अज्ञ। দেশের লোক মধু ও মোম দিয়া মৃত শরীর রক্ষা করিতেন। বোধ হয় হিন্দুরাও সেই কৌশল জ্ঞাত ছিলেন, তাই অস্থি রক্ষা করিধার নিমিত্ত কুম্ভের ভিতরে মধু ও সৰ্ব্বৌষধি দিতেন। অন্ত্যেষ্টির অন্যান্ত বিবরণ অনুমরণ, অমুমূত, অশৌচান্ত, কবর, শবদাহ এবং সহমরণ শব্দে দেখ ] । অন্ত্র ( ক্লী) অস্ত্যঙ্গে দেহে বধ্যতেহুনেন অতি বন্ধনে-করণে ষ্ট্রন । অথবা, অমাতে দুষ্টবাতাদিন শস্বায়তে রোগ উৎপদ্যতে ইতি বা অমি করণে ক্রু ঔণাদিক: । * । অমি-চি-মিদি-শসিভ্য: ক্রু । উপ্ ৪ । ১৬৩। পেটের নাড়ী। ‘নাড়ীভূড়ী বলিলে, সমস্ত পাকস্থলী এবং অন্ত্রকে বুঝায়। অন্ত্র শব্দের অপভ্রংশে “অতি । “অতিমরা’, ‘অর্ণতপোড়া’, ‘অীতে ঘা’, ‘অীতে করতাল’ বাঙ্গালার চলিত কথায় এই রূপ সমস্তপদ সৰ্ব্বদা ব্যবহৃত হইয়া থাকে । ‘অর্ণতমর’—অর্থাৎ যে প্রচুর পরিমাণে ভোজন করিতে পায় না, সে কারণ পেট মরিয়া গিয়াছে, আর অধিক থাইতে পারে না । ‘অ তপোড়া’-যে সময়ে থাইতে পায় না, তজ্জন্ত ক্ষুধা সহ করিয়া পিত্তাদিতে পেট পুড়িয়া গিয়াছে, আর ক্ষুধার উদ্রেক হয় না। ‘অর্ণতে ঘা’—অন্ত্র দেহের একট মৰ্ম্মস্থান স্বরূপ। সেই মৰ্ম্মস্থানে আঘাত লাগা। অাতে করতাল’—বাজাইবার কয়তাল যেমন পাতলা, ক্ষুধায় উদর তক্রপ পাতলা হইয়া গিয়াছে। মানুষের অন্ত্র, উদরের দক্ষিণ দিকে পাকস্থলীর দক্ষিণ মুখ হইতে আরম্ভ হষ্টয়া শেষে অনেক ফিরিয়া ঘুরিয়া মলদ্বার পর্য্যস্ত বিস্তৃত হইয়া আসিয়াছে। বৈদ্য শাস্ত্রের মতে, পুরুষের অন্ত্র সাড়ে তিন ব্যাম এবং স্ত্রী লোকের অন্ত্র তিন ব্যাম দীর্ঘ। এটা ভুল। মানুষের অস্ত্র আপন আপন হাতের ষোল হাত লম্বা । এক এক ব্যামে সাড়ে তিন হাত হয়। অতএব সাড়ে তিন ব্যামে ১২ হাতের কিছু উপর। কাজেই ঠিক হিসাবে প্রায় চারি হাত ভুল হইতেছে। গড় হিসাবে, মামুষের অন্ত্র শরীরের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বড়। আমরা যে সকল দ্রব্য থাই, তাহ অন্ননালী (eেs০phagus ) দিয়া পাকস্থলীর ভিতরে আসিয়া পড়ে। মানুষের পাকস্থলী দেখিতে প্রায় ভিস্তির মত। কিঞ্চিৎ বামপাশের উপর দিকে উহার একটা মুখ আছে, তাহার नाश झन्द्याब्र (cardiac orifice) । “हे भूथ निग्रा ड्रख् দ্রব্য পাকস্থলীর মধ্যে প্রবেশ করে। পেটের দক্ষিণ [ ৩৩১ ] आकू দিকে উহার আর একটা মুখ আছে, তাহার নাম অধোস্বার ( pylorus ) । এই অধোদ্বার হইতে অস্ত্র আরম্ভ হইয়াছে। পাকস্থলীর ভিতর