পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকবর [*२ ] আকবর সেই সঙ্গীত-নিকুঞ্জের পিকবর, আকবর সভার গন্ধৰ্ব্ব বিশেষ ছিলেন । মলবরের বাজবাহাদুর তখনকার অদ্বিতীয় গায়ক । তদ্ভিন্ন আরও বিস্তর গায়ক ও গায়িকা আকবরের সভায় গান করিতেন। উস্তা ফুসফ, সুলতান হাশিম্, উস্তা মহ্মদ আমিন এবং উস্তা মহ্মা হুসেন তানপুরা বাজাইতেন । গোয়ালিয়রের বীরমওলখ স্বরমণ্ডল বাজাইতেন ; শিহাব খ এবং পুর্কিন খাঁ বীন ও শেখ দাওয়ান ধারী করণ বাজাইতেন। উস্ত। দোস্ত নাই বাজাইতেন ; ঘিচক বাজাইতেন মির সৈদ আলী ও বহরম কুলী। টাস বেগ কুবজ বাজাইতেন, কোয়াসিম রুবাব বাজাইতেন এবং উস্তা শা-মহ্মদ সূর্ণ বাজাইতেন । আবুল ফজলের ভ্রাতা ফৈজি সম্রাটের সভায় সৰ্ব্বপ্রধান কবি ছিলেন । তিনি ব্রাহ্মণবেশে কাশীতে সংস্কৃতশাস্ত্র শিক্ষা করিয়া বিশেষ পাণ্ডিত্য লাভ করেন । আকবরের ধৰ্ম্মানুষ্ঠান অনেকটা অসাধারণ স্বৰ্য্য মেষ রাশিস্থ হইলে, উনবিংশ দিবসে তিনি সৌরাগ্নি আহরণ করাইতেন। তাহার প্রণালী এই,-বেলা দুইপ্রহরের সময় অনুচরেরা রৌদ্রে সুৰ্য্যকাস্তমণি (আতলী পাথর) ধরিয়া ভূল জালিয়া লইত। সম্বৎসরকাল অ্যাধানে সেই আগুন রক্ষা করিবার জন্য কতকগুলি বিশ্বাসী লোক নিযুক্ত ছিল। সম্রাটের নিমিত্ত রন্ধনাদি সমস্ত কার্য সেই অগ্নিতে সম্পন্ন করা হইত। পৌর্ণমালীতে তিনি জ্যোৎস্নায় চন্দ্রকান্তমণিদ্বারা সুধাহরণ করাইতেন। সেই সোমোৎস নিস্থত অমৃতকণা নিৰ্ম্মল শিশিরবিন্দুর মত। রাত্রিকালে তাহার ঘরের মধ্যে ৩৬ ছত্রিশট আলো জলিত। তন্মধ্যে বারটা শ্বেত আলো ; বারটী দ্বীপদান রূপার, বারট সোনার। এক একটা সুবর্ণ দীপদান ওজনে দশ মনেরও অধিক ছিল। তাহাতে ছয় হাত লম্বা মোমের বার্তী লাগান থাকিত । শুক্লপক্ষের প্রতিপদ, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পৰ্য্যন্ত অতিরিক্ত একটা পিল স্বজে আটটা পলিতা জালা হইত। চতুৰ্থতে সাতটা, ষষ্ঠীতে ছয়ট । এই রূপে প্রত্যহ এক একটী কমাইয়া দশমীতে কেবল একটা পলিতা প্রজ্বলিত থাকিত । তাছার পর পৌর্ণমালীর শেষ। আবার কৃষ্ণপ্রতিপদে ५रुप्रैौ, त्रिलैौब्राङ्ग शहेन्नै, फूडीौग्रांग्र उिनी, फफूषैरङ চারিট। পঞ্চমীতে আর অতিরিক্ত নহে। ষষ্ঠীতে একটা স্বাধিক। সপ্তমীতে আর একট। এই রূপ উপৰ্য্যপরি দুই দিন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হইত, এক দিন বন্ধ থাকিত। প্রত্যেক পলিতায় একসের তৈল ও একসের ভূলর বরাদ ছিল। সম্রাট পঙ্ক চমান সমান জ্ঞান করিতেন। জগতের কিছুই অপবিত্র নয় ; কুকুর এবং শূকরকেও তিনি অপবিত্র বলিয়া জানিতেন না। তিনি সাধ্যানুসারে স্ত্রীলোকদের জাতিকুল রক্ষা করিতেন, কিন্তু সতীদাহ করিতে কাহাকেও প্রশ্রয় দিতেন না। আকবর নিজে অল্প অল্প মদ্য পান করিতেন এবং তাহার সভাসদগণকেও মদ্য পান করিতে বলিতেন। তিনি কাহাকেও দাড়ী রাখিতে দিতেন না। মুসলমানদের ত্বকৃছেদ প্রথাও রহিত করিয়৷ দিয়াছিলেন । অকবর বাদশ দেখিতে অতি স্বপুরুষ ছিলেন। তাহার * ছেষী বৎসরের কিছু অধিক বয়ঃক্রম হইয়াছিল, তথাপি র্তাহাকে বৃদ্ধ বলিয়া বোধ হইত না। কেবল পঙ্ক কেশের জন্য র্তাহাকে বৃদ্ধের মত দেখাইত । গোয়ার পাদ্রির র্তাহার সভায় আসিরা দেখেন সম্রাট্র দ্বিতীয় সূর্য্যের ন্যায় তেজঃপুঞ্জ । তাহার মুখমণ্ডলে বুদ্ধি ও অমায়িকতা স্পষ্ট প্রকাশ পাইতেছে । পাদ্রিরা আশা করিয়াছিলেন যে, পাদশ খৃষ্টান হইবেন; কিন্তু তাহাদের সে আশা পূর্ণ श्ध्न नांद्दे । ১৬০৬ খৃঃ অব্দে সুলতান দানিয়ালের বিবাহ মহাসমারোহে সম্পন্ন হয় । অল্প দিন পরেই দানিয়াল সুরাপান করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। তাহার শোকে অকবর মরমাস্তিক বেদন পাইয়াছিলেন। একে ত পূৰ্ব্ব হইতেই তাহার শরীর অতিশয় ভগ্ন হইয়াছিল, তাহার পর এই নিদারুণ মনস্তাপ। তিনি দিন দিন জীর্ণ হইয়া ১৬৯৭ খৃঃ অব্দে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। সম্রাটের কবর অদ্যপি আগ্রার নিকট ফতেপুর শিকড়িতে বিদ্যমান রহিয়াছে। অসাধারণ ব্যক্তি হইলেই লোকে উশহর পক্ষপাতী ও স্তাবক হইয়া পড়ে। কথা প্রসঙ্গে তাহার নাম উঠিলে । আকবর । সকলে দশটা গল্প করিয়া দেয়। গল্পের মধ্যে সত্য ঘট । মাও থাকে, কাল্পনিক কথাও থাকে। আকবরের ভাগ্যে