অস্ত্ৰৱন্ধি [ ৩৪৩ ] অন্ত্রলেষ্টপ্রদাহ T-TTF-T থাকে। এই প্রকার অন্ত্রবৃদ্ধি অতিশয় ভয়ানক । কারণ-পূর্কেই বলা হইয়াছে, জোর করিয়া ভারী দ্রব্য তুলিতে গেলে অস্ত্রবৃদ্ধি হইতে পারে। তদ্ভিন্ন, জন্মাবধি শারীরিক গঠমের বিকৃতি, উদরে কোন প্রকার আঘাত এবং পীড়ার নিমিত্ত পেটের দুৰ্ব্বলতার জন্যও অন্ত্রবৃদ্ধি হয় । সে সকল লোকের স্বভাবতঃ কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না, তাহারা মলত্যাগের সময়ে অনেক ক্ষণ পর্য্যস্ত জোরে বেগ দিয়া থাকেন। তাহাদেরও ক্রমে অন্ত্রবৃদ্ধি রোগ জন্মিতে পারে। প্রস্রাব বন্ধ হইলে এবং আমাশয় পীড়া থাকিলে অতিরিক্ত বেগের জন্য অস্ত্রবৃদ্ধি য়োগ জন্মে । এই পীড়া সকল বয়সে এবং সকল শ্রেণীর লোকেরই হইতে পারে। কিন্তু যাহাদিগকে সৰ্ব্বদাই অত্যন্ত ভারী দ্রব্য তুলিতে হয়, তেমন ব্যক্তির অস্ত্রবৃদ্ধি অধিক হইবার সম্ভাবনা। ফ্রান্সের ডাক্তার ম্যাগেন (Malgaigue) কহেন যে, সচরাচর ১৩ জন পুরুষের মধ্যে এবং ৫২ জন স্ত্রীলোকের মধ্যে প্রায় এক এক জনের অস্ত্রবৃদ্ধি রোগ দেখা যায়। শৈশবাবস্থায় এবং বাল্যাবস্থায় এ রোগ নিতান্ত অল্প,—প্রায় ৭৭ জনের মধ্যে এক জনের হইয় থাকে। কিন্তু ১৩ । ১৪ বৎসর বয়ঃক্রমের পর কায়িক পরিশ্রম বাড়িলে তখন অনেকের এই ব্যাধি জন্মিয়া যায় । সাবধানতা—জন্মাবচ্ছিন্নে কখন অন্ত্রবৃদ্ধি হইয়া থাকুক বা না থাকুক, জোর করিয়া কখনই কেহ অধিক ভারী দ্রব্য তুলিতে চেষ্টা করিবেন না। স্বভাবতঃ কোষ্ঠবদ্ধ ধাতু হইলে মলত্যাগের জন্য দুই ঘণ্টা বসিয়া বেগ দেওয়া অকৰ্ত্তব্য। সে সকল লোক সুপথ্য দ্বারা কোষ্ঠ পরিষ্কার রাথিতে চেষ্টা করিবেন । মুগের ও ছোলার ডাউল, হিঞ্চা, বেল, নারিকেল, পেঁপে, দুগ্ধ প্রভৃতি দ্রব্য খাইলে আর কিছুই করিতে হয় না। প্রমেহ জন্য প্রস্রাব বন্ধ হইলে অনর্থক বেগ দিবে না। সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ লইলে পীড়ার শান্তি হইতে পরিবে । জন্মকাল হইতে অন্ত্রবৃদ্ধি থাকিলে আদর করিয়া ছেলেকে বঁাশী বাজাইতে দিবে না। তেমন শিশুকে কঁাদিতে কিম্বা চীৎকার করিতে দেওয়াও ठामिछेकद्र । अठ७द श्रिऊ भोठां गर्मिलाहे उोशष्मद्र প্রতি দৃষ্টি রাখিবেন। - চিকিৎসা-পেটের নিয়ে কুঁচকির কাছে অন্ত্রবৃদ্ধি হইলে অঙ্গুলির অগ্রভাগ দিয়া অল্প ঠেলিয়া