অধিকরণ [ २००] অধিকরণ -T-7 --- আবার এত বড় করিয়া বলা হইল যে, যে শরীরে জগতের স্থান হইয়াছিল সে শরীরে আনন্দ ধরিল না, তাহা একেবারে উথলিয়া উঠিল। যুগান্ত ইত্যাদি মাঘের শ্লোকটা কাব্যপ্রকাশের অধিক অলঙ্কারের উদাহরণ স্বরূপ উদ্ধৃত कङ्गां इद्देग्राएइ । কিন্তু মাঘের টীকায় মল্লিনাথ উহাকে অতিশয়োক্তি অলঙ্কার বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। ‘কবিগ্রৌঢ়োক্তিসিদ্ধাতিশয়েন স্বত: সিদ্ধস্তাভেদেনাধ্যবসিততিশয়োক্তি: স চ মুদামন্তঃ সম্বন্ধোক্ত্য সম্বন্ধরূপ । এই শ্লোকটী উভয় অলঙ্কারেই বেশ খাটিতেছে। অহো বিশালং ভূপাল! ভুবনত্রিতয়োদরম্। মাতি মাতুমশকোহপি যশোরাপির্যন্ত্র তে। হে মহারাজ ! আপনার যশোরাশি অপরিমিত হইলেও ত্রিভুবনের উদর এত বৃহৎ যে, উহাতে তাহার পরিমাণ করা যাইতেছে। এখানে যশোরাশি আধেয়। প্রথমে ইহাকে এত বড় করিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে যে, ইহার পরিমাণ করা যায় না। পরে ত্রিভুবন আধেয় । ইহাকে আবার এত বড় করিয়া বর্ণনা করা হইল যে, সেই অসীম যশোরীশিকে ইহা ধারণ করিতে পারে। স্তারমতে,—হেতু-উদাহরণ অধিক । অধিক হেতু আদি কথন । অধিকতর (ত্রি ) অধিক-তরপ্ত। দুইয়ের মধ্যে একটা বেশী অধিক। উৎকৃষ্ট, অত্যন্ত উৎকৃষ্ট । অধিকতম (ত্রি) অধিক-তমপ। অনেকের মধ্যে একটা বেশী অধিক। অত্যন্ত উৎকৃষ্ট । অধিকন্তু (অব্য ) অধিকং তু। আরও। অধিকমাস (পুং) কর্ণধা । [ মলমাস দেখ । অধিকরণ (ক্লী) অধি-ক্-লুটুি। আধার, ব্যাকরণমতেআধারোহধিকরণম্। পা ১ । ৪ । ৪৫ । কৰ্ত্তা এবং কৰ্ম্মের ক্রিয়ার যে আধার তাহাকে অধিকরণ কারক কছে। যেমন, কটে আস্তে। তিনি মাছুরে বসিয়া আছেন। এখানে তিনি কর্তা। এই কৰ্ত্তার বসারূপ যে ক্রিয় তাহার আধার "কট’ । তজ্জন্ত কট অধিকরণ কারক হইয়াছে। পুনশ্চ, স্থাল্যাং পচতি। স্থালীতে পাক করিতেছে। এখানে অল্পাদির পাক ক্রিয়ায় আধার স্থালী। তজ্জন্য স্থালী অধিকরণ কারক হইয়াছে। ঔপশ্লেষিকে বৈষয়িকে ২ভিব্যাপকক্ষেত্যাধায়ন্ত্রিধা (ভুট্রোজিীক্ষিত: ) আধার তিন প্রকা-১ ঔপ শ্লেষিক । ২—বৈষয়িক । ৩—অভিব্যাপক । কোন অবয়বে সংযোগ থাকিলে তাহাকে ঔপশ্লেষিক আধার