অনুপ্রবেশ [ ২৬২ ] অনুপ্রাগ অনুপান ( ক্লী ) অনু ডেষজেন সহ পশ্চাদ্বী পীয়তে পাকৰ্ম্মণি লুট । ঔষধের সঙ্গে মিশাইয়া যাহা পান করা যায়। যেমন, “অমুপান’ আদায় সত্ব ও মধু। ঔষধ সেবনের পর যাহা পান করা যায়। পীয়তে যন্তং পানম্। পানং পীতে চ রক্ষণে । ( বিশ্ব )। পানস্ত জলন্ত সমীপে অধ্যয়ী০ । জলের নিকটে । বৈদ্যের ঔষধ সেবন করিতে হইলে অনুপানের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশুক। অমুপান ভেদে এক এক ঔষধের নানা প্রকার গুণ হইয় থাকে । ‘অমুপানবিশেষেণ করোতি বিবিধান গুণান।’ (বৈদ্যক )। অনুপারত্ত (ত্রি) ন উপাবৃত্তম। পরাবৃত্ত নহে। যে ফিরিয়া আসে নাই । নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী। অনুপুষ্প (পুং ) অনুগতঃ পুষ্পং তদ্বিকােশম। অতি০ তৎ। শরবৃক্ষ । থাকড় গাছ। অনুপূৰ্ব্ব (ত্রি ) অযুগ তং পুৰ্ব্বং পরিপাঠীং । অতি স । ঠিক ক্রমামুসার। ঠিক ক্রমামুযায়ী ৷ পর পর । গোড় হইতে ঠিক পরে পরে শেষ পর্য্যন্ত। অনুপূৰ্ব্ব-শস্। অনুপুৰ্ব্বশ:–ঠিক ক্রমানুসারে । (স্ত্রী) অয়ুপূৰ্ব্বী। অনুপুষ্ঠ্য ( ত্রি ) অমু পশ্চাৎ পৃষ্ঠং বধ্যতে যৎ । পৃষ্ঠের উপর বাধা পাশাদি । অনুপেত (ত্রি ) ন উপেতম। উপনয়নের নিমিত্ত গুরুর নিকটে গত নহে। উপনয়নের নিমিত্ত যে গুরুর নিকটে যায় নাই । অনুপ্ত (ত্ৰি ন উপ্তম্ বপ-ক্ত। যাহা বোন হয় নাই। অনুপ্রদান ( ক্লী) অনুপ্রদীয়তে অনু-প্র-দা-করণে লুট । বর্ণোৎপাদনের নিমিত্ত বাহাপ্রযত্ব বিশেয । এতে শ্বাসসুপ্রদান অঘোষাশ্চ বিরুতে (ভট্রোজি ) । অনুপ্রবচন ( ক্লী অম্বুরূপং প্রবচনম উচ্চারণম্। গুরু যে রূপ উচ্চারণ করিয়া শিক্ষা দেন, ঠিক সেই রূপ উচ্চারণ করা । ( ত্রি ) গুরুর উপদেশানুরূপ অধ্যয়নযুক্ত। * । অনুপ্রবচনাদিভ্যশ । পা ৫ ৷ ১ ৷ ১১১ ৷ ইহা তাহার প্রয়োজন এই অর্থে অনুপ্রবচনাদি শব্যের উত্তর ছ প্রত্যয় বিহিত হয় । অছুপ্ৰবচনং প্রয়োজনমস্ত, অমুপ্রবচনীয়ম্। অয়ুপ্রবচন, উত্থাপন, প্রবেশন, অনুপ্রবে: শন, উপস্থাপন, সম্বেশন, অকুবেশন, অম্বুবচন, আমু বাদন, অনুবাসন, আরম্ভণ, আরোহণ, প্ররোহণ, অম্বারোহণ । এই শব্দগুলি অনুপ্রবচনাদি । অনুপ্রবেশ (পুং) অনুরূপঃ প্রবেশ: স্বর্য্যের যথাকুরূপ কিরণের চন্দ্রমগুলে প্রবেশ। অনুরূপ প্রবেশ। প্রতি - -T বিশ্বপতন ! ( Reflection )। প্রতিফলিত হওর । ‘অনুপ্রবেশাদিব বালচন্দ্রমাঃ’ । ( রঘুবংশ ৩। ২২ । )। অনুপ্রাস (পুং ) প্রাস্ততে প্রকৃষ্টমাক্ষিপ্যতে প্রাসঃ । অল্প সদৃশ প্রাস: বর্ণবিস্তাসঃ । প্রাদি স• । এক বাক্যের ভিতর কাছাকাছি সমান বর্ণের বিদ্যাস থাকিলে অমুপ্রাসালঙ্কার হয় (Alliteration । মািটভট্ট, অমু প্রাসের এই লক্ষণ করিয়াছেন,— বর্ণসাম্যমসুপ্রাস: ( কাব্যপ্রকাশ )। স্বরবৈসাদৃপ্তেহপি ব গুন সদৃশত্বং বর্ণসাম্যম্। রমস্তাযুগত: প্রকৃষ্টো দ্যাসোহছু প্ৰাসঃ। (কাব্য প্র০) বর্ণের সমতাকে অসুপ্রাস কহে । স্বরের সমতা না থাকিলেও যদি কেবল ব্যঞ্জন বর্ণেরই সমতা থাকে, তাহ। হইলেই সমান বর্ণ বলা যায় । বাক্যের রসাদি জনক বর্ণবিদ্যাসের নাম অনুপ্রাস । অনুপ্রাস কাব্যের একটী অলঙ্কার । এই অলঙ্কার ভাব লইয়া নহে, ইহা বৰ্ণও শস্ব লইয়। কাজেই অমুপ্রাস, রচনার উপরের শোভা, ইহাতে ভিতরের ততট। গুণ নাই । যে সময়ে মামুযের সহৃদয়ত অক্ষুণ্ণ থাকে, তথন কবির। অনুপ্রাস খুজিয়া বেড়ান না, অনুপ্রাস তাহাদিগকে ভাল ও লাগে না । তাহার হৃদয়ের চিত্র আঁকিয়া লোককে সুখী করেন। সে জন্ত বাঙ্গালার আদি কবি বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস এবং মুকুন্দরামের কবিতার ভিতর অনুপ্রাসের ছড়াছড়ি নাই। কালিদাসের শকুন্তলা সরল কথায় লেখা। শকুন্তলা তপস্বিকস্তা, বনের ভিতর থাকেন। তিনি পট্টবস্ত্রের উপর মণিমুক্ত দিয়া, ঝল মল করিতে করিতে দুয়্যস্তের সঙ্গে দেখা করেন নাই । সমাজ নিস্তেজ হইলে মামুযের সহৃদয়তা কমিয়। আসে, তখন কবিদের দৃষ্টি শব্দের দিকেই পড়ে। ঈশ্বর গুপ্ত গদ্য লিখিতে বসিয়াও, 'দুলিছে, ‘ফুলিছে, ‘জলিছে, এই রূপ এক ছত্রের ভিতর দুই লক্ষ অনুপ্রাস ব্যবহার করিতেন। বাণভট্টের সমর লোকের তাদৃশ সহৃদয়ত ছিল না, তজ্জন্ত তিনি কাদম্বরীর আগাগোড়ায় কেবল অনুপ্রাস ছড়াইয়াছেন, সে কারণ কাদম্বর পড়িতে অতিশয় বিরক্তি জন্মে। টোলের অধ্যাপকেরাও অনুপ্রাস বা যমক বড় ভাল বাসেন। নিয়নে নয়নে, “পলাশ পলাশ' এই রূপ দুটা ষোড়াগাথা কথা শুনিতে পাইলে তাছাদের চকু ফুটিয়া জল পড়ে। সকল কাজেরই বাড়াবাড়ি দোষ। পরিমিত কাজ
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।