দিলেই অন্ত্র স্বস্থানে সরিয়া যায়। অণ্ডকোষের ভিতরে অস্ত্র নামিয়া আসিলেই তাহ স্বস্থানে প্রবেশ করান কষ্টকর। রোগীকে চিত করিয়া শোয়াইবে এবং যে দিকে অস্ত্রবৃদ্ধি হইবে, সেই দিকের পা কোলের কাছে টানিয়া রাখিবে । তাহার পর আওকোষের ভিতরের অন্ত্ৰ হাত দিয়া উপর দিকে ও সম্মুখে ঠেলিতে থাকিবে । অনেক সময়ে এই সহজ উপায়েই অস্ত্র স্বস্থানে সরিয়া যায় । অন্ত্র পেটের ভিতরে প্রবেশ করিবার সময়ে গড়, গড় ও কো করিয়৷ একটা শব্দ হয়। কিন্তু কোন কোন স্থলে এই সামাদ্য উপায়ে কিছুই ফল দর্শে না। তখন অন্যান্ত নানা প্রকার প্রকরণ করা আবশ্যক হইয়া পড়ে। রোগীর অণ্ডকে . ষের উপরে পর্য্যায়ক্রমে একবার উষ্ণ জলধারা ও আর একবার শীতল জলধারা ঢালিবে । কিছুক্ষণ এই রূপ করিলে অন্ত্র আপনিই সরিয়া যায়। ইহাতেও রোগের শাস্তি না হইলে, রোগীর মস্তক শয্যার উপর কিঞ্চিৎ নীচ করিয়া রাখিবে এবং কটিদেশে বড় বালিস দিয়া পা উচ করিয়া ধরিবে । এই প্রক্রিরা দ্বারা অন্ত্র ভিতর দিকে সরিয়া যাইতে পারে। অন্ত্র স্বস্থানে চলিয়া গেলে পেটে টস নামক চৰ্ম্মের বন্ধনী লাগাইবে । শুইবার সময়ে ট্রস পরিয়া থাকিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু শয্যা হইতে উঠিবার পূৰ্ব্বে টুস পরিবে, নতুবা অন্ত্র নামিয়া আসিবার সম্ভাবনা । অস্ত্র স্থান ভ্ৰষ্ট হইয়। কোথাও বদ্ধ হইয়া গেলে অস্ত্র চিকিৎস৷ ভিন্ন রোগীর প্রাণরক্ষা করিবার আর অন্ত উপায় নাই। অন্ত্রবেষ্টপ্রদাহ (Peritonitis)। অন্ত্রাদির উপরে পাতলা শ্বেতবর্ণ ঝিল্লিবৎ চৰ্ম্ম ঢাকা আছে, তাহাকে অস্ত্রবেষ্ট (peritonium ) কহে। ঐ চৰ্ম্মে কখন কথন প্রদাহ इग्न । অন্ত্রবেষ্ট প্রদাহ অতিশয় কঠিন পীড়া। সকল বয় সেই এই রোগ জন্মিতে পারে । কিন্তু প্রসবের পর স্ত্রীলোকদেরই ইহা অধিক হইতে দেখা যায়। তদ্ভিন্ন পেটে কোন প্রকার আঘাত লাগিলেও এই উৎকট পীড়া হইতে পারে। পীড়া প্রকাশ হইবার পূৰ্ব্বে প্রথমে কম্প হয়। কম্পের পর প্রবল জর, পিপাসা, এবং উদরে বেদনা হইয়া থাকে। সৰ্ব্ব প্রথমে সমস্ত পেটে বেদন হয় না। রোগীকে জিজ্ঞাসা করিলে কেবল পেটের স্থানে স্থানে বেদন দেখাইয়া দেয়। তাহার পর পেট ফাফিয়া উঠে, উপরি ভাগ শক্ত হয় এবং সমস্ত পেটে বেন্ধন
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।