কহে। যেমন, কটে আস্তে। তিনি মাকুরে বসিয়া আছেন । যাহাতে কোন বিষয়ের বোধ হয় তাহাকে বৈষয়িক আধার কহে । যেমন, মোক্ষে ইচ্ছাস্তি । মোক্ষে তাহার ইচ্ছা আছে। অর্থাৎ মোক্ষ তাহার ইচ্ছার বিষয়। যেখানে আধারে আধেয় বস্তু সম্পূর্ণ রূপে ব্যাপ্ত হয়, তাহাকে অভিব্যাপক কহে । যেমন, দুগ্ধে মাধুর্য্যমস্তি। দুগ্ধে মাধুর্য্য আছে। এখানে মাধুর্য্য গুণ সমস্ত দুগ্ধেই ব্যাপ্ত হইয়া আছে। বোপদেবের মতে আধার চতুর্বিধ। সমীপ্যাশ্লেষবিষয়ৈব্যাপ্তাধারশ্চতুর্বিধঃ । সামীপ্য। আশ্লেষ। বিষয়। ব্যাপ্তি। সামীপ্য অর্থাৎ সমীপের ভাব । গঙ্গায়াং ঘোষঃ । গঙ্গার সমীপে অর্থাৎ লক্ষণদ্বার তীরে ষে ঘোষ বাস করে। আশ্লেষ অর্থাৎ একদেশ সম্বন্ধ। কাননে বসতি । বনে বাস করে অর্থাৎ বনের একদেশে। ধনে স্পৃহা। অর্থাৎ ধনবিষয়ে স্পৃহা। সকলে স্থিতঃ । অর্থাৎ সকল জগৎ ব্যাপিয়া যিনি আছেন ।
- । সপ্তম্যধিকরণে। প৷ ২ ৷ ৩ ৷৷ ৩৬। অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়।
ছায় মতে বিযয়াদি পুঞ্চাঙ্গের বিবেচনাত্মক শাস্ত্র । বিষয়োবিশয়শ্চৈব পূৰ্ব্বপক্ষস্তথোত্তরম্ । নির্ণয়শ্চেতি পঞ্চাঙ্গং শাস্ত্রে ইধিকরণংস্কৃতম্। বিষয়, বিশয়, পূর্বপক্ষ, উত্তর এবং নির্ণয় এই পঞ্চাঙ্গকে অধিকরণ কহে । ১ বিষয়—অর্থাৎ বিচারের যোগ্য বাক্য। ২ বিশয়—ইহার এই অর্থ কিম্বা ও রূপ নহে, এই সংশয়কে বিশয় কহে। ৩—প্রকৃত অর্থের বিরোধী তর্ককে পূৰ্ব্বপক্ষ কহে। ৪—কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত করিতে হইলে তাহার অনুকূলে যে সকল তর্ক করা যায়, তাহার নাম উত্তর। ৫ নির্ণয়—মহাবাক্যার্থের তাৎপৰ্য্য নিশ্চয়কে নুির্ণর কহে। এবং ক্রমেণ বিবেচনমত্ৰাধিক্রিয়তে’ ইত্যধিকরণম্।। (ইতি তিথ্যাদিতত্ত্ব)। উক্ত পঞ্চাঙ্গের বিচায় আছে বলিয়া ঐ বিষয়াদিধিবেচন শাস্ত্রের নাম অধিকরণ হইয়াছে। অধিক্রিয়তে ইর্থাদ্বিচারোইস্মিন্ননেনেতি বা অধিকরণম্। বেদবিচারাত্মক গ্রন্থমীমাংসা বিশেষ। ইহা দুই প্রকার। কৰ্ম্মমীমাংস এবং ব্রহ্মমীমাংসা। জৈমিমি প্ৰণষ্ঠ কৰ্ম্মমীমাংসাই কৰ্ম্মকাণ্ডের বেদবিচার গ্রন্থ। ইহাকে পূৰ্ব্বমীমাংসা কহে । আয়, বেঙ্গব্যাস প্রশীত