অন্ত্যেষ্টি [ ৩২৯ ] অন্ত্যেষ্টি ব্যক্তির পুত্র প্রভৃতি স্ববর্ণ অথবা ধনুকাদি তুলিয়া লইতেন । অস্তোষ্টি ক্রিয়া উপলক্ষে (১১) ইমা নারীরবিধবা? ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করার পর সধবা স্ত্রীলোকের অঞ্জন পরিয়া সকলের অগ্রে গুহে প্রবেশ করিতেন। কিন্তু কোন সময়ের ক্রিয়ায় এই মন্ত্রের প্রয়োগ করা হইত, সে বিষয়ে অনেক মতান্তর দেখা যায়। ত্রিভূত এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রভৃতি স্থানে যে সকল অগ্নিতোত্রী (১১) ঋক্ এবং যজুর্বেদে এই মন্ত্রের একটু পাঠান্তর আছে। সায়নাচাৰ্য্যও উভয়ের টীকায় একটু একটু প্রভেদ করিয়াছেন। তদ্ভিন্ন বাঙ্গালার রঘুনন্দন ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য পণ্ডিতগণ ঐ বেদ মন্ত্রের ঠিক অর্থ বুঝিতে না পারিয়া পাঠেরও বিস্তর গোল করিয়াছেন। মুদ্রিত পুস্তকে ঋগ্বেদের পাঠ যথা— ইমা নারীরবিধবাঃ সুপত্নীরাঞ্চনেন সর্পিষা সংবিশস্তু। অনশ্রবে। হমমীবাঃ স্বরত্নারোহন্তু জনয়ে যোনিমগ্রে। কলিকাতার আসিয়াটিক সোসাইটার কোন কোন হস্ত লিখিত পুস্তকে, সংবিশ্বস্তু ইহার স্থানে সন্ম শঙাম্, এবং ‘স্বরত্না ইহার স্থানে 'স্বশেবা এই রূপ পাঠান্তর আছে। ডাক্তার ঐযুক্ত রাজেন্দ্রলাল মিত্ৰ মহোদয়ও কোন কোন হস্ত লিখিত পুস্তকে এই রূপ পাঠান্তর দেখিয়াছেন। আবার,কয়েকখানি হস্ত লিখিত যজুর্বোদ ঠিক এই রূপ পাঠ দেখা যায় । ইমা নারীরবিধবা স্বপত্নীরাঞ্চনেন সর্পিষা সম্মশস্তাম। অনশ্রবোইনমীবাঃ স্বশেবা আরোহন্তু জনয়ে যোনিমগ্রে। প্রথম যে পাঠটা উদ্ধৃত করা হইয়াছে তাহার ভাষা অনুমরণ শব্দে দেখ।সায়নাচায্য যজুর্বেদে ঐ মস্ত্রের এইরূপ টকা করিয়াছেন,— ইমা নারী—এতান্ত্রিয়, এই সকল স্ত্রীলোক। অবিধবাঃবৈধবারহিতা, বৈধবাশুন্য। ‘স্বপত্নী’-শোভনপাতযুক্তা: সত্য, উত্তমপতিযুক্ত হইয়। আঞ্জনেন’-অঞ্জনহেতুন, অল্পনের নিমিত্ত। সর্পিষ-ত্বতদ্বারা। সম্মশন্তা-চক্ষুী সংস্পৃশস্তু, চকু লিপ্ত করুন। ‘অনশ্রব?—অশ্রুরহিতা, চক্ষুর জল শূন্য। 'অনর্মীবাঃ'-রোগ রহিতা: রোগরহিতা । ‘স্বশেবা”-য় সেবিতুং যোগাং, উত্তম রূপে সেবা করিবার যোগ্য। 'ঞ্জনয়?--জয়, জায়। 'অগ্রে'-ইতঃ পরং, ইহার পরে । যোনিং—স্বস্থানং, স্বস্থান । আরোহস্তুপ্রাপ্ল বস্তু, প্রাপ্ত ইউন। . রঘুনন্দন ভট্টাচার্য ভুল ক্ৰমে যে মন্ত্রগ্রহণ করিছিলেন তাহা এই ইমা নারীরবিধবাঃ সপত্নীরাঞ্জনেন সর্পিষা সংবিশত্ত্ব। অনস্বরোহনীর স্বরত্ব আরোহন্তু জলযোনিময়ে। আবার, এই মন্ত্রটা সহমরণের অনুকূলে হইবে বলিয়া এ দেশের পণ্ডিতগণ কোলক্রক্ সাহেবকে যে পাঠ লিখিয়া