অন্ত্যেষ্টি বাহির করিত। তৃতীয় সম্প্রদায়ের লোক নাকের ভিতর দিয়া বক্র লোহার শলা পুরিয়া মস্তিষ্ক বাহির করিয়া আনিত। শেষে পিচকারীর ভিতরে তালের তাড়ী পূরিয়া উদয়, বক্ষঃস্থল এবং মস্তক পুনঃ পুনঃ ধুইয়া ফেলিলে কোথাও আর গলিত দ্রব্য পড়িয়া থাকিত না । তাহার পরপেটের মধ্যে হিরাবোল প্রভৃতি মসলা পূরিয়া উপরের চৰ্ম্ম সেলাই করা হইলে, অন্ত কারিকরের কাছে সেই দেহ পাঠাইতে হইত। মৃতদেহ কাটিতে নাই, তাহতে আঘাতও করিতে নাই, তজ্জন্ত এই সকল প্রক্রিয়। সমাপ্ত হইয়া গেলে মৃত ব্যক্তির বন্ধুবান্ধবেরা কপট রাগ দেখাইয়া মুর্দারফরাসদিগকে ঢ়িল ছুড়িয়া মারিত। অন্ত্র মস্তিষ্ক প্রভৃতি পরিষ্কার করিতে প্রায় ১৬। ১৭ দিন লাগিত। তাহার পর ক্ষর কৰ্ম্ম । এই কাজ অন্ত এক সম্প্রদায়ের হাতে ছিল। কারিকরেরা ক্ষার জলে ১৯। ২০ দিন মৃতদেহ ভিজাইয়া রাখিত। মিশরের অনেক মৃতদেহের মাংস নিটোল দেখা যায়। তাহার কারণ এই, কারিকরের নানা প্রকার ঔষধ পিচকারীদ্বারা শিরার ভিতরে পুরিয়া দিত, তাই কোন স্থান চুপ্সিয়া যাইত না। এই সকল প্রক্রিয়া শেষ হইয়া গেলে নিম্নশ্রেণীর এক সম্প্রদায় পুরোহিত সেই শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে কাপড় জড়াইয়া দিতেন। মিশরেব রক্ষিত মৃতদেহকে মর্মী কহে। এখানে দুইট মমীর চিত্র দেওয়া গেল। মিশরের এক একটী মৃতদেহ হইতে ৪ ইঞ্চ চৌড় এবং ২৫০০ হাত লম্ব কাপড় বাহির হইয়াছে। কথিত আছে, মরিয়া গেলে মৃতদেহে জড়াইবার নিমিত্ত্ব কাপড় লাগিবে বলিয়া সকল লোকেই জীবদ্দশায় আপন মাপন জীর্ণ বস্ত্র সঞ্চয় করিয়া রাখিতেন। হিরো [ ৩২৬ ] অস্ত্যেষ্টি ডোটস্ লিখিয়াছেন যে, মৃত শরীরে মসলা পুরিতে এবং বস্ত্র দিয়া জড়াইতে প্রায় ৩৪ ৷৷ ৩৫ দিন লাগিত। অতএব ৭০ ৷ ৭২ দিনের কমে কোন শরীর প্রস্তুত করা হইত না । দ্বিতীয় উপায় অপেক্ষাকৃত সহজ ও সুলভ। ইহাতে ২৪৩০ টাকার অধিক ব্যয় পড়িত মা ! কারিকরের পেটের ভিতরে মসলা না দিয়া কেবল আলকাতরায় পরিপূর্ণ করিত। তাহার পর ক্ষার জলে ভিজাইয়া রাখিলে ভিতরের সমস্ত গলিত পদার্থ আপনি বাহির হইয়া যাইত । দরিদ্র লোকের অর্থ নাই। কাজেই নির্ধন ব্যক্তির শরীরের নাড়ীভূড়ী প্রভৃতি পরিষ্কার করিয়া তাহা ক্ষার জলে ডুবাইয়া রাখা হইত। তাহার পর সর্বাঙ্গে কাপড় জড়াইয়া দিলে আর তাহা নষ্ট হইয়! যাইত না । এই রূপে মৃতদেহ প্রস্তুত করা হইলে পুরোহিতেরা তাহা সিন্ধুকের ভিতরে রাথিয় গোর দিতেন। ইথিওপিয়া, পারস্ত, কেনারীদ্বীপ, আসিরিয়া, আমেরিক প্রভৃতি অনেক দেশে মৃতদেহ রক্ষা করার প্রথা চলিত ছিল। কিন্তু মিশরের মত এত আড়ম্বর আর কোথাও দেখা যায় না। পারস্তের লোকের কেবল মোম দিয়া মৃতদেহ রক্ষা করিতেন। আসিরিয়ার লোকে মধু দিয়া রাথিতেন, তাহাতে মৃত শরীর পচিয়া যাইত না । আলেক্জান্দারের মৃত্যুর পর তাহার শরীর মধু ও মোম দিয়া রক্ষা করা হইয়াছিল। এখনও অধিক দূরে মৃতদেহ লইয়া যাইতে হইলে নানা প্রকার মসলা দিয়া তাহ রক্ষা করিতে হয়। অন্দামানদ্বীপে শের-আলী, লর্ড মেওর প্রাণবধ করিলে তাহার শরীর অধিক দিন রাখিবার জন্য চিকিৎসকেরা তাহা, বায়ীতৈল, মোম, স্বরা, কপূর, সিনেবার, সোরা প্রভৃতি অনেক দ্রব্যে ডুবাইয়া রাখিয়াছিলেন। সে কালে ভারতবর্ষে সাগ্নিক ব্রাহ্মণদের যে রূপ অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার প্রথা ছিল, এখন আর তাহার কিছুই নাই। বৈদিক সময়ে গঙ্গাযাত্রা ছিল না, কেহ আপনার গৃহ ছাড়িয়া স্থানান্তরে মরিতে যাইতেন না। পরিবার ও আত্মীয়বর্গে বেষ্টিত হইয়া সকলেই আপন আপন বাটতে প্রাণত্যাগ করিতেন। মৃত্যুর পরেই প্রথমে একট হোম করা হইত। বৌধায়ন ব্যবস্থা করিয়াছেন যে, মৃতব্যক্তির দক্ষিণহস্ত স্পর্শ করিয়া গার্হপত্য অগ্নিতে झाङ्गिदाग्न आश्ऊि लिएरु। किस्त्र उग्नद्वाछ, आश्रुनैौग्न
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।