অকাখেল প্রজাকে আপনাদের পর্বতে ধরিয়া লইয়া যায়। সে কারণ ইংরাজদের সঙ্গে একটী সামান্য যুদ্ধ হইয়াছিল। অবশেষে অকার পরাস্ত হইয়া পৰ্ব্বতের উপরিভাগে পলায়ন করে । অকারাজের মূৰ্ত্তি ভাবিলে সে কালের শিবদূত মনে পড়ে। র্তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ উীতে চিত্রিত, কণ্ঠভর। প্রস্তর ও হাড়মালা ; মাথায় পার্থীর পুচ্ছ ; ধড়া করিয়া কাপড় পরা । তিনি পাৰ্ব্বতীয় বনের মধ্যে দিবানিশি বনফুলের হার পরিয়া বেড়ান এবং ধনুৰ্ব্বাণ লইয়া মৃগয়৷ করেন । ইহাদের তীরে কি বিষ মাখান থাকে, তাহ। - ঠিক নিশ্চিত হয় নাই। কেহ কেহ অনুমান করেন যে, –fjši fiq (Aconitum ferox ) i cyfr CFE HEPIR, আসামীরা যাহাকে বিখ অর্থাৎ বিষ (Captis Teeta ) বলেন, আকার তাহাই তীরের ফলাতে মাখায় । ঐ বিষাক্ত অস্ত্রদ্বারা শরীরে আঘাত লাগিলে শীঘ্রই भूष्ट्र] হয়। কথিত আছে, কাহাকে আঘাত লাগিলে অকার। *fazica TV5 (Sausseria Lappa) &fääi ztazi দের এবং উহার কাখ সেবন করায় । কৃড়ের যথার্থ বিষনাশক শক্তি আছে কিনা তাহ পরীক্ষা করা উচিত। সন্ধির পর দেশে আসিয়া অকারাজ স্বজাতির মধ্যে হরিভক্তি প্রচার করিলেন। এখন প্রায় সমস্ত অকাই বৈষ্ণব হইয়াছে । প্রত্যেক অকাগৃহস্থের বিস্তর গোর অাছে। তাহার গোমাংস ভোজন করে, কিন্তু গোমা’স ভোজন করে বলিয়৷ গোরুর দুগ্ধ কখন পবিত্র হইতে পারে না । অকার। কণ্ঠাগত প্রাণ থাকিতে গোদুগ্ধ স্পর্শ করে না। সংসার বিচিত্র স্থান ; কেবল কাৰ্য্য-বৈপরীত্য লইয়াই জগতের ব্যাপার। অকার গোমাংস খায়, কিন্তু গোদুগ্ধ স্পর্শ করে না শুনিয়া আমরা পরিহাস করি। আবার আমরা গোদুগ্ধ খাই, কিন্তু গোমাংস স্পর্শ করি না, সে জন্য অরণ্যের সেই প্রাকৃত লোকেরা আমাদের দেখিয়া হাসে। অকার শূকর, কুকুট এবং কপোত পোষে । এই সকল জীবের মাংসই তাহদের প্রধান খাদ্য। তাছার প্রায় সকল জস্তুই ভোজন করে। কেবল পাতী ও রাজস্থাস এবং কুকুর প্রভৃতি যে সমস্ত পণ্ডমাংস সচরাচর মামুষের খাদ্য নয়, তাছাই খাইতে নিষিদ্ধ। মৃত্যুর পর ইহার শবদাহ করে মা, মৃত্তিকায় পুতিয়া ফেলে। এই অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রণালী মিশিন্ধে দেখ। অকাখেল। সিন্ধুনদের উত্তরপশ্চিমপারে কোস্থাটের নিকট [ ১৩ ] অকণপৰ্ব্বত বৰ্ত্তী আফ্রিদী জাতির মধ্যে একটী পাঠান সম্প্রদায় বিশেষ । অন্যান্য পাঠানদের মত