ज्रट्सुझेि অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়ে যমের কুকুর দুইটকে প্রেতাস্মার কাছে দিবার নিমিত্ত প্রার্থনা করিতেন । (১) । যুধিষ্ঠির সশরীরে স্বর্গে গিয়াছিলেন। একটা কুকুর তাহায় আগে আগে গিয়া স্বর্গের পথ দেখাইয়া দিয়াছিল। প্রাচীন গ্রিকরাও এই রূপ বিশ্বাস করিতেন যে, প্রেতলোকের দ্বারে কার্কেরস নামে একটা কুকুর আছে। উহার তিনট মাথা এবং সর্পের কেশর ও সর্পের লাঙ্গুল । কার্ক্সেরস দিবারাত্র স্বর্ণেব দ্বার চোকী দিতেছে। প্রেতাত্মার তাহাকে মধুর পিঠা খাষ্টতে দিলে তবে । সে স্বর্গের পথ ছাড়িয়া দেয় । কুকুর প্রেতলোকের পথ দেখাইতে পারে, এ রূপ বিশ্বাস করিবার কায়ণ কি, তাহ ঠিক বুঝিয় উঠ৷ কঠিন। কিন্তু এটা মানুষের অসভ্যাবস্থার ধারণা তাহ। ঠিক বুঝিতে পারা যাইতেছে । বনবাসীরা মৃগয়া করিয়া জীবিক নির্বাহ করে। শিকারীদের সঙ্গে কুকুর থাকে। কুকুর তাহদের সঙ্গের সহচর, মৃগয়ার সহায়, বিপত্তিকালের রক্ষণ কর্তা । সাওতাল, ধাঙ্গড় এবং অসভ্য পাহাড়ী লোকেরা আপন আপন কাজে যায় ; তাহদের কুকুর, বাটা ও দুগ্ধপোষ্য শিশুকে রক্ষা করে। সুতরাং এই সকল দেখিয়া অজ্ঞ লোকের মনে ধারণা হইয়৷ থাকিবে যে, কুকুর এ সংসারে মানুষের বিস্তর কাজে লাগিতেছে, তবে পরকালেও অবহু কোন উপকারে আসিতে পারে। প্রেতপুরে খাইবার জন্ত মৃতদেহের সঙ্গে কেহ চাউল দেয়, কেহ মদ ও সন্তান্ত খাদ্য সামগ্ৰী দেয় ; আমরা পিণ্ডদান করি ; অসভ্য লোকেরাও তদ্রুপ প্রেতলোকের পথ চিনাইয়া দিবে বলিয়া সঙ্গে কুকুর দেয়। আর্য্যের যখন অসভ্য ছিলেন, সে সময়ে তাহারাও গারোদের মত বিশ্বাস করিতেন যে, কুকুর প্রেতপুরের পথ দেখাইয়া দিতে পারে। পরে সেই সংস্কার বংশপর স্পরায় বৈদিক কাল পর্য্যন্ত চলিয়া আসিয়াছিল। মানুষ মারলে ভূত হয়। কাজেই ভূতের শাস্তির নিমিত্ত অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার বিস্তর অঙ্গ বাড়িয়া গিয়াছে। পূর্বকালের মিশরবাসীর মৃতদেহকে পুনঃ পুনঃ ঘুরাইয়। .سي سس-اب۔--سس-محـم مصاسمب-سسم--سس۔--مم--سمبصمم۔ (১) যে তে খানে যম রক্ষিতারে চতুরক্ষে পাথরক্ষী চক্ষস । তাভ্যাং রাজন পরিদেহ্যেনং স্বস্তি চান্ম অনর্মীবঞ্চ ধেহি। তৈত্তিরীয় অরণ্যক ৬ ৷ ১ ৷ হে যমরাজ! চারিচক্ষু বিশিষ্ট তোমার যে দুইটা কুকুর আছে, { ৩২৩ ] যাহার পথ ও তোমার গৃহ চৌকী দেয় এবং যাহাদের হইতে মধুবোৱা দূরে থাকিতে ইচ্ছা করে, তাহাদিগকে এই প্রেতের কাছে দাও। এবং তাছাদিগকে দিয়া এই প্রেতকে ইণে ও নীরোগে স্নাথ । 