অন্ত্রজ্বর {\రిరిన ] ज्रङ्गङ्ग्न হঠাৎ মৃত্যু ঘটিবার ইহা একটা প্রধান কায়ণ । কচিং কোন কোন রোগীর অন্ননালীতে এবং শ্বাসনলীতেও ক্ষত হইয়া থাকে। ফুসফুস, প্রদাহ এবং ফুসফুসে রক্তাধিক্যের লক্ষণ অনেক মৃতদেহে দৃষ্ট হয় । মস্তিষ্কাবরক ঝিল্লিতে প্ৰদাহ অতি বিরল। কিন্তু মস্তিষ্কে রক্তাধিক্য এবং আরেকৃনয়েড গহবরে সিরস রসসঞ্চয় অনেক স্থলে দেখিতে পাওয়া যায় । কোন কোন ব্যক্তির হৃদয়ের পেশীসুত্র কোমল হয়। হৃদয় কাটিলে ভিতর হইতে অত্যন্ত তরল ও কৃষ্ণবর্ণ রক্ত বাহির হইয়া আসে। তদ্ভিন্ন ফুসফুস প্রদাহ কিম্বা অন্ত্রাবরক ঝিল্লি প্রদাহের পর মৃত্যু ঘটিলে হৃদয়ের গহবর মধ্যে ফাইব্রিনের পিণ্ডও জমিয়া থাকিতে দেখা যায়। ভির্থ কহেন যে, ইহাতে রক্তের শ্বেতকণ৷ অতিশয় বৃদ্ধি হয়। কোন কোন স্থলে বৃক্ককে রক্তাধিক্য দেখা যায় ; আবার কাহারও বৃঙ্কক (kydneys ) পাণ্ডুবৰ্ণ হইয়া থাকে । টাইফয়েড় জর চিনিয়া লওয়া কঠিন নহে। একবার দেখিলে সহজেই ইহাতে সকলের ব্যুৎপত্তি জন্মে। মোহকজর অর্থাৎ টাইফস, জর, স্বল্পবিরাম জর এবং মস্তিষ্কাবরক ঝিল্লিপ্রদাহের সঙ্গে ইহার কিছু গোল হইতে পারে। টাইফয়েড জরে পেটে, বুকের উপরে এবং পৃষ্ঠে যে চিহ্ন বাহির হর, সে সকলের বর্ণ গোলাপের মত ; কিন্তু টাইফস জরের দাগগুলি ঈষৎ কৃষ্ণবর্ণ। টাইফয়েড জরের চিহ্ন ৭ দিন হইতে ১৪ দিনের মধ্যে বাহিয় হয় ; টাইফস, জরের চিহ্ন ৪ দিন হইতে ৭ দিনেয় ভিতরে বাহির হইয় থাকে। টাইফস, জরে উদরাময় কিম্বা অস্ত্র হইতে রক্তস্ৰাব প্রায় ঘটে না ; কিন্তু অন্ত্রজরে সর্বত্রই উদরাময় দেখা যায়। তদ্ভিন্ন, দক্ষিণ শ্রোণিপ্রদেশ টিপিলে বেদন করে ও বজ বজ, শব্দ করিয়া উঠে। ইহাই টাইফয়েড জরের প্রধান স্পষ্ট লক্ষণ । এ প্রকার লক্ষণ আর কোন পীড়াতেই দেখা যায় না। এই জ্বরে অনেক রোগীর অন্ত্র হইতে রক্তস্রাবও হইয়া থাকে। অন্ত্রজর, বালক এবং যুবা ব্যক্তিদেরই অধিক হয়। চল্লিশ বৎসর বয়ঃক্রমের পর এ পীড়া প্রায় আর ঘটিতে দেখা যায় না। কিন্তু মোহক জর সকল বয়সেই হইতে পারে । টাইফয়েড, জর প্রায় ২১ দিন হইতে ৩• ৪• দিন পর্য্যস্ত থাকে। টাইফস, জর ২১ দিনের অধিক থাকে না । ইহার ভিতরে রোগী আরোগ্যলাভ করে কিম্ব প্রাণত্যাগ করিয়া থাকে। অন্ত্রজরে শতকরা কত রোগীর মৃত্যু হয়, ইহার ঠিক তালিকা দেওয়া মুকঠিন। ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিজ্ঞ চিকিৎসকেরা যে সকল হিসাব রাখিয়াছেন, তাহার ফল সৰ্ব্বত্র সমান নহে। সমান না হইবার কারণ এই, কোন বৎসর পীড়ার প্রকোপ অধিক দুরূহ হয়, আবার কোন বৎসয় তত কঠিন হয় না। আবার কোন কোন রোগীর হয় ত নানা প্রকার উৎকট উপসর্গ ঘটিতে পারে, কোন স্থলে অতি সামান্য ও সহজ উপসর্গ ঘটে। তদ্ভিন্ন চিকিৎসার প্রণালী ভেদেও মৃত্যু সংখ্যার কমবেশী হয়। কোথাও এরূপও ঘটে, রোগীকে নিতান্ত মুমূযু দশায় দেখিলে তাহাকে চিকিৎসালয়ে পাঠাইয়া দেওয়া হয়। কাজেই যে মরিতে আসিয়াছে বৈ চিকিৎসা করাইতে আসে নাই, তাহার ভাগ্যে মৃত্যু ভিন্ন আর কি লাভ হইবে ? এ সকল কারণে টাইফয়েড, জরের শুভাশুভ ফল ঠিক নিশ্চিত করা যায় না । ডাক্তার মর্টিশন, চৌদ্দ বৎসরের তালিকা হইতে ১৮,৫৯২ জন রোগীর হিসাব সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । তাহাতে শতকরা ১৮৭৮ জনের মৃত্যু হইয়াছিল। অর্থাৎ ৫২৭ জন রোগীর মধ্যে ১ জন প্রাণত্যাগ করিয়াছে। এ রোগে পুরুষের চেয়ে স্ত্রীলোকের মৃত্যু সংখ্যা অনেক অল্প। ইহা বালকদের পক্ষেও তত মারাত্মক নহে। সচরাচর সবলকায় যুবাব্যক্তিরই মৃত্যুর ভাগ অধিক দেখা যায়। আমাদের সাম্রাঙ্গী কুইন্ ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স আলবার্ট এই জরে একাক্রমে একুশ দিন ভূগিলেন । অতুল ঐশ্বর্য্যের পতি, কত চিকিৎসা ! কত যত্ন ! কিন্তু কিছুতেই ফল হইল না । শেষে ১৮৬১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর দিবসে তিনি মাটীর দেহ মাটীতে রাখিয়া যোগ্যধামে চলিয়া গেলেন । - ভাবিফল—শুভলক্ষণের মধ্যে, যদ্যপি জ্বরের প্রখরতা এবং উপসর্গ অল্প হয় ; নাড়ীর স্পন্ন প্রাত মিনিটে ১২০ বার বা তদপেক্ষা কম ; দেহের সন্তাপ ১০৩° বা তদপেক্ষা কম ; সামান্ত উদরাময় ; এযং অস্ত্রে যদি ছিদ্র না হয় ও প্রলাপ না থাকে, তাহা হইলে নিশ্চিত আরোগ্য লাভের সস্তাবনা । অশুভ লক্ষণের মধ্যে দেহের সন্তাপ ১০৫• অধিক ; প্রথম হইতেই নাড়ীর স্পন্দন ১২০ বারের অধিক ; নাড়ী অত্যন্ত ক্ষীণ, বক্র এবং টিপিয়া ধরিলে অনুভব
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।