سياسيجيتيج অন্ত্রজ্বর টোনিয়ম্ গহবরে প্রবেশ করে। তখন আরও অতিরিক্ত আন্ধান, উদরবেদনা, উদরের দৃঢ়তা বাড়িয়া উঠে। নাড়ী ক্ষীণ ও অতিশয় চঞ্চল হয় । কোথাও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্ম বাহির হয়, কোন স্থলে সৰ্ব্বাঙ্গ দিয়া দর দর করিয়া ঘৰ্ম্ম পড়িতে থাকে। রোগী বারম্বার বমন করে এবং শীঘ্রই অবসর হইয়া পড়ে। সচরাচর অন্ধান্ত্র কপাটের দুই ইঞ্চের মধ্যেই অন্ত্রে ছিদ্র হইতে দেখা যায়। রোগী অনেক দিন শয্যাগত থাকিলে শ্বাস যন্ত্রেও প্রদাহাদি জন্মে। কখন কখন ১৩ । ১৪ দিন পরে ফুসফুসে কিম্বা শ্বাসনলীতে প্রদাহ হয়। ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাস, কাশি, শ্লেষ্মা নিঃসরণ, বক্ষঃস্থলে বেদন ও টান বোধ প্রভৃতি ইহার বাহ লক্ষণ। এই সময়ে বুকের উপরে কাণ দিয়া শুনিলে কুক্ কুক্ শব্দ হয়। এই শব্দ শ্বাসনলী প্রদাহের লক্ষণ । আবার কাণের কাছে আপনার এক কোষ চুল লইয়। ঘর্ষণ করিলে যে রূপ চুড় চুড় শব্দ হয়, ফুসফুস প্রদাহ হইলে বক্ষঃস্থলের ভিতর হইতে সেই রূপ শব্দ উঠিতে থাকে। কখন কথন প্রদাহের জন্য ফুসফুস যকৃতের মত নিরেট হইয়া যায়। সে অবস্থায় পীড়িত স্থানের উপর বক্ষঃস্থল অঙ্গুলি, দিয়া বাজাইলে আর ফাফা শব্দ হয় না । নিরেট বস্তুর উপরে আঘাত করিলে যে রূপ টিপ্ ঢিপ করে, ফুসফুসেও ঠিক তদ্রুপ শব হইতে থাকে। বক্ষঃস্থলে কোন প্রকার প্রদাহ না থাকিলেও রোগী যদি মধ্যে মধ্যে দমে দমে নিশ্বাস ফেলে, তাহাও অতিশয় কুলক্ষণ মধ্যে গণ্য। এই রূপ সশব ও উদ্বেগযুক্ত শ্বাসপ্রশ্বাসের পরে অধিকাংশ স্থলে রোগী হতজ্ঞান হইয় পড়ে। সকল প্রকার জরেই এটা কঠিন উপসর্গ। মূত্রাবরোধ সকল প্রকার জরের আর একটা কঠিন উপদ্রব। কোন কোন স্থলে মূত্রাশয়ে প্রস্রাব সঞ্চিত হয়, কিন্তু রোগী তাহা পরিত্যাগ করিতে পারে না। তাহা হইলে এই উপসর্গকে ততটা কঠিন বলা যায় না । সঞ্চিত মুত্র শলাকা দ্বারা সহজেই বাহির করিতে পার। যায়। কিন্তু মূত্রাশয়ে প্রস্রাব নিস্থত হইয়া না পড়িলেই রোগীর জীবন রক্ষা করা দুঃসাধ্য হইয় উঠে। মূত্রের সঙ্গে ইউরিক এসিড নামে এক প্রকার ক্ষার দ্রব্য আছে, তাহা বিষণ্ডুল্য । সেই বিষবৎ দ্রব্য প্রস্রাবের সঙ্গে বাহির হইয়া যায় বলিয়া আমাদের রক্ত পরিষ্কার ও নির্দোষ থাকে। কিন্তু মূত্রাশয়ে মূত্রনিঃসরণ না হইলে ইউরিক এসিড় রক্তে