অন্ত্রপ্রদাহ } জয়প্রদাহ কিন্তু টাইফয়েড জরে প্রাতঃকালে অল্প ৰিশ্ৰাম হইয়া থাকে । রোগনির্ণর—টাইফয়েড, জর, স্বল্পবিরাম জর, অন্ত্র বৃদ্ধি, অন্ত্রাবরোধ, শূলবেদন প্রভৃতি পীড়ার সঙ্গে অন্ত্রপ্রদাহরোগের গোল হইতে পারে। দক্ষিণ শ্রোণিদেশের গড়, গড়, শব্দ, রাত্রিতে জরের বৃদ্ধি, শরীরে গোলাপী চিহ্ন প্রভৃতি লক্ষণ না থাকিলে অন্ত্রপ্রদাহ চিনিতে কষ্ট হয় না। স্বল্পবিরাম জ্বরে উদরাময় না থাকিতে পারে। তদ্ভিন্ন পেটের বেদন এবং আধান থাকিলেও তাহ অন্ত্রপ্রদাহের মত নহে। কোন বিশেষ স্থানে অন্ত্র ঠেলিয়া আসিয়াছে কি না, হাত দিয়া তাহা পরীক্ষা করিলেই এই পীড়াকে অন্ত্রবুদ্ধি হইতে প্রভেদ করা যায়। অস্ত্রাবরোধ হইলে কোষ্ঠ বদ্ধ হয়, কিন্তু অন্ত্রপ্রদাহের উদরাময় একট প্রবল লক্ষণ। খুলবেদনাতেও কোষ্ঠবদ্ধ হয় এবং রোগীর পেট চাপিয়া ধরিলে স্বস্তি বোধ করে, কিন্তু অন্ত্রপ্রদাহে পেট টিপিলে অত্যন্ত रुं ह्न । ' কারণ—অত্যন্ত গরমের পর শরীর শীতল করিলে কিম্বা হিম লাগাইলে অস্ত্রপ্রদাহ হইতে পারে। উষ্ণ দুগ্ধাদি খাইয় তাহার পর শীতল দ্রব্য থাইলেও অন্ত্রপ্রদাহ হয় । ফল, মুল এবং উদ্ভিজ্জাদির বীজ কিম্বা ত্বক্ ভোজন করিলে, অস্ত্রে উত্তেজন জন্মে, সে কারণ প্রদাহ হইতে পারে। উগ্র সুর সেবন । কৃমি। দ্রাবক কিম্বা শেকোবিষ উদরন্থ হইলে অন্ত্রে প্রদাহ হয় । শিশুদের দত্তোদগমের সময়ে সচরাচর এই পীড়া ঘটিতে QWግ| ሻሸቯ ! নিদান-প্রদাহ হইলে অস্ত্র রক্তবর্ণ হইয়া উঠে ; সেই রক্তবর্ণের সঙ্গে একটু কাল রঙ মিশান, তাহার উপরে অধিক শ্লেষ্মা জমিয়া থাকে। পূৰ্ব্বে উদরাময় থাকিলে অন্ত্রের স্থানে স্থানে বিস্তর ক্ষত দেখিতে পাওয়া যায় । টাইফয়েড, জরের মত অস্ত্রপ্রদাহেরও ক্ষতস্থানে কখন কথন ছিদ্র হইয় থাকে। অধিক কাল উদরাময়ে ভুগিলে অন্ত্রের পরদা পুরু হইয় উঠে। অন্ত্রে প্রদাৰ উপস্থিত হইলে ইহার কৃমিবৎ আকু ঞ্চন বন্ধ হইয়া যায় । [অন্ত্র শব্দে এই আকুঞ্চনের বিধরণ দেখ }। অন্ত্রের আকুঞ্চন বন্ধ হয় বলিয়াই উদরাময় উপস্থিত হইয়া থাকে। এলোপ্যার্থী অপেক্ষ এই রোগে হোমিওপ্যার্থী ঔষধ অধিক প্রশস্ত। রোগী দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িলে এবং [ ૭88 - * অত্যন্ত বমন ও নাভির চারিদিকে বেদনা থাকিলে আর্সেনিক ১২ ডাঃ এক বিন্দু করিয়া ৩। ৪ ঘণ্টা অন্তর সেবন করাইবে । উদরাধান, পেট শক্ত, দুর্গন্ধ তরল মল, মলে রক্ত ও শ্লেয়া থাকিলে মার্কিউরিয়ালিস্ প্রয়োগে উপকার দর্শে। পেট অত্যন্ত ফাফিয়া উঠিলে এবং অতিশয় উদয়বেদন থাকিলে কলসিন্থ ব্যবহারে উপকার করে। এলোপ্যার্থী—এই মতে চিকিৎসা করিতে হইলে কদাচ বিরেচক ঔষধ ব্যবস্থা করিবে না। কিন্তু আমেরিকার ডাক্তার ফি লণ্ট প্রথমাবস্থায় বিরেচক ঔষধ প্রয়োগ করিতে পরামর্শ দেন। বোধ হয় এ ব্যবস্থ৷ আমাদের দেশের পক্ষে হিতকর নহে। ডাক্তার ট্যানারও জোলাপ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। অত্যন্ত কোষ্ঠবদ্ধ থাকিলে উষ্ণজলের পিচুকায়ী দিলেই মল নির্গত হইতে পারে । এলোপ্যার্থীর মতে, অন্ত্রপ্রদাহে আফিম উৎকৃষ্ট ঔষধ। কিন্তু ৪ । ৫ মাসের শিশুদিগকে ইহা ব্যবস্থা করা যাইতে পারে না। পূৰ্ণবয়স্ক রোগীকে ৩। ৭ বিন্দু আফিমের অরিষ্ট কপুরের জলের সঙ্গে ৩। ৪ ঘণ্টা অন্তর সেবন করাইবে। রোগী একটু স্বস্থির হইলে § অধিক আফিম সেবন করাইবে না । কিন্তু এক কালে ইহা বন্ধ করিয়াও দিবে না। এস্থলে আর একটী কথা স্মরণ রাখা চাই । আফিম আতি ভয়ানক বিষ । ইহা অল্প অল্প করিয়৷ উদরে সঞ্চিত হয়, পরে ইহার বিষক্রিয়। একেবারে প্রকাশ পাইতে পারে। তজ্জন্ত আফিম সেবন করাইবার সময়ে বিশেষ সতর্ক থাকিবে । এই ঔযধ দুই তিন মাত্রা সেবন করাইলে যদ্যপি বেদনার উপশম না হয়, তাহা হইলে অল্প মাত্রায় বিলম্বে বিলম্বে অহিফেন খাওয়াইবে । রোগের প্রথমে উদরাময় নিবারণের জন্ত সঙ্কোচক ঔষধ দিবে না। তরুণ প্রদাহ কমিয়া আসিলে কাইনো ১• বিন্দু অহিফেন অরিষ্ট ৭ বিন্দু এবং গদের মও অৰ্দ্ধ ছটাক একত্র মিশ্রিত করিয়৷ এই রূপ দুই মাত্রা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করাইবে । পেটের উপরে তাপিনতৈল মাথাইয়া পোস্তের চেড়ীর স্বেক করিতে থাকিবে । নাড়ী ক্ষীণ ও বেগবতী হইলে অন্ত্রজরের মত মদ্য ও মাংসের ঝোল সেবন করাইয়া রোগীর বল রক্ষণ করা আবশুক। শিশুদের শ্নৈয়িক ঝিল্লিতে প্রদাহ হইলে কপূরের জলের সঙ্গে ২ । ৩ গ্রেণ ক্লোরেট
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।