংশাৎ ক্ষত্রবন্ধোরাচতুৰ্বিংশতের্বিশ: | অত উৰ্দ্ধং ত্রয়োহপ্যেত্বে যথাকালমসংস্কৃতঃ । সাবিত্ৰীপতিত ব্রাত্য ভবন্ত্যাৰ্য্য বিগর্হিতাঃ । | లిy-లిసి | পর্ড হইতে ষোল বৎসর বয়ঃক্রম পর্য্যন্ত ব্রাহ্মণদের যজ্ঞোপবীতের কাল অতীত হয় না । ক্ষত্রিয়দের বাইশ বৎসর এবং বৈশুদের চব্বিশ বৎসর পর্য্যন্ত যজ্ঞোপবীতের সময় থাকে। এই সময় অতীত হইলে সেই সাবিত্রীপতিত অসংস্কৃত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈপ্তের ব্রাত্য নামে অভিহিত হয়। তাহারা আর্য্যদের নিন্দনীয়। বোধ হয়, ব্রাত্য শব্দ–ব্রাত (অর্থাৎ সমূহ বা সামান্ত লোক ) শব্দ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। মহু, গায়ত্রীহীন ব্রাহ্মণকে ব্রাত্য বলিয়া গিয়াছেন । কিন্তু অথৰ্ব্ববেদে ব্রাত্যের বড়ই প্রশংসা আছে। সমস্ত ১৫ পঞ্চদশ কাণ্ডটা ব্রাত্যের প্রশংসায় পরিপূর্ণ। ঐ কাণ্ডে এই রূপ লিখিত আছে,—যে পৃথিবীর সকল পুণ্য লোক প্রাপ্ত হর, তাহার গৃহে ব্রাত্য অতিথি হইয়া এক রাত্রি বাস করেন। যে অন্তরীক্ষের সকল পুণ্য লোক প্রাপ্ত হয়, তাহার গৃহে ব্রাত্য অতিথি হইয়া দুই রাত্রি বাস করেন। যে দ্যুলোকের সকল পুণ্য লোক প্রাপ্ত হয়, তাহার গৃহে ব্রাত্য অতিথি হইয়। তিন রাত্রি বাস করেন। যে পুণ্যের পুণ্য ( সৰ্ব্বাপেক্ষা পুণ্য)লোক লাভ করে, তাহার গৃহে ব্রাত্য চায়ি রাত্রি বাস করেন। যে অপরিমিত সকল পুণ্য লোক প্রাপ্ত হয়, তাহার গৃহে ব্রাত্য অপরিমিত রাত্রি বাস করেন। ১৫ । ১৩ । ১-৫ । তত্ত্বান্তৈবং বিদ্বান ব্রাত্য একাং রাত্রিমতিথিগৃহে বসতি । যে পৃথিব্যাং পুণ্য লোকাস্তানেব তেনাবরুন্ধে। ১ . স্তম্বান্তৈবং বিদ্বান ব্রাত্যো দ্বিতীয়াং রাত্রিমতিথিগৃহে বসতি । যে অস্তুরিক্ষে পুণ্য লোকাস্তানেব তেনাব রূন্ধে। ২ ইত্যাদি ইত্যাদি । ? অগ্নি, আদিত্য, পৰমান, অপ, পশু ও প্রজা ব্ৰত্যের এই সপ্ত প্রাণ। তস্তত্ত্বাত্যন্ত ৷ ১ ৷ সপ্তপ্রাণী: সপ্তাপানাঃ সপ্তব্যানঃ ॥২ ॥ যোহন্ত প্রথম প্রাণ উৰ্দ্ধো নামায়ংসে অগ্নিঃ ॥৩। যোংস্ত দ্বিতীয় প্রাণ প্রৌঢ়ো [ ১৩৮ ] অথৰ্ব্ববেদ নামাসে স আদিত্যঃ ॥ ৪ ॥ যোহন্ত তৃতীয়ঃ প্রাণে ৩ ভূঢ়ো নামাসে স চন্দ্রমাঃ ॥ ৫ ॥ যোংস্ত চতুর্থ প্রাণে বিভুর্নামায়ং স পবমানঃ ॥৬। যোহন্ত পঞ্চম প্রাণে যোনিনাম তা ইম। আপঃ ॥ ৭ ॥ যোংস্ত ষষ্ঠঃ প্রাণঃ প্রিয়ে নাম ত ইমে পশবঃ ॥ ৮ ॥ যোহস্ত সপ্তমঃ প্রাণে। হপরিমিতে নাম তা ইমা: প্রজা; ॥ ৯ ॥ ১৫ । ১৫ । এই ত গেল ব্রাত্যের পরিচয় । তাহার পর আর এক কথা আছে। অথৰ্ব্ববেদের মন্ত্র কখন কোন যজ্ঞে ৮ লাগিত কি না, তাহ নিশ্চিত করা কঠিন। কিন্তু অথৰ্ব্ববেদের শাখা প্রশাখার বিধানামুসারে যাগাদি হইত তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। দশরথের পুত্রেষ্টি যাগ অথৰ্ব্ববেদের শির্ষক বিধান মত অতুষ্ঠিত হইয়াছিল, রামায়ণে সে কথা লিখিত আছে। অথৰ্ব্ববেদীরা বলেন যে, এ খানি ব্রহ্মবেদ যজ্ঞ করিতে হইলে চারি জন প্রধান ঋত্বিক ও বার জন সহকারী আবশু্যক । প্রধান ঋত্বিকদের মধ্যে যিনি সামবেদ উচ্চারণ করেন, তাহার নাম উদগাত । যিনি যজুৰ্বেদ পাঠ করেন, তাহার নাম হোতা । যিনি ঋষ্মন্ত্র পাঠ করেন, তাহার নাম অধ্বর্য । আর যিনি সকলের উপর কর্তৃত্ব করেন, তাহার নাম ব্ৰহ্ম। ব্ৰহ্মার স্বতন্ত্র বেদ নাই, কিন্তু তাহাকে সকল বেদ জানা চাই। অথৰ্ব্ববেদীর বলেন যে, যজ্ঞস্থলে ব্ৰহ্মনামক ঋত্বিকের বেদের নাম অথৰ্ব্ববেদ । পূৰ্ব্বে অথৰ্ব্ববেদের বহুসংখ্যক শাখা ছিল। এখন তাহায় মধ্যে কেবল শৌনকশাখা যিদ্যমাম আছে। এই * বেদ নয় ভাগে বিভক্ত। যথা—পোপ্পলাদ, শৌনকীয়ু, দামোদ, তোত্তায়ন, জায়ল, ব্ৰহ্মপালাশ, কুনখা, দেবদশী এবং চারণবিদ্যা। চরণব্যুহে লিখিত আছে,— স্বাদশানাং সহস্রাণি মন্ত্রাণাং ত্রিশতানি চ | গোপথং ব্রাহ্মণং বেদেহথৰ্ব্বণে শতপাঠকং ॥ অথৰ্ব্ববেদে ১২,৩০০ বার হাজার তিন শত মন্ত্র, গোপথ ব্রাহ্মণ এবং শতপাঠক আছে। আমরা সমস্ত বেদখানির মন্ত্রাদি সাবধানে গণিয়া নিয়ে তাহাদের তালিকা দিতেছি— ১ কাণ্ডে ৩৫ ফুক্ত। ৬ অনুবাক । ২ প্রপাঠ। ঋক্ ১৫৩ ఇ , లిట , ) , 1 8 , 1 , R 3 1 S SAS A SAS S S S S S S S S S S S S DBe 8 , 8° , । । . । . । । ૭૨8 ጋፃፋይ“ ام و R ه او و با او و نه «و Woo », ! 8 إه ووهج 1 ، و شالاts هزار 8R لا
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।