আময়সে ভুক্ত দ্রব্য কিছু কিছু পরিপাক হইলে তাহী ক্রমে অস্ত্রের মধ্যে আসিয়া পড়ে। মানুষের পাকস্থলীর মধ্যে একটী বৈ গহয় নাট। কিন্তু গোরু, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি যে সকল জন্তু জাবর কাটে, তাছাদের পাকস্থলীতে চারিট করিয়া গহবর। উদ্ভিজ্জর্জীবী পশুর কঠিন দ্রব্য খায়, কাজেই রোমন্থ না করিলে তৃণাদি ভাল রূপ পরিপাক হয় না, তক্ষন্ত বিধাতা তাহাদের পাকস্থলীতে অনেকগুলি প্রকোষ্ঠ করিয়া দিয়াছেম । ইহার বিবরণ পরে লেখা যাইতেছে। অস্ত্র ঠিক নলের মত। শ্নৈগ্নিক, সিরস্ এবং পেশীর । আবরণ দিয়া অস্ত্র গঠিত, তাই দেথিতে শ্বেতবর্ণ। অন্থের উপরে একখানি শাদা পাতলা আবরণ ঢাকা আছে, তাহার নাম অস্ত্রাবরক ঝিল্লি (peritoneum ) । চিকিৎসকের কাজের সুবিধার নিমিত্ত প্রথমে সমস্ত অস্ত্রকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। তন্মধ্যে এক ভাগের নাম ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং অপর ভাগের নাম বৃহদা । মনুষ্য এবং গো মেষ প্রভৃতি উদ্ভিজ্জজীবী প্রাণীদের ক্ষুদ্রাঙ্গের চেয়ে বৃহদস্ত্র কিছু অধিক মোটা, এবং উহার ভিতরের ফাকও অপেক্ষাকৃত বড়। কিন্তু সিংহ ব্যাঘ্র প্রভৃতি মাংসাশী জন্তুর অস্ত্র প্রায় আগাগোড়া সমান । ক্ষুদ্রাস্ত্র-ক্ষুদ্রাস্ত্র প্রায় ২০ ফিট লম্বা। পাকস্থলীর দক্ষিণ দিক হইতে আরম্ভ হইয়া অনেক ফিরিয়া ঘুরিয়া দক্ষিণ কক্ষের নিম্নে ইহা শেষ হইয়াছে। কাজের সুবিধার নিমিত্ত ইহাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে। তন্মধ্যে পাকস্থলীর কাছে যে অংশ আছে, তাহার নাম দ্বাদশাঙ্গুল্যন্ত্র (duodenum), মধ্যস্থলে যে অংশ আছে, তাহার নাম শূন্তান্ত্র (Jejunum ); এবং দক্ষিণ কক্ষের কাছে যে অংশ আসিরা বৃহদন্ত্রের সঙ্গে মিশিয়াছে, তাহার নাম জড়িতান্ত্র ( ileum ) । এই তিনটা অংশ স্পষ্ট করিয়া চিনিয়া দিবার স্বাভাবিক কোন চিহ্ন নাই। দ্বাদশাহুল্যন্ত্র, পাকস্থলীর দক্ষিণ দিক হইতে ক্রমে বাম দিকে অল্প বক্র হইয়া আসিয়াছে। ইহা প্রায় বার . अछूलि (४ । २० हेक्ष्) शश, उtई ईशद्र नाम शनशाস্কুল্যন্ত্র। এই অন্ত্রের বক্র প্রদেশের মধ্যস্থলে পিত্ত ও প্যাংক্রিয়েটিক রস নিস্থত হইয় পড়িতেছে। ক্ষুদ্রান্ত্রের বাকি অংশের মধ্যে ৯২ ইঞ্চ পুস্তান্ত্র এবং অবশিষ্ট ১৩৮ হষ্ণ জড়িতান্ত্র ।
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।