অন্ত্রজ্বর জড়াইয় তাহার উপরে অার একথানি শুষ্ক কম্বল ঢাকা দিবে। ১০ । ১৫ মিনিট পরে এই শয্যা হইতে তুলিয়। আবার অন্ত শয্যার কম্বলে জড়াইয়া রাখিবে । শরীরের বল ও দেহের সন্তাপ বুঝিয়া এই প্রক্রিয় ৩০ । ৪০ মিনিট পৰ্য্যস্ত করা যাইতে পারে । শেষে রোগীর সর্বাঙ্গ মুচাইয়া শুষ্ক শয্যায় শোয়াইবে এবং গায়ে শুষ্ক কাপড় ঢাক দিবে। জলসেকের পর কদাচ শীঘ্র ঘরের দ্বার খুলিবে না । যে ঘরের দ্বার রুদ্ধ করিলেও শীতল বাতাস আসিতে পারে, তেমন স্থলে জলসেক করা কর্তব্য নহে । জলসেক করিতে সাহস না হইলে, উষ্ণজলে বস্ত্র ভিজাইয়া তাহাতে বারম্বার রোগীর সর্বাঙ্গ মুচাইয়। দিবে। ইহাতেও সস্তাপের লাঘব হয়। দুঃসহ পিপাসা নিবারণের নিমিত্ত শীতল জল ও বরফ বিশেয হিতকর । অত্যন্ত মাথার বেদন থাকিলে সমস্ত চুল কামাইয়া বরফ ও শীতল জলধারণ প্রয়োগ করিবে, ইহাতে মাথার উত্তেজনা কমিয়া যায় এবং নিদ্রারও আবির্ভাব হর । প্রথমেই বলা হইয়াছে, অন্ত্রজরের ঠিক চিকিৎসা কিছুই নাই। কোন ঔষধে এই কঠিন জরের প্রতীকার হয় না। পীড়ীর প্রখম হইতে শেষ পর্য্যন্ত চিকিৎসকের কৰ্ত্তব্য এই যে, তিনি লঘু পথা এবং স্বরার দ্বারা রোগীর বল রক্ষা করিবেন । তদ্ভিন্ন, যখন যে উপসর্গ উপস্থিত হইবে, বৎসামান্ত ঔষধ দ্বারা তাহার শান্তি করিবার চেষ্টা পাইবেন । অতিরিক্ত ঔষধ সেবন কয় "ইলে কিম্বা ব্যস্ত হইলে অনিষ্ট বৈ ইষ্টলাভের প্রত্যাশা মাই। ডাক্তার গুল্ডেন, ডও প্রভৃতি চিকিৎসকগণ এই রোগে কুইনাইন প্রয়োগ করেন। কিন্তু তাহা সুব্যবস্থা নহে। বিজ্ঞ বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ দেখিয়াছেন, টাইফয়েড জরে কুইনাইন সেবন করাইলে অনিষ্ট ঘটে এবং পীড়। আরোগ্যের অনেক বিলম্ব পড়িয়া যায়। তবে এস্থলে এক কথা এই বিবেচনা করিতে হইবে যে, আমাদের দেশে মেলেরিয়া অতিশয় প্রবল। এখানে অস্ত্রজরে প্রাতঃকালে যদি কিঞ্চিৎ বিশ্রাম পাওয়া যায়, তাহা হইলে অল্প মাত্রায় কুইনাইন প্রয়োগ করিলে ক্ষতি নাই। কিন্তু অতিশয় আঞ্চান, রক্তস্রাব, অস্ত্রে ছিদ্র প্রভৃতি উপসর্গ থাকিলে কুইনাইন প্রয়োগ করিবে না । উদরাময় নিবারণের নিমিত্ত এই রূপ ঔষধ প্রয়োগ করা যাই তে পারে-- . খদিরের অরিষ্ট অৰ্দ্ধ ড্রাম্ | ૭8s ] [ ૭ ]
কাইনোর আরিঃ Ֆ আফিমের আরিঃ ৫ বিন্দু পেপারমেণ্টের জল অৰ্দ্ধ ছটাক । একত্র মিশ্রিত করিয়া এক মাত্রা । এই ঔষধ চারি ঘণ্ট। অন্তর সেবন করাইবে । অত্যন্ত প্ৰলাপ এবং মস্তকবেদন থাকিলে একেবারে উদরাময় নিবারণ করিবে না । কিন্তু পুনঃ পুনঃ জলবৎ মল নির্গত হইলে তাহার প্রতীকার করা আবশুক । নিম্ন লিখিত ঔষধেও উদরাময়ের বিলক্ষণ শাস্তি হয়— জলমিশ্র গন্ধক দ্রাবক ৩ বিন্দু শুগার অব লেড, 이 (3)에 মফিয়া হাইড্রোক্লোরেট সিকি গ্রেণ দারুচিনির জল অৰ্দ্ধ ছটাক একত্র মিশ্রিত করিয়া এক মাত্রা । এই ঔষধ ৪ ঘণ্ট। অন্তর সেবন করাইবে । প্রবল উদরাময় উপস্থিত হইলে নিম্ন লিখিত ঔষধ পিচকায়ী দ্বারা মলদ্বারে প্রয়োগ করিবে— তাপিন তৈল ৩০ বিন্দু টিং কাইনো ২ ড্রাম টিং ওপিয়ম্ ২• বিন্দু গাঁদের মণ্ড এক ছটাক । এই ঔষধ প্রত্যহ দুইবার ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। রক্তস্রাব হইলে গ্যালিক এসিড, মহৌষধ। গ্যালিক্ এসিড, > e (3) টিং ওপিয়ম १ दिग्नू জলমিশ্র গন্ধক দ্রাবক ১০ বিন্দু জল অৰ্দ্ধ ছটাক । একত্র মিশ্রিত করিয়া ৪। ৬ ঘণ্টা অন্তর প্রয়োগ করিবে । অতিশয় পেট ফাফিয়া উঠিলে এবং উদরে বেদনা থাকিলে সমস্ত পেটে তাপিন তৈল মাখাইয়৷ উষ্ণজলের স্বেক করিবে । অতিশয় আধুনি বিদ্যমান থাকিলে কোমল বস্ত্রে পেট বাধিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য । তদ্ভিন্ন লম্বা নলীর দ্বারা হিঙ্গুর পিচকারী দিলেও আম্মান কমিতে পারে। রাত্রিতে নিদ্রা না হইলে রোগীর অত্যন্তু গ্লানি জন্মে। তাহাতে দিন দিন শরীর তুর্কল হয় এবং সমস্ত উপসর্গও বাড়িতে থাকে। তজ্জন্ত বাহাতে নিদ্রাবেশ হয়, সে পক্ষে যত্ন করা উচিত। ৫ গ্রেশ ডোভার্স গাউ