দিয়াছিলেন, তাহা আরও অদ্ভুত। যথা— - ইমা নারীরবিধবা স্বপত্নীরঞ্জনেন সপিৰ সংবিশত্ত্ব বিভাবস্থং। वनमाद्रिांनां नौद्राः श्ब्रछ्i अitब्रांश्ङ् स्रश:णांबिभरध्रं । ব্রাহ্মণ আছেন, তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে, চিতা হইতে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী উঠিয়া আসিলে এই সকল: সধবা নারী তাহাকে সঙ্গে করিয়া বাটতে আনিতেন । বৌধায়ন লিখিয়াছেন,—“স্ত্রণাম অঞ্জলিয়ু সম্পাতানবনয়তীমানারীতি’—ঞ্জীলোকদের হাতে সম্পাত দিবার নিমিত্ত ‘ইমা নারী ইত্যাদি মন্ত্র প্রযুক্ত হয়। আবার আশ্বলায়নে লিথিত আছে যে,—‘ইমা নারীরবিধবাঃ সুপত্নীরিত্যঞ্জামা ঈক্ষেত’ –ষ্ট্রীলোকেরা যখন কক্ষল পরিবেন, মৃত ব্যক্তির পুত্রাদি সেই সময়ে তাহাদের পানে চাহিয়া ‘ইমা নারী’ ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিবেন। স্থল কথা এই মন্ত্র সহমরণের নয়। কিন্তু সময়ভেদে এবং বেদের শাখাভেদে উহ নানা প্রকারে প্রযুক্ত হইয়াছিল। অনেকে স্বীকার করেন যে, অশৌচান্তের দিন ক্ষৌরকৰ্ম্মের পর স্ত্রীলোকেরা স্নানাদি করিয়া কজল পরিতেন, সেই সময়ে ঐ মন্ত্র পাঠ করা হইত। অন্তোষ্টির সমস্ত আয়োজন হইলে চিতায় অগ্নিকর্তা অগ্নি সমর্পণ করিতেন। তাহাকে এই রূপ মন্ত্র পাঠ (১২) করিতে হইত। ‘হে অগ্নি ! ইহাকে একেবারে দগ্ধ করিয়া ফেলিও না । ইহাকে কষ্ট দিও না, কিম্বা ইহার ত্বক ও শরীর বিক্ষিপ্ত করিও না। হে জাতবেদস! ইহার শরীর পক হইয়া গেলে পিতৃলোকের কাছে ইহার আত্মা লইয়া যাও’ । ‘হে প্রেত! তোমার চক্ষু স্বর্ঘ্যে প্রবেশ করুক ; বায়ুতে তোমার আত্মা যাউক ; তুমি আপনার ধৰ্ম্মামুসারে পৃথবীতে, ছালোকে, অথবা জলে, যেখানে তোমার হিত হয় সেইখানে যাও ; সেইখানে ভূমি ওষধি (শস্তাদি ) লাভ করির শরীরী হইয়া থাক । আর্য্যের প্রথমে মৃতদেহকে গোর দিতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই । পরে তাহারা দেখিলেন যে, অগ্নিই সকলের প্রধান উপাস্ত দেবতা ; অতএব প্রাণাস্তে অগ্নিতে দেহ সমৰ্পণ করিলে এই পঞ্চভূতাত্মক শরীর শীঘ্রই পঞ্চভূতে মিশিতে পারে। উপরের উদ্ধত মন্ত্র তাহার একটা প্রমাণ । অস্থি সমাহিত করিবার সময়েও যে মন্ত্র পাঠ করিতে হইত, তাহাতেও স্পষ্ট বুঝা যায় (१२) tभनभcधं विलप्श यांशठिप्*ांt5 भांश्छ इक६ किक्रिएशृ! भी শরীরম, যা শূতং করবো জাতবেদোংথেমেনং প্রহিণুতাৎ পিতৃতাঃ। সূৰ্য্যং তে চক্ষুর্গচ্ছতু বাতমাত্মা দ্ব্যাঞ্চ গচ্ছ পৃথিবীক ধৰ্শন। জাপা या १छ् पनि उज cठ शिठरभांबविषू थठिठि* “ಗಿಟ್ಟ! [w७] o,
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।