মিশ্রিত হয়। তজ্জন্ত রোগী অজ্ঞান [ ৩৩৮ ] অন্ত্রজ্বর হইয়া পড়ে এবং হস্তপদে আক্ষেপ হইতে থাকে। মূত্রের সঙ্গে কখন কখন মেদমিশ্রিতও থাকে, তাহাও সহজ উপদ্রব নহে । রোগী অনেক দিন শয্যায় পড়িয়া থাকিলে কাটদেশে ক্ষত হয়, ক্রমে সেই ক্ষতস্থান পচিতে থাকে। অতএব ইহাও একটা মারাত্মক উপসর্গ। এই জরে সচরাচর ক্ষুদ্রান্ত্রেয় সমবেত ও অসমবেত গ্ৰন্থি এবং মেসেণ্টারিক গ্রন্থিই অধিক বিকৃত হইয়। থাকে। পীড়ার প্রথমাবস্থায় মৃত্যু হইলে জড়িতান্ত্রের সমবেত এবং অসমবেত গ্রস্থিতে প্রদাহের লক্ষণ দেখা যায়। গ্রস্থি গুলি ফুলিয়া ৩, ৪ স্থতা উচ হইয়া উঠে, এবং তাহাদের চারিদিকের শ্নৈমিক ঝিল্লি লালবর্ণ দৃষ্ট হয়। আর কিছু দিন জীবিত থাকিলে গ্রন্থির ঐ সকল স্থান কোমল ও গলিত হয়, শেষে ঐ সকল স্থানে ক্ষত জন্মে। চিকিৎসকের অনুমান করেন যে, অন্ত্রের ঐ সমস্ত স্থান দিয়া জরের বিয বাহির হইয়া যায়, তজ্জন্ত প্রথম হইতেই অন্ধান্ত্রে উত্তেজনা উপস্থিত হয় এবং সেই উত্তেজনার নিমিত্তই উদরাময় আসিয়া পড়ে। টাইফয়েড় জরের বিয মলমূত্র দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে নিগত হইতে না পারিলে উহার কতক অংশ যকৃতের ভিতরে প্রবেশ করে, তাই পিত্তও দূষিত হয়। অন্ত্রের ক্ষতস্থান কখন কখন অস্ত্রাবরক ঝিল্লির সঙ্গে লাগিয়া যায়, সেকারণ ঐ ঝিল্লিতেও ছিদ্র দৃষ্ট হয়। অন্ত্রে ছোট ছোট ছিদ্র হইলে রোগী আরোগ্যলাভ করে, কিন্তু অস্ত্রাবরক ঝিল্লিতে ছিদ্র হইলে প্রাণরক্ষা হওয়া দুর্ঘট । অস্ত্র ছিদ্রিত হইয়া গেলেও রোগী যদি আরোগ্যলাভ করে, তাহ হইলে ক্রমে ঐ ছিদ্রের উপরে একটা পাতলী পরদা পড়ে। পরে সেই পরদ। लेख्एब्लाख्द्र श्रृङ्ग ७ सूक्नु श्रेग्रो आएंग । दिद्ध श्रिद्धन চারি দিক হইতে মাংস গজাইয়া ছিদ্র যোড়া লাগিতে কোথাও দেখা যায় না। ডাক্তার লাত্রে বলেন যে, অন্ত্র গজাইরা ছিদ্র যোড়া লাগিতে পারে। কিন্তু একথা সকলে স্বীকার করেন না । অস্ত্রজরে অধিকাংশ রোগীর প্লীহা কিছু কিছু বড় ও কোমল হইয়া থাকে। কাহার প্লীহা অকস্মাৎ ফাটিয়া যায়। প্লীহা ফাটিলে পেরিটোনিয়াল গহবরে রক্ত প্রবেশ করে । মেলেরিয়া জনিত সবিরাম ও স্বল্প বিরাম জরে এই দুর্ঘটনা সময়ে সময়ে দেখিতে পাওয়া যায় । অকস্মাৎ মুচ্ছ না (sudden syncope) {so}
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।