ইহারাও অতিশয় বীৰ্য্যবান ও দুৰ্দ্দাস্তু। দস্থ্যবৃত্তি, নরহত্যা এবং যুদ্ধপ্রভৃতি আমুরিক কাৰ্য্যই ইহাদের ব্যবসায়। অকাখেলদের মধ্যে অনেকগুলি ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় আছে। যথা,—মারুফ, খেল, মরগভ খেল, শের খেল, সনাল খেল, মুণ্ড থেল, ইত্যাদি। পূৰ্ব্বে ইংরাজাধিকারের মধ্যে আসিয়া ইহার সৰ্ব্বদাই উপদ্রব করিত । তজ্জন্ত ১৮৫৬ খৃঃ অবো ইংরাজেরা ঐ জাতিকে ভারতবর্ষে প্রবেশ করিতে নিষেধ করিয়া দেন। ইহাতে অকাখেলদের সম্পূর্ণ ক্ষতি হইতে লাগিল। একদিনের নয়, ভারতবর্ষে আসিয়া বাণিজ্য করিতে ন পাইলে চিরকালের ক্ষতি । কাজেই তাহার। ২৬৭০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়া হিন্দুস্থানে প্রবেশ করিবার অনুমতি লইল । বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট কেবল অর্থ পাইয়। ভুলিয়া মান নাই । অকাখেলদের মধ্যে কোন ব্যক্তি ইংরাজ অধিকারে আসিয়া অত্যাচার করিবে না, তাহদিগকে এরূপ প্রতিজ্ঞাও করাইয়াছিলেন । সেই অবধি আফ্রিদীজাতির দৌরাত্ম্য অনেকটা কম হইয়াছে বটে, কিন্তু এখনও এককালে ক্ষান্ত হয় নাই । অকাটমূখ। গ্রাম্য ভাষায়, যাহার বুদ্ধির কাট অর্থাৎ ধার বা তীক্ষুতা নাই তাহাকে বুঝায় । নিৰ্ব্বোধ । 'অকাট দিব্য অকাট্য দিব্য’ অর্থাৎ এমন দিব্য বা শপথ যাহ। কাটাইবার উপায় নাই । যে অঙ্গীকার উল্লঙ্ঘন করা যায় না। অকাট্য । যাহা খণ্ডন করা যায় না । ‘অকাট্য প্রমাণ’ অর্থাৎ যে প্রমাণের বিরুদ্ধে কোন তর্ক নাই । যে প্রমাণ খণ্ডন করা দুর্ঘট। এটা গ্রাম্য শব্দ। অকাও (ত্রি) ন কাও অবয়ব নঞ তৎ। অকাল। অনবসর । নাস্তি কাও শরে যন্ত । বহুত্রী । শরপূন্ত । নাস্তি কাও স্বন্ধো যস্ত। যাহারগুড়ী নাই, স্কন্ধশুস্ত বৃক্ষ। অকাপৰ্ব্বত । অক নামক পৰ্ব্বত । পৰ্ব্বতপ্ত মত্বর্থে। । তপ্ত পৰ্ব্বমরুভ্যাং বক্তব্যঃ । (কাত্যায়ন )। অাছে এই অর্থে পৰ্ব্ব এবং মরুৎ শব্দের উত্তর তপ প্রত্যয় হয়। পৰ্ব্বণি ভাগাঃ সস্তি অস্যেতি পৰ্ব্বত: । যাহাতে পৰ্ব্ব অর্থাৎ.অনেক বিভাগ আছে তাঙ্কাই পৰ্ব্বত । অকাগিরি । এই পৰ্ব্বতকে সচরাচর আকা বলা যায় । এই গিরিমাল আসামের ঠিক উত্তরাংশে অবস্থিত । ইহার, দক্ষিণে দরং প্রদেশ,পূৰ্ব্বে দফলা পৰ্ব্বত, পশ্চিমে ভোটরাজ্য । জকাপৰ্ব্বতবাসীরা নিতান্ত অসত্য লোক ।
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।