অথর্ব . অষ্টম কাও হইতে অষ্টাদশ কাও পৰ্য্যন্ত অনেক বড় বড় সুক্ত আছে। ত্রয়োদশ কাণ্ডে রোহিত নামক দেবতার বিবরণ। তিনিই নাকি সকলের সৃষ্টিকর্তা। র্তাহার পত্নীর নাম রোহিণী। চতুর্দশ কাণ্ডে বিবাহের কথা। পঞ্চদশ কাণ্ডে ব্রাত্যের বৃত্তান্ত কথিত হইয়াছে। যোড়শ ও সপ্তদশ কাণ্ডে বিবিধ বিষয় সঙ্কলিত হইয়াছে। বিংশ কাণ্ডের অধিকাংশ স্থলে ইন্দ্রদেবের স্তুতি দেখা যায়। ঐ স্তুতিগুলি প্রায় সমস্তই ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডল হইতে উদ্ধৃত করা হইয়াছে। অথৰ্ব্ববেদের অনুনি ছয় ভাগের এক ভাগ ঋগ্বেদের মন্ত্র, আবার সেই সকল মন্ত্র প্রথম ও দশম মণ্ডলেরই অধিক। অথৰ্ব্ববেদেও পুরুষ হুক্ত আছে, কিন্তু ঋগ্বেদের পুরুষ হুক্তের সঙ্গে ইহার পাঠের অনেক প্রভেদ । ) অথৰ্ব্ববেদের একখানি প্রাতিশাখ্য মুদ্রিত হইয়াছে। উহাতে অন্যান্ত সকল কাণ্ডের ভূরি ভূরি উদাহরণ দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্য্যের কথা এই, উনবিংশ কাণ্ডের একটা বৈ উদাহরণ নাই এবং বিংশ কাণ্ডের আদৌ একটাও উদাহরণ দেওয়া হয় নাই। তাই, কেহ কেহ অনুমান করেন যে, পাতিশাখ্যখানি লেখা হইবার পরে আধুনিক উনবিংশ ও বিংশ কাও অথর্ববেদের সঙ্গে যুড়িয়া দেওয়া হইয়াছে। ঋগ্বেদের প্রায় সমস্ত ছন্দই অথৰ্ব্ববেদের মধ্যে দৃষ্ট হয়। ইহার চতুৰ্থকাণ্ডের ২১ একুশ সুক্তে, অঙ্গির, অগস্তি, জমদগ্নি, অত্রি, কগুপ, বশিষ্ঠ, গুণবান্ত, বধ্যশ্ব, পুরুমীঢ়, বিমদ, সপ্তবন্ত্ৰি, ভরদ্বাজ, গবিটির, বিশ্বামিত্র, কুৎস, কক্ষিবান, কণু, ত্ৰিশোক, কাব্য, উশনা, গোতম ও মুদগ এই সকল ঋষির নাম পাওয়া যায়। ইহঁাদের মধ্যে অনেকেই ঋগ্বেদের ঋষি ) অথৰ্ব্ববেদ ভিন্ন আর কতকগুলি মন্ত্র আছে, তাহার নাম অথৰ্ব্বণ। কিন্তু সেই অথৰ্ব্বণগুলি অথৰ্ব্ববেদ হইতে বিভিন্ন কি না, তাহা ঠিক বলা যায় ন। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, সম্প্রতি অথৰ্ব্ববেদেয় কেবল শৌনক শাখা পাওয়া যায়। কিন্তু কেহ কেহ বলেন যে, পৈপ্পলাদ শাখাও নষ্ট হয় নাই। অথর্ববেদের সঙ্কলনকালে ব্রাহ্মণদের অতিশয়-প্রতিপত্তি ছিল। নিম্নলিখিত মন্ত্র তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ, অথৰ্ব্ববেদে ৫ কাণ্ডে ১৭ শুক্তে, উত যৎপতয়ে দশ ত্রিয়া; পূৰ্ব্বে অব্রাহ্মণাঃ । ব্ৰহ্মা চেন্ধস্তমগ্রহীৎস এয পতিরেকধা। ৮। ব্ৰাহ্মণ এব পতিন রাজদ্যো ৩ ন বৈপ্তঃ । তৎসুর্য্যঃ প্রব্রুবন্নেতি পঞ্চভ্যো মানবেভাঃ । ৯ ॥ " ১৭২ ] অথৰ্ব্ব আবার অন্যত্র দেখা যায়, ( ৫ কাও । ১৮ হু ।) ন ব্রাহ্মণো ছিংসিতব্যোহগ্নিঃ প্রিয়তনোরিব। সোমো হান্ত দায়াদ ইন্দ্রে। অন্যাভিশস্তিপা: ৷ ৬ ৷ যে সহস্র মরাজন্নাসন্দশশতে উত। - তে ব্রাহ্মণস্ত গাং জঙ্ক, বৈতহবা; পরাভবন । ১• । গৌরেব তাহন্যমান বৈতহবা অবাতিরৎ। যে কেসর প্রাবন্ধায়াশ্চরমজামপেচিরন্থ। ১১। ঋগ্বেদে ইন্দ্র, স্বৰ্য্য, অগ্নি, অশ্বিনীকুমার প্রভৃতি দেবতাদের স্তুতি ও অর্চনা আছে । কিন্তু অথৰ্ব্ববেদে কাল, কাম, যম, মৃত্যু, দেব, দানব প্রভৃতি সকলেরই স্তব করা হইয়াছে। জগতে যাহা আছে তাহার স্তব ; জগতে যাহা নাই, কেবল মনে মনে নৃতম গড়িয়া লইতে হয় তাহারও স্তব। নমো দেববধেভ্যো নমো রাজবধেভাঃ। আথে যে বিশু্যানাং বধাস্তেভো মৃত্যো নমোহস্তুতে। নমস্তে অধিবাকায় পরাবাকায় তে নমঃ । সুমত্যৈ মৃত্যেতেনমো দুৰ্ম্মত্যৈ ত ইদং নমঃ। নমস্তে যাতুধানেভো নমস্তে ভেষজেভ্যঃ । নমস্তে মৃতো মূলেভ্যে। ব্রাহ্মণেভ্য ইদং নমঃ । অথৰ্ব্ববেদ ৬ ১৩ । ১-৩। ঋগ্ধেদের ঋষির কোথাও যাতুধান, দুৰ্ম্মতি প্রভৃতিকে নমস্কার করেন নাই। অথৰ্ব্ববেদে রোগাদি ঝাড়াইবার মন্ত্র অধিক দেখা যায়। অন্ত বেদে এত নাই। স্বামীকে বশীভূত করিবার মন্ত্র, বিয ঝাড়াইবার মন্ত্র, শত্রুবধের মন্ত্র, বন্ধ্যানারীর সস্তানোৎপত্তির মন্ত্র,—এ সকলিই আছে । তখনকার যে সকল ব্রাহ্মণের ক্ষত্রিষদের পৌরোহিত্য করিতেন, তাহাদিগকে অথৰ্ব্ববেদখানি ভাল করিয়া পড়িতে হইত। রঘুবংশে কালিদাস বশিষ্টকে “অথৰ্ব্বনিধি’ এই বিশেষণ দিয়া তাহার গোয়ববুদ্ধি করিয়াছেন। ‘অথাথৰ্ব্বনিধেস্তম্ভ বিজিতারিপুর; পুরঃ ।” বশিষ্ঠ ঋষির মন্ত্রবল কেমন, তাহাও উত্তম রূপে প্রকাশ করিয়াছেন । ‘তব মন্ত্ররূতে মন্ত্রৈঃ দুরাৎপ্রশমিতারিভিঃ।’ কোন ব্যক্তি মৃতকল্প হইলে তাহারা মন্ত্ৰ পড়িয়৷ সেইরোগীকে ঝাড়াইতেন ! নমুনাস্বরূপ এখানে কয়েকটা মন্ত্র লিখিত হইতেছে। কাহারও কঠিন রোগ হইলে ঋষির এই বলিয়া ঝাড়াইতেন- - আবতন্ত অবতঃ পরাবতন্ত আবতঃ । ইহৈব الله ভব, মা হ্ল গা, মা পূৰ্ব্বানমূগা পিতৃনমুম্বামি তে
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।