3ar sa a a অস্ত্যেষ্টি বাটার বাহির করিত। কারণ, মৃতদেহ ঘুরাইলে প্ৰেতটারও মাথা ঘুরিয়া উঠে, কাজেই সে পথ চিনিয়া বাটীতে ফিরিয়া আসিতে পারে না । ব্রহ্মদেশের করেন জাতির মৃতব্যক্তির প্রেতাত্মাকে অতিশয় ভয় করে। সৎকারের পূৰ্ব্বে তাহারা মসাল কিম্বা বাতি জালিয় লয়। পরে, সেই জলস্ত বাতি পরিবর্তন করিতে করিতে মৃতদেহকে বেড়িয়া উল্টা দিকে প্রদক্ষিণ করে। শেষে প্রেতাত্মাকে বলে,—“তুমি বাট হইতে যাও, আমাদের অনিষ্ট করিও না’ । কিন্তু ইহাতেও ভূতের আশঙ্কা একেবারে দূর হয় না। তাই, কোন গ্রামের ভিতরে মানুষ মরিলে তাহারা সেই গ্রামখানি পোড়াইয়া ফেলে। হাম এবং গ্রিন্লাওবাসীদের বিশ্বাস এই, মৃতদেহকে যে পথ দিয়া বাটার বাহির করা যায়, তাহার প্রেতাত্মা সেই পথ দিয়া পুনৰ্ব্বার বাটতে প্রবেশ করে। তজন্ত শুামবাসীর বাট হইতে শব বাহির করিবার সময়ে প্রাচীর ভাঙ্গিয়া একটা নুতন দ্বার করিয়া লয়, পরে সেই দ্বার আবার গাথিয়া দেয়। গ্রিনলাওবাসীরা জানাল দিয়া শব বাহির করে। সাইবিরিয়ার লোকে মৃতদেহ বাটার বাহির করিবার সময়ে তাহাতে গরম চিল চুড়িয়া মারে। অষ্ট্রেলিয়াবাসীর মৃতদেহের নখ তুলিয়া ফেলিয়া হাত পা বাধিয়া দেয়। কাজেই, প্রেতা আটা আর মাট আঁচড়াইয়। বুকে স্থাটিতে স্থাটিতে বাটী আসিতে পারে না । পূৰ্ব্বকালে কোন কোন দেশের লোক মৃতদেহ পোড়াইত না, পুতিয়াও ফেলিত না ; কামাস্কাডেলরা মৃতশরীর কুকুরকে থাইতে দেয়, কিন্তু প্রাচীন শকদের মধ্যে কোন কোন সম্প্রদায় মৃতদেহ আপনারাই থাইয়া ফেলিত। সে কালে দেহোমী প্রদেশেও এই কুৎসিত আচার চলিত ছিল। কাহারও মৃত্যু হইলে কুলপুরোহিত আসির তাহার মাংস পোড়াইয়া থাইতেন। পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষের দক্ষিণ অঞ্চলের কোন কোন অসভ্য জাতির আত্মীয় স্বজন মরিলে তাহার মাংস পোড়াইয়। ভক্তিপূর্বক ভোজন করিত। মহাভারতে দেখা যায়, পাণ্ডবেরা আপনাদের অস্ত্রশস্ত্র কাপড়ে জড়াইয় একটা শমী গাছে ঝুলাইয়া রাখিয়াছিলেন। রাখিয় তাহারা সকলের কাছে এই রূপ রটনা করিয়া দিলেন যে, শমীবৃক্ষের উপরে শব বাধা থাকিল । তাই লোকে জানিত, গাছে শব স্কুলান আছে, তজ্জন্ত ধনুৰ্বাণাদি কেহ চুরি করে নাই। বোৰ
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।