অধশ্চের [ ১৯৮ ] অধশ্চেীর ہی ہی۔ -- - - -------------------------------یویی بیبیسی ভিত সন্মুখে না পড়িলে গৰ্ত্তও বেশ বড় হইবে । দেউ- | লওয়া যায়, দ্বার দৃঢ়বন্ধ থাকিলে ইহা দ্বারা কপাট লের কোন স্থানটায় লোণা ধরাতে ভিত জীর্ণ ও ক্ষয় হইয়া গিয়াছে ? আর কোন স্থানে সিঁধ কাটিলে স্ত্রীলোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হুইবে না, অথচ আমারও কাৰ্য্যসিদ্ধি হুইবে । দেউলে হাত বুলাইয়া বলিল,—এই যে এই জাগাটায় প্রতিদিন রৌদ্রবৃষ্টি লাগে তাই এ স্থানটা নষ্ট হইয়াছে, এ স্থানটা লোণ লাগিয়া ক্ষরিয়া গিয়াছে। এ স্থানটায় ইদুরে গর্ত করিয়াছে। যা হোক, কাজ ফলিয়াছে তাহাতে ভুল নাই। চোরেদের কার্য্যসিদ্ধির এইটাই প্রথম লক্ষণ। এখন কাজ আরম্ভ করিয়া দিই, কিন্তু গৰ্ত্তটা কি প্রকার কাটা যায় ? ভগবান কনকশক্তি চারি প্রকার সিদ্ধগৰ্ত্তের উপায় বলিয়াছেন । পাকা ইটের ঘর ছইলে ইট খলিয়। বাহির করিতে হয় ; কাচা ইটের গাথনী হইলে ইট কাটিয়া বাহির করা চাই ; চাবড়া মাটীর দেউল হইলে তাহাতে জলসেঁচিয় দিবে; ক’ঠের ঘর হইলে বিদারণ করিবে । এটা পাকা ইটের ঘর, অতএব ইট খুলিয়া বাহির করা চাই। কিন্তু সিঁধ গৰ্ত্তও ত অনেক রকম আছে। পদ্মের মত, ভাস্করের মত, অৰ্দ্ধচন্দ্রণকার, দীর্ঘাকার, স্বস্তিকের মত ও পূর্ণকুস্তেয় মত। এখন আমি কোন খানে আপনার গুণপন দেখাইব যে, কালি সহরের লোকের দেখিয় বিস্ময়াপন্ন হইবে ? এই পাক ইটের ঘরে পূর্ণ কুম্ভাকার গৰ্ত্তই বেশ শোভা পাইবে । অতএব সেই রকম গৰ্ত্তই কাটি। বরদাতা কুমার কাৰ্ত্তিকেয়কে নমস্কার। কনকশক্তিকে নমস্কার। ব্রহ্মণ্যদেব দেবব্রতকে নমস্কার, ভাস্করনন্দিকে নমস্কার, যোগাচাৰ্য্যকে নমস্কার। আমি উাহার প্রথম শিষ্য। তিনি তুষ্ট হইয়া আমাকে যোগরোচনা দিয়াছেন । ইহা গায়ে মাখিলে নগররক্ষকেরা আমাকে দেখিতে পাইবে না এবং গায়ে অস্ত্র মারিলে আঘাত লাগিবে না। এই কথা বলিয়া শৰ্ব্বিলক গায়ে যোগরোচনা মাখিল। মাখিয়া বলিল,—এই য! সিঁধ গর্ত মাপিবার দড়ীটা যে ভুলিয়া আসিয়াছি। তাহার পর কিঞ্চিং ভাবিয়া বলিল, তা হউক,-আমার এই যজ্ঞোপবীত দিয়া মাপ করিলেই হইবে। ব্রাহ্মণের পৈতাট। তার দরকারী জিমিষ । বিশেষত্তঃ আমার মস্ত ত্ৰাক্ষণের ইহা অনেক কাজে লাগে। ইহা দ্বার সিঁধ গর্তের মাপ করা যায় ; ইহাতে অলঙ্কার খুলিয়া |
খুলিতে পারা যায়, এবং সাপে কি বিছায় কামড়াইলে ইহাতে ভাগ বাধা যায় । তাহার পর সিধের স্থান মাপিয়া কাজ আরম্ভ করিয়া দিল । গর্ত পানে চাহিয়া বলিল, আর একখানা ইট বাকি আছে, তাহ হইলেই সিঁধ ফুটিয়া যায়। উঃ একি হইল, সাপে কামড়াইল যে ? পরে যজ্ঞোপবীত দ্বারা অঙ্গুলি বাধিল, কিন্তু জালায় শরীর পুড়িতে লাগিল । তাহার পর চিকিৎসার দ্বারা সুস্থ হইয়া সিঁধ ফুটাইল । দেখে ভিতরে প্রদীপ জলিতেছে । শেষে গৰ্ত্ত প্রশস্ত করিয়া ভাবিল, এই বার তবে প্রবেশ করি। না, একেবারে প্রবেশ করিয়া কাজ নাই, প্রথমে একটা মুরদ ( প্রতিপুরুষ ) প্রবেশ করাইয়া দেখি । কৈ কেহ নাই । কাৰ্ত্তিকেয়কে নমস্কার । গুহে প্রবেশ করিয়া দেখিল, দুই জন পুরুষ ঘুমাইতেছে। তা হউক, আগে আত্মরক্ষার নিমিত্ত দ্বারটা খুলিয়া রাখি। দ্বার জীর্ণ হইয়াছে, কপাটে শব্দ হইতেছে, একটু জল কোথা পাই খুজিয়া দেখি । জল লইয়। সাবধানে কপাটে ছিটাইয়া দিল । পাছে মাটিতে পড়িলে শব্দ হয়, তাই পিঠের ঠেস দিয়া কপাট খুলিল। যাহা হউক, এখন এ দুই জনে যথার্থ ঘুমাইতেছে কি না দেখা চাই। অনন্তর ভয় দেখাইয়৷ বুঝিল তাহার। যথার্থই ঘুমাইতেছে । ইহাদের নিশ্বাস পড়া দেখিয়া বোধ হয় না যে, ইহায়! ভয় পাইয়াছে । কেন না, বেশ স্পষ্ট ও বিলম্বে বিলম্বে নিশ্বাস পড়িতেছে। চক্ষু গাঢ়রূপ মুদ্রিত হইয়া আছে এবং তারাও চঞ্চল বলিয়া বোধ হয় না । দেহের সন্ধিস্থান শিথিল হইয়। গিয়াছে ; শয্যা ছাড়িয়া হাত পা মেলিয়া পড়িয়া আছে। সত্য সত্য না ঘুমাইলে চক্ষে কখন প্রদীপের আলো সহ হইত না । মৃচ্ছকটিক অতি প্রাচীন পুস্তক। শৰ্ব্বিলকের কথা শুনিয়া জানা যাইতেছে, পূর্বকালে এদেশের চোরের আপনাদের ব্যবসায় বেশ ভাল রূপ বুঝিত। একটা গ্রাম্য গল্প প্রচলিত আছে যে, আকাশ হইতে বাজ পড়ে। সেই বাজ কলা গাছে কিম্বা সার গাদিতে পড়িলে আর উঠিয়া যাইতে পারে মা, বিধিয়া থাকে। সিধেল চোরের তাছারই লৌহে সিঁধকাট প্রস্তুত করাইয়া থাকে। এই গল্পের উৎপত্তি কি ৰূপে হইল তাই ঠিক ৰলিতে পারা যায় না। কামারের দোকানের পাশে একটা করিয়া জামাল থাকে। কথিত আছে,