অন্ত্রজর করা যায় না ; কিম্বা ক্ষণে ক্ষণে উহার স্পন্দন বিলুপ্ত হইয়া যায় ; কিম্বা কেঁচুয়ার মত স্থল হইয়া পিছলিয়া পিছলিয়া চলিতে থাকে ; নাড়ীমান যন্ত্রে পরীক্ষা করিলে যদ্যপি উদ্ধরেখা হেলিয়া ছোট হইয়া আসে, নিয়রেখা বড় হয় এবং তলায় দুইটা কিম্বা তিনট কুঞ্চিত রেখা পড়ে, তবে ইহাকে নিতান্ত কুলক্ষণ বলিতে হইবে । হৃদয়ের স্পন্দন যদি অত্যন্ত জোরে হষ্টতে থাকে, এবং তৎকালে নাড়ী ক্ষীণ, ক্ষুদ্র ও দ্রুতগামিনী হয়, তাহা হইলে মৃত্যু নিশ্চিত । হৃদয়ের প্রতিঘাতের অভাব এবং তৎকালে হৃৎপিণ্ডের দ্বিতীয় শব্দ যদ্যপি শুনিতে ন পাওয়া যায়, তবে রোগীর প্রাণরক্ষণ করা দুর্ঘট । মুত্রাবরোধ। অত্যন্ত প্রলাপ। শ্বাস যন্ত্রের প্রদাহ এবং তাহার সঙ্গে নিদ্রাভাব ও প্রলাপ | কঠিন, শুষ্ক এবং পাণ্ডুবর্ণ কিম্বা কৃষ্ণবর্ণ জিহবা । অতিশয় হিক্কা । অত্যন্ত অবসন্নতা । হস্তপদের পেশীর আপেক্ষ। শিবনেত্র। পীড়ার চরমাবস্থায় কটিদেশে কিম্ব মুখে ক্ষত । কণমূল প্রদাহ। এই গুলি সকল জররোগেরই অতিশয় | কুলক্ষণ । রোগের প্রতীকার না হইলে প্রায় ১২ দিন হইতে ২০ দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে কোন কোন রোগী বালিস হইতে সরিয়া সরিয়া আসে। কেহ এ পাশ ও পাশ করিতে থাকে। সশব্দ ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাস বহে। আন্তরিক কষ্টের নিমিত্ত কোন কোন রোগী র্কোতাইতে থাকে। কাহারও মলদ্বার ফাক হইয়া যায় এবং রোগী অচৈতন্ত্যাবস্থায় মলত্যাগ করে। হস্ত পদাদির অগ্রভাগ শীতল ; নাড়ী ক্ষীণ ও অত্যন্ত দ্রুতগামিনী ; কোন স্থলে বা মৃত্যুর ৭। ৮ ঘণ্টা পূৰ্ব্বে নাড়ীস্থল ও দড় বড় করিয়া বহিতে থাকে, অবশেষে বিলুপ্ত হইয়া হয়। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্ম নির্গত হইতে থাকে, তাহার পর প্রাণপ্রদীপ নিবিয়া যায়। এই জরের ঠিক কারণ কি, তাহ বলা যায় না। কিন্তু বিজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে নানা জনে নানা কথা কছেন। কেহ কেহ বলেন, ইহার বিষ মেলেরিয়ার মত। জন্তুর শরীর ও উদ্ভিদ পচিয়া গেলে সেই গলিত পদার্থ হইতে এক প্রকার বাস্প উঠে। তাহাই মানুষের শরীরে প্রবেশ করিলে টাইফয়েড় জর হয়। ডাক্তার বড় কহেন যে, টাইফয়েড, জরাক্রান্ত রোগীর বিষ্ঠা হইতে ইহার বিষ অপরের শরীরে প্রবেশ করিতে পারে। কিন্তু ডাক্তার মচিশন এ মতের খণ্ডন করিয়াছেন। [૭8૦ ] অন্ত্রর টাইফয়েড় জরের উপযুক্ত চিকিৎসা কিছুই নাই। বরং নানা প্রকার কঠিন ঔষধ প্রয়োগ করিলে রোগীর অবস্থা আরও মন্দ হইরা পড়ে। অনেক বিজ্ঞ চিকিৎসক প্রথমে বমন করাইতে পরামর্শ দেন। পাকস্থলীতে ভূক্তদ্রব্য সঞ্চিত থাকিলে বমন করান যাইতে পারে। ১০ । ১৫ গ্রেণ ইপিকাক চূর্ণ উষ্ণ জলের সঙ্গে সেবন করাইবে। ডাক্তার ট্যানার, অৰ্দ্ধ ছটাক ভাইনম্ন ইপিক্যাক্ সেবন করাইতে পরামর্শ দেন। আমাদের বৈদ্যের বলেন যে, রোগীর সমস্তগাত্র চালিত করিবে, কিন্তু মলভাণ্ড কদাচ চালিত করিবে না, অর্থাৎ রোগীকে বিরেচক ওঁবধ প্রয়োগ করিবে না। সে ব্যবস্থা ঠিক এই রোগের জন্য। টাইফয়েড় জরে বিরেচক ঔষধ অত্যন্ত অনিষ্টকর। কিন্তু দুই তিন দিনের জরে, উদরাময় উপস্থিত হইবার পূৰ্ব্বে নিম্নলিখিত ঔষধ ব্যবস্থা করা যাইতে পায়ে,— হাইডার্জ কম্ ক্রিটা NO(한여 সুগন্ধ খড়ীচূর্ণ * * * ** @ , , সোডা বাইকার্ব “. ... ( , , फ़िनि - - 4 . . . . . . ,, একত্র মিশ্রিত করিয়া একটী পূরিরা করিবে। এই ঔষধ ৪ ঘণ্টা অস্তর সেবন করাইলে পেটের অধিক উত্তে জন ঘটিতে পায় না। ডাক্তার হার্লি, সুগন্ধখড়ীচুর্ণ ন দিয়া আফিম সম্বলিত খড়ীচুর্ণ প্রয়োগ করেন। যাহা হউক, এই পারদ ঘটিত মৃদু বিরেচক ঔষধ এক দিনের অধিক সেবন করাইবে না। তাহার পর, হস্, চেম্বার্স, রিচার্ডসন, মর্চিসন, ট্যানার, ফিলণ্ট প্রভৃতি চিকিৎসকগণ পার্থিবামের বিশেষ প্রশংসা করেন। যবক্ষার লবণ দ্রাবক ( Nitromuriatic acid ) o că vittr ca fier al zise ৩ । ৪ বার ১৫ । ২• বিন্দু মাত্রায় সেবন করান যাইতে পারে। অন্ত্রজরে রক্তে অতিশয় ক্ষার জন্মে। ঐ দ্রাবক সেবন করাইগে সেই ক্ষার দোষ নষ্ট হইয়া যায়। জার্মনীতে জলসেক চিকিৎসার আদর আছে। ডাক্তার ফিলণ্টও আমেরিকাতে ইহার পরীক্ষা করিয়াছিলেন। পরীক্ষা করিয়া তিনিও ইহার প্রশংসা করেন। রোগীর গায়ের অত্যন্ত তাপ বৃদ্ধি হইলে জলসেক করা আবশুক । প্রথমে ঘরের সমস্ত দ্বার বন্ধ করিবে । তাহার পর দুই খানি কম্বল শীতল জলে ভিজাইয়৷ ছুইটী শষ্য পাতিয়া রাখিবে। আগে একটী কম্বলে রোগীকে
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।